চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন বলেছেন, আবাসন মানুষের অন্যতম একটি মৌলিক চাহিদা। নিরাপদ ও বাসযোগ্য একটি দেশ গঠনে পরিকল্পিত নগরায়ণের বিকল্প নেই। আর্থ-সামাজিক খাত, জনসংখ্যার চাপ, জমির অপ্রতুলতা, নগরায়ণ ও শিল্পায়ন সবকিছু বিবেচনায় এনে শহর-গ্রামে প্রতিটি জনবসতিতেই এখন পরিকল্পিত আবাসন জরুরি। বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য নিরাপদ, পরিকল্পিত, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং স্থিতিশীল নগর প্রতিষ্ঠা করাই এর লক্ষ্য।
আজ (৭ অক্টোবর)’ সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে তরুণদের সম্পৃক্ত করি ’’উন্নত নগর গড়ি’’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে জেলা প্রশাসন ও চাঁদপুর গণপূর্ত বিভাগের আয়োজনে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জেলা প্রশাসক বলেন, বাংলাদেশের কোনো মানুষ গৃহহীন থাকবে না। নগর ও গ্রামাঞ্চলের জীবনযাত্রার মানের বৈষম্য দূর করার লক্ষ্যে সরকার নানামুখী কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। আগামী প্রজন্মের জন্য নিরাপদ, বাসযোগ্য, আধুনিক ও টেকসই নগর গঠনে সরকারি-বেসরকারি অংশীজন, নাগরিক সমাজ ও তরুণ প্রজন্মসহ সকলের সম্মিলিত উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার কথা বিবেচনায় রেখে সকল শ্রেণীপেশার মানুষের শিক্ষা, চিকিৎসা, কর্মসংস্থান, যাতায়াত ও নির্মল বিনোদনের সুযোগ সুবিধাসম্বলিত নগরায়ণ করতে হবে।সকলের জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক নিরাপদ আবাসন ও উন্নত নগর ব্যবস্থা চালু করতে তরুণ প্রজন্ম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। এ প্রেক্ষিতে, দিবসটির এবছরের প্রতিপাদ্য- তরুণদের সম্পৃক্ত করি, উন্নত নগর গড়ি’- অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ হয়েছে।
চাঁদপুর গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী নাসিম আহমেদ টিটোর সভাপ্রধানে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোস্তাফিজুর রহমান, চাঁদপুর গণপূর্ত বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো: ফিরোজ আহমেদ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, পৌরসভা’র প্রশাসক একরামুল ছিদ্দিক, জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান সরকার, জাকারিয়া হোসেন, নাজমুস শাহাদাত ফাহিম, সুমাইয়া ফারজানা হক, মোঃ আনিসুর রহমান, চাঁদপুর জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মহিউদ্দিন, চাঁদপুর গণপূর্ত বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী, মো: তানজিল ইসলাম ভূঁইয়া, মো: আলী নূর, উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো: ইমাম হোসেন, মো: সাইফুল্লাহ, লুৎফর রহমান মো: জুয়েল আহমেদ, প্রমুখ।
আলোচনা সভা শেষে জেলা প্রশাসক কার্যালয় সামনে থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হয়।