মতলব উত্তর ব্যুরো : চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার মেঘনা নদীর পশ্চিম পাড়ে প্রায় ১০টি চরাঞ্চল রয়েছে। এসব এলাকার বাসিন্দারা প্রাকৃতিক দূর্যোগ আসলেই চরম কষ্ট ও দূর্ভোগের মধ্যে পড়ে। রবিবার দিনগত রাত থেকে প্রচন্ড শীত পড়তে শুরু হলে চরাঞ্চলের শিশু, নারী ও পুরুষ শীতে কাবু হয়ে পড়ে।
মতলব উত্তরের ফরাজীকান্দি, জহিরবাদ, এখলাছপুর ও মোহনপুর ইউনিয়নের এ চরগুলোতে প্রায় অর্ধলক্ষ মানুষ বসবাস করছে।
শ্রমিক, মজুর ও দৈনন্দিন খেটে খাওয়া মানুষগুলোর কাজ কর্মেও ছন্দপতন ঘটেছে। শীতের কারণে সকালে অনেকেই দেরি করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলেছে।
হঠাৎ শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় অধিক কষ্টের মধ্যে চরাঞ্চলের মানুষ। কারণ চরাঞ্চলে প্রাকৃতিক পরিবেশটা সুন্দর না থাকায় অর্থাৎ গাছপালা কম হওয়ার কারণে কুয়াশার আর বাতাস দু’টোই তাদের ছোট ছোট ঘরগুলোতে প্রভাব বিস্তার করে।
মেঘনা ও পদ্মার ভাঙনের শিকার হাজার হাজার পরিবার অস্থায়ীভাবে ঘর তৈরী করে কোন রকম বসবাস করে চরাঞ্চলে। তবে সরকারিভাবে মলতব উত্তর গুচ্ছগ্রাম তৈরী করা হয়েছে। সেগুলোতে গাছপালা কম হওয়ার কারণে রোদ, বৃষ্টি ও শীত সব মৌসুমেই কষ্টে দিনাতিপাত করেন চরাঞ্চলের সুবিধা বঞ্চিত পরিবারগুলো।
খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, চরাঞ্চলের মানুষগুলো বেশীরভাগ কৃষি ও মৎস্য আহরণ করে জীবন জীবীকা নির্বাহ করে। যোগাযোগ বিচ্ছন্ন এলাকা হওয়ার কারণে চিকিৎসাসহ সরকারি অনেক সেবা থেকে বঞ্চিত থাকেন।
এখলাছপুর ইউনিয়নের চরকাশিম এলাকার বাসিন্দা বজলুর রশীদ দেওয়ান বলেন, চরাঞ্চলের বেশির ভাগ মানুষ নিম্ন আয়ের, মানুষগুলো শীতে কাবু হয়ে গেছে। এখানকার মানুষগুলো শীত থেকে রক্ষা পেতে আগুন জালিয়ে ঘরের সামনে বসে থাকতে দেখা গেছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গাজী শরিফুল হাসান বলেন, সরকারী ভাবে প্রাপ্ত ৫ হাজার কম্বল প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে বিলি করা হয়েছে। চরাঞ্চলের শীতার্তদের আলাদা ভাবে কিছু করতে পারলে ভালো লাগবে। আমি চেষ্টা করবো তাদের ত নিবারণের জন্য কিছু করতে।
ইউনিয়ন পরিষদ তালিকা করে কম্বল বিতরণ করবে। তারপর ও কেউ না পেলে যোগাযোগ করলে কম্বলের ব্যবস্থা করা হবে।