ঢাকা ০৬:৪৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মতলব উত্তরে নবজাতক বিক্রি, সম্পৃক্ততা পায়নি হাসপাতালের

মতলব উত্তর ব্যুরো : মতলব উত্তর উপজেলার ছেংগারচর পালস্ এইড জেনারেল হাসপাতাল এণ্ড ডায়াগষ্টিক সেন্টারের চাপে নবজাতক বিক্রি করে হাসপাতালের বিল পরিশোধের সত্যতা পায়নি বলে তদন্ত কমিটি প্রতিবেদক দাখিল করেছে।

তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে মূলত পারিবারিক সমস্যা ও অর্থনৈতিক টানাপড়েনের কারণে নবজাতক বিক্রি করেছিলেন সেই মা, এমনটিই উঠে এসেছে।

মঙ্গলবার বিকেলে তদন্ত কমিটি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার নিকট তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন।
তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. হাসিবুল ইসলাম বলেন, হাসপাতালের চাপে পড়ে নবজাতক বিক্রি করে হাসপাতালের বিল পরিশোধের সত্যতা পাননি তারা। পালস এইড জেনারেল হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের এতো সম্পৃক্ততা ছিল না। মূলত পারিবারিক সমস্যা ও অর্থনৈতিক টানপোড়নের কারনেই নবজাতক বিক্রির তথ্য পাওয়া গেছে। নবজাতকের মা এবং তাদের পরিবারও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে দায়ী করে কিছু বলেননি।

মতলব উত্তর উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কলাকান্দা ইউনিয়নের হানিরপাড় গ্রামের দিনমজুর মো. আলমের স্ত্রী তামান্না বেগমের (২৮) প্রসববেদনা উঠলে তিনি গত ২৬ জানুয়ারি ছেংগারচর পালস্ এইড হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে পুত্রসন্তান জন্ম দেন তামান্না। ২৮ জানুয়ারি পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি থাকেন তিনি।

Model Hospital

রিলিজের সময় হাসপাতালে বিল আসে ২৬ হাজার টাকা। ওই টাকা পরিশোধ করতে ব্যর্থ হন তামান্না বেগম। এ অবস্থায় ছেংগারচর বাজারের কাউসার নামে এক ব্যবসায়ীর মাধ্যমে এক নিঃসন্তান দম্পতির কাছে মাত্র ৫০ হাজার টাকায় ওই সন্তানকে বিক্রি করে হাসপাতালের বিল পরিশোধ করেন তামান্না। সন্তান বিক্রির পর ওই মা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন।

পরে ৪ ফেব্রুয়ারি সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. হেদায়েত উল্লাহ ও স্থানীয় থানা পুলিশের সহযোগিতায় মতলব উত্তরের ষাটনল এলাকা থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। ফিরিয়ে দেওয়া হয় মায়ের কোলে।

ট্যাগস :

১০ দিনেও উদঘাটন হয়নি চাঁদপুরে আবাসিক হোটেলে রুবেলের মৃত্যুর রহস্য

মতলব উত্তরে নবজাতক বিক্রি, সম্পৃক্ততা পায়নি হাসপাতালের

আপডেট সময় : ০২:০৭:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২২

মতলব উত্তর ব্যুরো : মতলব উত্তর উপজেলার ছেংগারচর পালস্ এইড জেনারেল হাসপাতাল এণ্ড ডায়াগষ্টিক সেন্টারের চাপে নবজাতক বিক্রি করে হাসপাতালের বিল পরিশোধের সত্যতা পায়নি বলে তদন্ত কমিটি প্রতিবেদক দাখিল করেছে।

তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে মূলত পারিবারিক সমস্যা ও অর্থনৈতিক টানাপড়েনের কারণে নবজাতক বিক্রি করেছিলেন সেই মা, এমনটিই উঠে এসেছে।

মঙ্গলবার বিকেলে তদন্ত কমিটি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার নিকট তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন।
তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. হাসিবুল ইসলাম বলেন, হাসপাতালের চাপে পড়ে নবজাতক বিক্রি করে হাসপাতালের বিল পরিশোধের সত্যতা পাননি তারা। পালস এইড জেনারেল হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের এতো সম্পৃক্ততা ছিল না। মূলত পারিবারিক সমস্যা ও অর্থনৈতিক টানপোড়নের কারনেই নবজাতক বিক্রির তথ্য পাওয়া গেছে। নবজাতকের মা এবং তাদের পরিবারও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে দায়ী করে কিছু বলেননি।

মতলব উত্তর উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কলাকান্দা ইউনিয়নের হানিরপাড় গ্রামের দিনমজুর মো. আলমের স্ত্রী তামান্না বেগমের (২৮) প্রসববেদনা উঠলে তিনি গত ২৬ জানুয়ারি ছেংগারচর পালস্ এইড হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে পুত্রসন্তান জন্ম দেন তামান্না। ২৮ জানুয়ারি পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি থাকেন তিনি।

Model Hospital

রিলিজের সময় হাসপাতালে বিল আসে ২৬ হাজার টাকা। ওই টাকা পরিশোধ করতে ব্যর্থ হন তামান্না বেগম। এ অবস্থায় ছেংগারচর বাজারের কাউসার নামে এক ব্যবসায়ীর মাধ্যমে এক নিঃসন্তান দম্পতির কাছে মাত্র ৫০ হাজার টাকায় ওই সন্তানকে বিক্রি করে হাসপাতালের বিল পরিশোধ করেন তামান্না। সন্তান বিক্রির পর ওই মা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন।

পরে ৪ ফেব্রুয়ারি সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. হেদায়েত উল্লাহ ও স্থানীয় থানা পুলিশের সহযোগিতায় মতলব উত্তরের ষাটনল এলাকা থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। ফিরিয়ে দেওয়া হয় মায়ের কোলে।