ঢাকা ০৬:০৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হাইমচরে ফায়ার সার্ভিসের অনুমোদন ছাড়াই যত্রতত্র গ্যাস সিলিন্ডারের ব্যবসা

মোঃ সাজ্জাদ হোসেন রনি : আধুনিকতার ছোঁয়ায় নাগরিক জীবনে ক্রমাগত বাড়ছে গ্যাসের চাহিদা। এসব চাহিদা মেটাতে শহর থেকে গ্রাম পর্যায়েও বেড়েই চলেছে গ্যাসের ব্যবহার। হাইমচর উপজেলা জুড়ে নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করেই যত্রতত্র ঝুঁকিপূর্ণ এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। ফায়ার স্টেশন কতৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়াই অবৈধভাবে ব্যবসা করে গেলেও নীরব রয়েছে প্রশাসন। অদৃশ্য এ নীরবতাকে পূঁজি করে ফুটপাতে এমনকি গ্রামের চায়ের দোকান, মুদি, ইলেকট্রনিকস, ফার্মেসীর দোকানেও বেড়েছে গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবসা। যেসব স্থানে গ্যাস সিলিন্ডারের ব্যবসা করছেন সে স্থানে নেই পর্যাপ্ত পরিমাণে নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, হাইমচর উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারের পথে ঘাটে যত্রতত্র এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডারের দোকান রয়েছে। এসব দোকান মালিকরা কোনো বিধি-নিষেধ মানছে না। বিস্কোরক পরিদফতরের ও ফায়ার সার্ভিসের অনুমোদন পরামর্শ ছাড়াই ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। শুধু ইউনিয়ন পরিষদের ট্রেড লাইসেন্সের ভরসায় ব্যবসা করে চলছেন অনেক ব্যবসায়ীরা। এসবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয়ায় উপজেলার বিভিন্ন এলাকার বাজার গ্রাম  গুলোতে অকাধে চলছে গ্যাস সিলিন্ডারের ব্যবসা। আবার এসব ব্যবসায়ীদের কাছে নেই পর্যাপ্ত পরিমাণে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রপাতি। ফলে দুর্ঘটনার শঙ্কা রয়ে যায়। উপজেলা সদর আলগী বাজারের দোকানের পাশে থাকা খোলামেলা ফুটপাতে খালি বোতল ও মজুদ করে গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। এতে নেই কোনো লাইসেন্স ও অগ্নিনির্বাপক কর্তৃপক্ষের ছাড়পত্র।
উল্লেখ, হাইমচর উপজেলার চরভৈরবী লঞ্চঘাটে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনায় প্রায় ২০-২৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ছাড়পত্র ছাড়াই খোলামেলা গ্যাস সিলিন্ডার ও পেট্রোল, ডিজেল বিক্রি করা নিয়ম না মেনে গ্যাসের ব্যবহার। এই ঘটনার মতো দৃশ্যপট দেখার আগেই ব্যবসায়ীদের সচেতন হওয়া জরুরি। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নজরদারি প্রয়োজন বলে দাবি করেছেন সচেতন মহল।
গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবসায়ী মাসুদ রানা বলেন, লাইসেন্স ও অগ্নিনির্বাপক কর্তৃপক্ষের ছাড়পত্র লাগে তা আমার জানা নাই, প্রয়োজন হলে আমরাও নিবো। চায়ের দোকানেও এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার মিলছে। মুদি দোকানের অন্যান্য পণ্যের সঙ্গেও বিক্রি হচ্ছে  এলপিজি গ্যাস। শুধু তাই নয় ঔষুধ, সিমেন্ট, কসমেটিক এমনকি লাইব্রেরিসহ ফুটপাতের ছোটখাটো দোকানে অবাধে মিলছে এলপিজি গ্যাসের সিলিন্ডার। তাই আমিও এভাবে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছি।
এক চা দোকানদার গ্যাস ব্যবহারকারী বলেন, গ্যাসের যথাযথ ব্যবহার আমরা করতে পারি না। বাজারে আমরা যেটা পাই সেটাই নিয়ে আসি। এগুলোর ব্যবহারের নিরাপত্তা নিয়ে কিছুই বুঝি না।
আলগী বাজার এজেন্টদের কাছে জানতে চাইলে  বলেন, আমরা বিভিন্ন কোম্পানির সাথে সম্বয় করে, বিভাগীয় পর্যায়ে বিস্ফোরক দপ্তর থেকে ছাড়পত্র এনেছি। সে অনুযায়ী ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছি বলে তারা জানান। সুনির্দিষ্ট ছাড়পত্র দেখাতে পারবো না বলে জানায় অনেক ডিলার।
যেকোনো দোকানে ১০টির উর্ধ্বে গ্যাস সিলিন্ডার থাকলে বিস্ফোরক পরিদফতরের অনুমোদন নিতে হয়। কিন্তু ১০টির উর্ধ্বে গ্যাস সিলিন্ডার থাকলেও কোনো অনুমোদন নেননি গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবসায়ী কেউ। এই উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে প্রত্যেক জায়গায় চায়ের দোকানগুলোতে বসলেই দেখা যায় গ্যাসের চুলা ও সিলিন্ডার। উক্ত চায়ের দোকানগুলোতে বেশিরভাগ সিলিন্ডার গুলো রাখা হয়েছে একেবারেই চুলার পাশে, যেকোনো সময় বড় ধরনের  অগ্নিকা- ঘটার আশংকা আছে। তাছাড়া বেশ কয়েকটি দোকানে লক্ষ করা গেছে গ্যাসের লিলিন্ডারের পাশে বসেই ধুমপান করার দৃশ্য। সিলিন্ডারের পাশেই ম্যাচ ঠুকিয়ে জালানো হয় সিগেরেট, ম্যাচের কাঠিটা আগুনসহ ফেলা হয় সিলিন্ডারের পাশেই।
সরকারি নির্দেশনায় উল্লেখ রয়েছে, জ্বালানি কাজে ব্যবহার‌কৃত সিলিন্ডার গ্যাস কোনো আবাসিক এলাকা বা মার্কেটে বিক্রি করা নিষিদ্ধ। গ্যাস সিলিন্ডার রোদে না রাখা, নিরাপদ দূরত্বে সিলিন্ডার মজুদ করা, উপর থেকে সিলিন্ডার নিচে না ফেলার নির্দেশনাও রয়েছে। এছাড়াও এই সিলিন্ডার বিক্রি করতে গেলে ট্রেড লাইসেন্স ছাড়াও বিস্ফোরক পরিদফতরের লাইসেন্স ও অগ্নিনির্বাপক কর্তৃপক্ষের ছাড়পত্র নিতে হয়। এছাড়া এলপিজি সিলিন্ডারগুলো সংরক্ষণের জায়গায় পর্যাপ্ত বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা থাকা জরুরি। বৈদ্যুতিক সুইচ ও অন্যান্য উপকরণও থাকবে গোডাউনের বাইরের অংশে। স্থানটিও হতে হবে আগুনের ব্যবহার আছে এমন জায়গা থেকে দূরে। এমন শর্তে অনুমোদনের ছড়াছড়ি থাকলেও তদারকি না থাকায় এসব নির্দেশনা আর নিষেধাজ্ঞা মানছেন না উপজেলার বিভিন্ন বাজারের এজেন্ট ও সিলিন্ডার ব্যবসায়ীরা।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার চাই থোয়াইহলা চৌধুরী বলেন, খোলাও জনবহুল জায়গায় ঝুঁকিপূর্ন গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি করা যাবে না। আমরা ব্যবসায়ীদের প্রাথমিক ভাবে সতর্ক করেছি। সচেতনতার লক্ষ্য ফায়ার স্টেশন ডিফেন্সের কর্মীরা, জনসাধারণের মাঝে বিভিন্ন এলাকায় প্রশিক্ষণ দিয়েছে। মানুষ কে সচেতনতার লক্ষ্য কাজ করে যাচ্ছে। আমরা অতিদ্রুত এসবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবো।
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

স্কুলের শ্রেণিকক্ষে ‘আপত্তিকর’ অবস্থায় ছাত্রীসহ প্রধান শিক্ষক আটক

হাইমচরে ফায়ার সার্ভিসের অনুমোদন ছাড়াই যত্রতত্র গ্যাস সিলিন্ডারের ব্যবসা

আপডেট সময় : ০৫:৪৭:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২২
মোঃ সাজ্জাদ হোসেন রনি : আধুনিকতার ছোঁয়ায় নাগরিক জীবনে ক্রমাগত বাড়ছে গ্যাসের চাহিদা। এসব চাহিদা মেটাতে শহর থেকে গ্রাম পর্যায়েও বেড়েই চলেছে গ্যাসের ব্যবহার। হাইমচর উপজেলা জুড়ে নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করেই যত্রতত্র ঝুঁকিপূর্ণ এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। ফায়ার স্টেশন কতৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়াই অবৈধভাবে ব্যবসা করে গেলেও নীরব রয়েছে প্রশাসন। অদৃশ্য এ নীরবতাকে পূঁজি করে ফুটপাতে এমনকি গ্রামের চায়ের দোকান, মুদি, ইলেকট্রনিকস, ফার্মেসীর দোকানেও বেড়েছে গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবসা। যেসব স্থানে গ্যাস সিলিন্ডারের ব্যবসা করছেন সে স্থানে নেই পর্যাপ্ত পরিমাণে নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, হাইমচর উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারের পথে ঘাটে যত্রতত্র এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডারের দোকান রয়েছে। এসব দোকান মালিকরা কোনো বিধি-নিষেধ মানছে না। বিস্কোরক পরিদফতরের ও ফায়ার সার্ভিসের অনুমোদন পরামর্শ ছাড়াই ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। শুধু ইউনিয়ন পরিষদের ট্রেড লাইসেন্সের ভরসায় ব্যবসা করে চলছেন অনেক ব্যবসায়ীরা। এসবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয়ায় উপজেলার বিভিন্ন এলাকার বাজার গ্রাম  গুলোতে অকাধে চলছে গ্যাস সিলিন্ডারের ব্যবসা। আবার এসব ব্যবসায়ীদের কাছে নেই পর্যাপ্ত পরিমাণে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রপাতি। ফলে দুর্ঘটনার শঙ্কা রয়ে যায়। উপজেলা সদর আলগী বাজারের দোকানের পাশে থাকা খোলামেলা ফুটপাতে খালি বোতল ও মজুদ করে গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। এতে নেই কোনো লাইসেন্স ও অগ্নিনির্বাপক কর্তৃপক্ষের ছাড়পত্র।
উল্লেখ, হাইমচর উপজেলার চরভৈরবী লঞ্চঘাটে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনায় প্রায় ২০-২৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ছাড়পত্র ছাড়াই খোলামেলা গ্যাস সিলিন্ডার ও পেট্রোল, ডিজেল বিক্রি করা নিয়ম না মেনে গ্যাসের ব্যবহার। এই ঘটনার মতো দৃশ্যপট দেখার আগেই ব্যবসায়ীদের সচেতন হওয়া জরুরি। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নজরদারি প্রয়োজন বলে দাবি করেছেন সচেতন মহল।
গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবসায়ী মাসুদ রানা বলেন, লাইসেন্স ও অগ্নিনির্বাপক কর্তৃপক্ষের ছাড়পত্র লাগে তা আমার জানা নাই, প্রয়োজন হলে আমরাও নিবো। চায়ের দোকানেও এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার মিলছে। মুদি দোকানের অন্যান্য পণ্যের সঙ্গেও বিক্রি হচ্ছে  এলপিজি গ্যাস। শুধু তাই নয় ঔষুধ, সিমেন্ট, কসমেটিক এমনকি লাইব্রেরিসহ ফুটপাতের ছোটখাটো দোকানে অবাধে মিলছে এলপিজি গ্যাসের সিলিন্ডার। তাই আমিও এভাবে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছি।
এক চা দোকানদার গ্যাস ব্যবহারকারী বলেন, গ্যাসের যথাযথ ব্যবহার আমরা করতে পারি না। বাজারে আমরা যেটা পাই সেটাই নিয়ে আসি। এগুলোর ব্যবহারের নিরাপত্তা নিয়ে কিছুই বুঝি না।
আলগী বাজার এজেন্টদের কাছে জানতে চাইলে  বলেন, আমরা বিভিন্ন কোম্পানির সাথে সম্বয় করে, বিভাগীয় পর্যায়ে বিস্ফোরক দপ্তর থেকে ছাড়পত্র এনেছি। সে অনুযায়ী ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছি বলে তারা জানান। সুনির্দিষ্ট ছাড়পত্র দেখাতে পারবো না বলে জানায় অনেক ডিলার।
যেকোনো দোকানে ১০টির উর্ধ্বে গ্যাস সিলিন্ডার থাকলে বিস্ফোরক পরিদফতরের অনুমোদন নিতে হয়। কিন্তু ১০টির উর্ধ্বে গ্যাস সিলিন্ডার থাকলেও কোনো অনুমোদন নেননি গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবসায়ী কেউ। এই উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে প্রত্যেক জায়গায় চায়ের দোকানগুলোতে বসলেই দেখা যায় গ্যাসের চুলা ও সিলিন্ডার। উক্ত চায়ের দোকানগুলোতে বেশিরভাগ সিলিন্ডার গুলো রাখা হয়েছে একেবারেই চুলার পাশে, যেকোনো সময় বড় ধরনের  অগ্নিকা- ঘটার আশংকা আছে। তাছাড়া বেশ কয়েকটি দোকানে লক্ষ করা গেছে গ্যাসের লিলিন্ডারের পাশে বসেই ধুমপান করার দৃশ্য। সিলিন্ডারের পাশেই ম্যাচ ঠুকিয়ে জালানো হয় সিগেরেট, ম্যাচের কাঠিটা আগুনসহ ফেলা হয় সিলিন্ডারের পাশেই।
সরকারি নির্দেশনায় উল্লেখ রয়েছে, জ্বালানি কাজে ব্যবহার‌কৃত সিলিন্ডার গ্যাস কোনো আবাসিক এলাকা বা মার্কেটে বিক্রি করা নিষিদ্ধ। গ্যাস সিলিন্ডার রোদে না রাখা, নিরাপদ দূরত্বে সিলিন্ডার মজুদ করা, উপর থেকে সিলিন্ডার নিচে না ফেলার নির্দেশনাও রয়েছে। এছাড়াও এই সিলিন্ডার বিক্রি করতে গেলে ট্রেড লাইসেন্স ছাড়াও বিস্ফোরক পরিদফতরের লাইসেন্স ও অগ্নিনির্বাপক কর্তৃপক্ষের ছাড়পত্র নিতে হয়। এছাড়া এলপিজি সিলিন্ডারগুলো সংরক্ষণের জায়গায় পর্যাপ্ত বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা থাকা জরুরি। বৈদ্যুতিক সুইচ ও অন্যান্য উপকরণও থাকবে গোডাউনের বাইরের অংশে। স্থানটিও হতে হবে আগুনের ব্যবহার আছে এমন জায়গা থেকে দূরে। এমন শর্তে অনুমোদনের ছড়াছড়ি থাকলেও তদারকি না থাকায় এসব নির্দেশনা আর নিষেধাজ্ঞা মানছেন না উপজেলার বিভিন্ন বাজারের এজেন্ট ও সিলিন্ডার ব্যবসায়ীরা।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার চাই থোয়াইহলা চৌধুরী বলেন, খোলাও জনবহুল জায়গায় ঝুঁকিপূর্ন গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি করা যাবে না। আমরা ব্যবসায়ীদের প্রাথমিক ভাবে সতর্ক করেছি। সচেতনতার লক্ষ্য ফায়ার স্টেশন ডিফেন্সের কর্মীরা, জনসাধারণের মাঝে বিভিন্ন এলাকায় প্রশিক্ষণ দিয়েছে। মানুষ কে সচেতনতার লক্ষ্য কাজ করে যাচ্ছে। আমরা অতিদ্রুত এসবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবো।