নিজস্ব প্রতিনিধি : পুলিশের সাথে প্রতারণা করে চাঁদপুর সদর উপজেলার ৮ নং বাগাদি ইউনিয়নের ঘাষিপুর গ্রামে ভুঁয়া জন্ম নিবন্ধন দেখিয়ে নবম শ্রেণীর ছাত্রীর বাল্যবিবাহ দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
![priyo chandpur 12 Model Hospital](https://priyochandpur.net/wp-content/uploads/2023/11/awfe.png)
বুধবার দুপুরে বাগাদি ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মনসুর খানের মেয়ে রুমি আক্তারকে আনুষ্ঠানিকভাবে বাল্যবিবাহ দিয়েছে।
স্থানীয় এলাকাবাসী ৯৯৯ ফোন করে বাল্য বিবাহের পর বিষয়টি প্রশাসনকে জানায়।
চাঁদপুর মডেল থানার এসআই ওয়াসিম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘাষিপুর গ্রামে বাল্যবিবাহ বন্ধ করতে গেলে মনসুর খান তার মেয়ের বয়স বাড়িয়ে ভুয়া জন্ম নিবন্ধন এর কাগজ দেখিয়ে তড়িঘড়ি করে বাল্য বিবাহের কাজ সম্পন্ন করেন।
পুলিশকে বোকা বানিয়ে নবম শ্রেণীর ১৫ বছর বয়সী ছাত্রীকে জোরপূর্বক ভাবে বাল্যবিবাহ দিয়েছে।
ভুঁয়া জন্ম নিবন্ধন এর কাগজ উল্লেখ রয়েছে, বাগাদী ইউনিয়নের নিবন্ধন বহি নং-১৩, নিবন্ধন নং-৪৩৮০৭ ও ব্যক্তিগত পরিচিতি নং-২০০৩১৩১২২২২০৪৩৮০৭ উল্লেখ রয়েছে। এই জন্ম নিবন্ধনটি কম্পিউটারে যাচাই করে দেখা যায় তা সম্পূর্ণ ভুয়া। এই ধরনের জন্ম নিবন্ধন হয়নি।
স্থানীয় এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন, মনসুর খান তার মেয়ে রুমি আক্তারকে বাবুরহাট কল্যাণপুর এলাকার জনৈক প্রবাসীর সাথে আনুষ্ঠানিকভাবে বাল্যবিবাহ দিয়েছে। রুমি আক্তার বাগাদী উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্রী। তার বয়স ১৫। অল্প বয়স মেয়েকে জোর পূর্বক বাল্যবিবাহ দেওয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত অভিভাবকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন। এভাবেই ভুয়া জন্ম নিবন্ধন দেখিয়ে চাঁদপুরে অনেক জায়গায় বাল্যবিবাহ হচ্ছে। বাল্যবিবাহ ঠেকাতে প্রশাসনের নজরদারি সহ দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করলেই বাল্যবিবাহ দমন করা সম্ভব হবে।