ঢাকার গাড়ীর গ্যারেজে কর্মরত মানিক মিজি (৩০) নামে এক মিস্ত্রির লাশ উদ্ধার করেছে ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ।
রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার গুপ্টি পশ্চিম ইউনিয়নের আদশা গ্রামের একটি পাঞ্জেগানা মসজিদের ভিতর থেকে লাশ উদ্ধার করে। সে এক কন্যা সন্তানের জনক।
জানা গেছে, উপজেলার গুপ্টি পশ্চিম ইউনিয়নের আদশা গ্রামের মানিক মিজি ঢাকার একটি গাড়ীর গ্যারেজের মিস্ত্রি হিসেবে কাজ করতো। চলতি বছরের ৪ এপ্রিল তার স্ত্রী রিমা আক্তার গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।
মানিক মিজির বর্তমান স্ত্রী হালিমা বেগম জানান, প্রথম স্ত্রীর মৃত্যুর পর থেকে সে মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত ছিল। দুইদিন পুর্বে সেসহ ঢাকার বোনের বাসায় যায়। শনিবার দুপুরে ঢাকায় সাভারে যাবে বলে বাসা থেকে বের হয়। সকালে শশুর বাড়ি থেকে জানানো হয় বাড়ির পাঞ্জেগানা মসজিদে তার লাশ পাওয়া গেছে।
মানিক মিজির বাবা আনোয়ার হোসেন বলেন, আমার দুই ছেলে এক মেয়ের মধ্যে মানিক সকলের বড়। মাত্র ৪মাস পুর্বে আমার ছেলের বউ রিমা ৪ বছরের মেয়ে রেখে আমাদের বাড়িতেই গলায় ফাঁস দেয়। এনিয়ে অনেক হয়রানি হয়েছি। আজ আবার ছেলে লাশ পেলাম।
মসজিদের মধ্যে গলায় ফাঁস দিয়েছে বললেও আমার বিশ্বাস হয় না। সে কখন বাড়ি এসেছে কেউ জানে না। এমনকি বাড়িতে থাকার আমার স্ত্রীও জানে না।
এব্যাপারে ফরিদগঞ্জ থানার এসআই মো. শামসুজ্জামান জানান, আদশা গ্রামের মিজি বাড়ি থেকে মরদেহ উদ্ধারের পর ময়না তদন্তের জন্য চাঁদপুর মর্গে প্রেরন করা হয়। চলতি বছরের ৪ এপ্রিল মানিকের স্ত্রী রিমা আক্তারও (এক সন্তানের জননী) গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছিলো।
এরপরে সে দ্বিতীয় বিয়ে করে।