ঢাকা ১০:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ২২ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
মতলব উত্তরে খবির হত্যা মামলার অভিযুক্তদের বাড়িতে

হামলা লুটপাট অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

মতলব উত্তর উপজেলায় অটোরিকশা চালক মো. খবির উদ্দিন হত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে অভিযুক্তদের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী পরিবার।

Model Hospital

এর ফলে এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন বলে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেন।

শনিবার দুপুরে চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ফতেপুর পশ্চিম ইউনিয়নের মান্দারতলী গ্রামের মামুন বেপারীর বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জেসমিন বেগম বলেন, মঙ্গলবার রাতে উপজেলার ফতেপুর পশ্চিম ইউনিয়নে মান্দারতলী গ্রামে মৃত গোলাম মোর্তজার ছেলে মো. খবির উদ্দিনের লাশ মান্দারতলী বেপারী বাড়ির পাশের খাল থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় মামলা হওয়ার পর পর থেকে বেপারী বাড়ির কয়েকটি পরিবারের পুরুষরা বাড়িঘর ফেলে আত্মগোপনে চলে যায়।

এ সুযোগে মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে বারোটার দিকে ৪টি বসত ঘরে লুটপাট, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। ঘরের আসবাবপত্র, টিভি, ফ্রিজ, নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কারসহ ধান-চাল, গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগি লুটপাট করে নিয়ে যাওয়ার পরে ঘরগুলো আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা এবং একটি বিল্ডিং ঘরের জানালা দরজা ভাংচুর করেন। এ ঘটনায় সিটু বেপারীর ছেলে আল আমিন বেপারী গুরুত্বর আহত হয়ে চাঁদপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি আছেন।

তিনি আরো বলেন, মো. ওবায়েদ বেপারী, মামুন বেপারী, মো. মাসুদ বেপারী, সাকিল বেপারীর বসত ঘরে পেট্রোল দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং সোহেল বেপারীর বিল্ডিং ঘরের জানালা ভাংচুর করে দুর্বৃত্তরা। এতে বসত ঘরে ঘুমে থাকা নারী ও শিশুরা দৌড়ে গিয়ে প্রাণে বাঁচলেও ঘরে থাকা যাবতীয় মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে যায়। আগুনে পুড়ে ভস্মীভূত হয়ে যায় ফার্নিচার, ফ্রিজ, টিভি, হাঁস, মুরগিসহ অন্তত ৫০ লক্ষাধিক টাকার মালামাল ক্ষতি হয়।

এ সময় সোহেল বেপারীর স্ত্রী বিউটি বেগম, মাসুদ বেপারীর স্ত্রী কুলসুমা বেগম, শাকিল বেপারীর স্ত্রী রাহিমা বেগম,ওবায়েদ বেপারীর স্ত্রী রাশিদা বেগমসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

শেষে তিনি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে উল্লেখিত ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসনের হস্থক্ষেপ কামনা করেন। এ ব্যাপারে একটি অভিযোগ মতলব উত্তর থানায় জমা দিলেও কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।

এতসব ঘটনার পরও বর্তমানে অভিযুক্তরা বীরদর্পে এলাকায় ঘুরে বেড়ালেও অজ্ঞাত কারণে পুলিশ এখন পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা নেয়নি। এমতাবস্থায় ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের সদস্যরা চরম নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছি।

শেষে তিনি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে উল্লেখিত ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসনের হস্থক্ষেপ কামনা করেন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

মা ইলিশ রক্ষায় টাস্কফোর্স কমিটির প্রস্তুতিমূলক সভা

মতলব উত্তরে খবির হত্যা মামলার অভিযুক্তদের বাড়িতে

হামলা লুটপাট অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

আপডেট সময় : ১০:০৩:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

মতলব উত্তর উপজেলায় অটোরিকশা চালক মো. খবির উদ্দিন হত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে অভিযুক্তদের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী পরিবার।

Model Hospital

এর ফলে এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন বলে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেন।

শনিবার দুপুরে চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ফতেপুর পশ্চিম ইউনিয়নের মান্দারতলী গ্রামের মামুন বেপারীর বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জেসমিন বেগম বলেন, মঙ্গলবার রাতে উপজেলার ফতেপুর পশ্চিম ইউনিয়নে মান্দারতলী গ্রামে মৃত গোলাম মোর্তজার ছেলে মো. খবির উদ্দিনের লাশ মান্দারতলী বেপারী বাড়ির পাশের খাল থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় মামলা হওয়ার পর পর থেকে বেপারী বাড়ির কয়েকটি পরিবারের পুরুষরা বাড়িঘর ফেলে আত্মগোপনে চলে যায়।

এ সুযোগে মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে বারোটার দিকে ৪টি বসত ঘরে লুটপাট, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। ঘরের আসবাবপত্র, টিভি, ফ্রিজ, নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কারসহ ধান-চাল, গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগি লুটপাট করে নিয়ে যাওয়ার পরে ঘরগুলো আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা এবং একটি বিল্ডিং ঘরের জানালা দরজা ভাংচুর করেন। এ ঘটনায় সিটু বেপারীর ছেলে আল আমিন বেপারী গুরুত্বর আহত হয়ে চাঁদপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি আছেন।

তিনি আরো বলেন, মো. ওবায়েদ বেপারী, মামুন বেপারী, মো. মাসুদ বেপারী, সাকিল বেপারীর বসত ঘরে পেট্রোল দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং সোহেল বেপারীর বিল্ডিং ঘরের জানালা ভাংচুর করে দুর্বৃত্তরা। এতে বসত ঘরে ঘুমে থাকা নারী ও শিশুরা দৌড়ে গিয়ে প্রাণে বাঁচলেও ঘরে থাকা যাবতীয় মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে যায়। আগুনে পুড়ে ভস্মীভূত হয়ে যায় ফার্নিচার, ফ্রিজ, টিভি, হাঁস, মুরগিসহ অন্তত ৫০ লক্ষাধিক টাকার মালামাল ক্ষতি হয়।

এ সময় সোহেল বেপারীর স্ত্রী বিউটি বেগম, মাসুদ বেপারীর স্ত্রী কুলসুমা বেগম, শাকিল বেপারীর স্ত্রী রাহিমা বেগম,ওবায়েদ বেপারীর স্ত্রী রাশিদা বেগমসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

শেষে তিনি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে উল্লেখিত ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসনের হস্থক্ষেপ কামনা করেন। এ ব্যাপারে একটি অভিযোগ মতলব উত্তর থানায় জমা দিলেও কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।

এতসব ঘটনার পরও বর্তমানে অভিযুক্তরা বীরদর্পে এলাকায় ঘুরে বেড়ালেও অজ্ঞাত কারণে পুলিশ এখন পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা নেয়নি। এমতাবস্থায় ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের সদস্যরা চরম নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছি।

শেষে তিনি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে উল্লেখিত ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসনের হস্থক্ষেপ কামনা করেন।