ঢাকা ০৬:৫৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ২১ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তিন বছরেও শুরু হয়নি গাজীপুর মাদ্রাসার চারতলা ভবনের কাজ

এস. এম ইকবাল : প্রথম ঠিকাদার কাজ করতে আগ্রহী না হওয়ায় এক বছর পুন: টেন্ডারের মাধ্যমে কর্তৃপক্ষ নতুন ঠিকাদার নিয়োগ করলেও সেই ঠিকাদারও গত দুই বছরে কাজ শুরু করেননি। ফলে গত তিন বছরেও ফরিদগঞ্জ উপজেলার গাজীপুর আহম্মদিয়া ফাজিল মাদ্রাসার চারতলা ভবনের কাজ শুরুই হয়নি। অথচ একই টেন্ডারের অন্য ৫টি প্রতিষ্ঠানের ৪তলা ভবনের কাজ ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে। ফলে শিক্ষার পরিবেশ বিঘ্নিত হচ্ছে ।
জানা গেছে, ফরিদগঞ্জের ৬ টি মাদ্রাসার চারতলা ভবন নির্মাণে ২০ কোটি টাকা মূল্য নির্ধারণ করে ২০১৮ সালের ১২ সেপ্টেম্বর একনেক সভায় (যার স্বারক নং ৩৭৭০০০১৫৯১৮(১৪৫) অনুমোদিত হয়। এই ৬টি প্রতিষ্ঠান হলো দাখিল মাদ্রাসা, কড়ৈতলী আলিম মাদ্রাসা, মাছিমপুর ফাজিল মাদ্রাসা, মানুরী ফাজিল মাদ্রাসা, চরপোঁয়া আলিম মাদ্রাসা ও গাজীপুর আহম্মদিয়া ফাজিল মাদ্রাসা। ইতিমধ্যেই গাজীপুর আহাম্মদিয়া ফাজিল মাদ্রাসা ছাড়া বাকী পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের নির্মাণ কাজসম্পন্ন হয়েছে।
সূত্রে জানা গেছে, গাজীপুর আহাম্মদিয়া ফাজিল মাদ্রাসা চারতলা ভবন নির্মাণের জন্য ৩ কোটি ৩৩ লক্ষ ৩৩ হাজার ৩৩ টাকা মুল্য নির্ধারণ করে ২০১৯ সালের জানুয়ারী মাসে টেন্ডার হয়। কিন্তু কার্যাদেশ প্রাপ্ত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজ না করায় পরের বছর ২০২০ সালের ২০ জানুয়ারী পুনরায় টেন্ডার দিলে প্রতিষ্ঠানের কাজ পান ঠিকাদার মোঃ ফারুক খান। কার্যাদেশ পাওয়ার এক বছর পর ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ওই ঠিকাদার মাদ্রাসার সামনে লোক দেখানোর জন্য প্রায় ১৫ হাজার ইট এনে স্তুপ করে রাখেন। কিন্তু অদ্যবদি কোন কাজই শুরু করেন নি ঠিকাদার।
প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ মাওলানা মোঃ গিয়াস উদ্দিন জানান, প্রথম টেন্ডারে প্রাপ্ত ঠিকাদার কাজ না করার কারণে এক বছর পর ২০২০ সালের ২০ জানুয়ারী দ্বিতীয়বার টেন্ডার হয়।
ঠিকাদার মোঃ ফারুক খানকে আমরা প্রতি মাসেই কাজ শুরু করার জন্য বললে তিনি ধরছি, ধরবেন এই মাসেই ধরতেছি এমন করতে করতে ২ বছর চলে গেছে। গতবছর ফেব্রুয়ারি মাসে ইট এনে রাখলেও এখনো কাজ শুরু করেনি।
ঠিকাদার মোঃ ফারুক খানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, কিছুদিনের মধ্যে ভবনের কাজ শুরু করবো। এর বাইরে আর কিছুই বলতে চাননি তিনি।
চাঁদপুরে জেলা শিক্ষা প্রকৌশল বিভাগের উপ প্রকৌশলী শাহাদাত হোসেন জানান, ঠিকাদার ফারুক খানকে আমরা নোটিশ দিয়েছি দ্রুত কাজ শুরু করার জন্য।
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগে শিক্ষকদের সংবাদ সম্মেলন

তিন বছরেও শুরু হয়নি গাজীপুর মাদ্রাসার চারতলা ভবনের কাজ

আপডেট সময় : ০৪:০৮:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২২
এস. এম ইকবাল : প্রথম ঠিকাদার কাজ করতে আগ্রহী না হওয়ায় এক বছর পুন: টেন্ডারের মাধ্যমে কর্তৃপক্ষ নতুন ঠিকাদার নিয়োগ করলেও সেই ঠিকাদারও গত দুই বছরে কাজ শুরু করেননি। ফলে গত তিন বছরেও ফরিদগঞ্জ উপজেলার গাজীপুর আহম্মদিয়া ফাজিল মাদ্রাসার চারতলা ভবনের কাজ শুরুই হয়নি। অথচ একই টেন্ডারের অন্য ৫টি প্রতিষ্ঠানের ৪তলা ভবনের কাজ ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে। ফলে শিক্ষার পরিবেশ বিঘ্নিত হচ্ছে ।
জানা গেছে, ফরিদগঞ্জের ৬ টি মাদ্রাসার চারতলা ভবন নির্মাণে ২০ কোটি টাকা মূল্য নির্ধারণ করে ২০১৮ সালের ১২ সেপ্টেম্বর একনেক সভায় (যার স্বারক নং ৩৭৭০০০১৫৯১৮(১৪৫) অনুমোদিত হয়। এই ৬টি প্রতিষ্ঠান হলো দাখিল মাদ্রাসা, কড়ৈতলী আলিম মাদ্রাসা, মাছিমপুর ফাজিল মাদ্রাসা, মানুরী ফাজিল মাদ্রাসা, চরপোঁয়া আলিম মাদ্রাসা ও গাজীপুর আহম্মদিয়া ফাজিল মাদ্রাসা। ইতিমধ্যেই গাজীপুর আহাম্মদিয়া ফাজিল মাদ্রাসা ছাড়া বাকী পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের নির্মাণ কাজসম্পন্ন হয়েছে।
সূত্রে জানা গেছে, গাজীপুর আহাম্মদিয়া ফাজিল মাদ্রাসা চারতলা ভবন নির্মাণের জন্য ৩ কোটি ৩৩ লক্ষ ৩৩ হাজার ৩৩ টাকা মুল্য নির্ধারণ করে ২০১৯ সালের জানুয়ারী মাসে টেন্ডার হয়। কিন্তু কার্যাদেশ প্রাপ্ত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজ না করায় পরের বছর ২০২০ সালের ২০ জানুয়ারী পুনরায় টেন্ডার দিলে প্রতিষ্ঠানের কাজ পান ঠিকাদার মোঃ ফারুক খান। কার্যাদেশ পাওয়ার এক বছর পর ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ওই ঠিকাদার মাদ্রাসার সামনে লোক দেখানোর জন্য প্রায় ১৫ হাজার ইট এনে স্তুপ করে রাখেন। কিন্তু অদ্যবদি কোন কাজই শুরু করেন নি ঠিকাদার।
প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ মাওলানা মোঃ গিয়াস উদ্দিন জানান, প্রথম টেন্ডারে প্রাপ্ত ঠিকাদার কাজ না করার কারণে এক বছর পর ২০২০ সালের ২০ জানুয়ারী দ্বিতীয়বার টেন্ডার হয়।
ঠিকাদার মোঃ ফারুক খানকে আমরা প্রতি মাসেই কাজ শুরু করার জন্য বললে তিনি ধরছি, ধরবেন এই মাসেই ধরতেছি এমন করতে করতে ২ বছর চলে গেছে। গতবছর ফেব্রুয়ারি মাসে ইট এনে রাখলেও এখনো কাজ শুরু করেনি।
ঠিকাদার মোঃ ফারুক খানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, কিছুদিনের মধ্যে ভবনের কাজ শুরু করবো। এর বাইরে আর কিছুই বলতে চাননি তিনি।
চাঁদপুরে জেলা শিক্ষা প্রকৌশল বিভাগের উপ প্রকৌশলী শাহাদাত হোসেন জানান, ঠিকাদার ফারুক খানকে আমরা নোটিশ দিয়েছি দ্রুত কাজ শুরু করার জন্য।