মতলব উত্তর ব্যুরো : ১৪টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত মতলব উত্তর উপজেলা। এলাকায় অগ্নিকাণ্ডসহ বিভিন্ন দুর্ঘটনা ঘটলে খবর জানাতে হতো মতলব দক্ষিণ বা চাঁদপুর ফায়ার সার্ভিস স্টেশনকে।
যদিও এতদূর থেকে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে হিমশিম অবস্থায় পড়তে হতো ফায়ার সার্ভিস কর্মীদেরকে।
অবশেষে মতলব উত্তর উপজেলায় নির্মাণ করা হয়েছে ফায়ার সার্ভিস স্টেশন। গজরা ইউনিয়ন ছৈয়ালকান্দি এলাকার রাস্তার পার্শ্বে স্টেশনটি নির্মাণ করা হয়েছে। ২ কোটি ৭৫ লাখ ৬৬ হাজার ৪৯৫ টাকা ব্যয়ে ৩ তলাবিশিষ্ট মতলব উত্তর ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স স্টেশন নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন করেছে চাঁদপুর গণপূর্ত বিভাগ।
উপজেলার বাসিন্দাদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল এলাকায় একটি ফায়ার সার্ভিস স্টেশন নির্মাণের। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শেষ হয়েছে ফায়ার সার্ভিস স্টেশন নির্মাণের কাজ। এখন শুধু কার্যক্রম চালু করার অপেক্ষা।
ছেংগারচর পৌর বাজার বণিক সমবায় সমিতির সভাপতি হাজী মনির হোসেন বেপারী বলেন, মতলব উত্তর অতীত সময়ে বহু অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। কিন্তুফায়ার সার্ভিস স্টেশন না থাকায় চাঁদপুর ফায়ার সার্ভিস স্টেশনকে অগ্নিকাণ্ড ঘটলে খবর দেওয়া হতো। কিন্তু সেখান থেকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আসতে আসতে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়ে যেতো। এখন আমাদের সন্নিকটে ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন নির্মিত হওয়ায় বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। আমরা উদ্বোধনের অপেক্ষার প্রহর গুণছি।
ছেংগারচর পৌরসভার প্যানেল মেয়র আবদুল মান্নান বেপারী বলেন, ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের নির্মাণকাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। রংয়ের কাজ চলছে। উদ্ধোধনের বিষয়ে এমপি মহোদয়ের সাথে কথা হয়েছে। আশা করি খুব শিগগিরই এর উদ্বোধন হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) গাজী শরিফুল হাসান বলেন, সাধারণত মতলব উত্তর উপজেলায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা তুলনামূলক বেশি। এখানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলে আমাদের চাঁদপুর জেলা ও মতলব দক্ষিণ উপজেলার সাহায্য নিতে হয়। উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে আসার আগেই অনেক ক্ষতি হয়ে যায়। এখানকার মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল যেন এখানে একটা ফায়ার সার্ভিস স্টেশন স্থাপিত হয়। অত্যন্ত আনন্দের বিষয় খুব শিগগিরই আমরা আধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্বলিত ফায়ার সার্ভিস স্টেশন পেতে যাচ্ছি।
এ বিষয়ে চাঁদপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আবু মোহাম্মদ সাজেদুল কবির জোয়ারদার বলেন, লোকবল এখনো নিয়োগ দেওয়া হয়নি। এখনো আংশিক কাজ বাকি আছে। ইতোমধ্যে গণপূর্ত বিভাগ চাঁদপুরের প্রকৌশলীর সাথে কথা হয়েছে কাজটি দ্রুত সমাপ্ত করার জন্য।
তিনি আরও জানান, আমরা কন্ট্রাক্টরকে দ্রুত কাজ শেষ করার তাগিদ দিয়েছি। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী মাসে উদ্বোধন করা যেতে পারে বলেও তিনি জানান।