ঢাকা ০৫:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫, ২৮ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
চাঁদপুরে নতুন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে মাদকবিরোধী সচেতনতা সেমিনার

মাদক সেবনে মানুষের শারীরিক ও মানসিক উভয়প্রকার ক্ষতিসাধন : উপ-পরিচালক মুস্তাফিজুর

চাঁদপুরে নতুন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে মাদকবিরোধী সচেতনতা তৈরি সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপকের বক্তব্যে রাখেন চাঁদপুর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মোহাম্মদ মুস্তাফিজুর রহমান।

চাঁদপুর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মোহাম্মদ মুস্তাফিজুর রহমান বলেছেন, মাদক সেবনে মানুষের শারীরিক ও মানসিক উভয়প্রকার ক্ষতিসাধন হয়। একজন মাদকাসক্ত ব্যক্তির মস্তিষ্ক ও শ্বাসযন্ত্রের কার্যক্ষমতা দিন দিন কমতে থাকে। এসব জীবন বিধ্বংসী ক্ষতিকারক দ্রব্য সেবনের ফলে যুবসমাজের সামাজিক মূল্যবোধের চরম অবক্ষয় ঘটছে। এরই পরিণাম স্বরূপ ছেলেমেয়ের হাতে মা-বাবা খুন, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, রাহাজানি এখনকার নৈমিত্তিক ঘটনা।
সোমবার (১০ফেব্রুয়ারী) সন্ধ্যায় আউটার স্টেডিয়ামে তারুণ্যের মেলা প্রাঙ্গণে জেলা প্রশাসক ও চাঁদপুর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের আয়োজনে নতুন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে মাদকবিরোধী সচেতনতা তৈরি সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপকের বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, মাদক সেবনের কারণে লিভারের সমস্যা, হেপাটাইটিস, কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, জটিল রোগসহ অন্যান্য স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়ে যায়। যারা গ্রুপে মাদক গ্রহণ করেন তাদের সংক্রমণের হার বেড়ে যায়। সমাজের মানুষকে সচেতন হতে হবে, যারা মাদকের সাথে জড়িত তাদেরকে সমাজ থেকে প্রতিহত করতে হবে, মাদক মুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।প্রশাসনকে সহযোগিতা করতে হবে। একজন বাবা, একজন মা এবং তার পরিবারের সদস্যরা, তাদের পরিবার নিয়ে স্বপ্ন থাকে। স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য চেষ্টা থাকে। সেখানে যদি দেখা যায় যে এরকম পরিস্থিতি, তখন স্বাভাবিকভাবেই তখন স্বপ্নভঙ্গের সম্ভাবনা থাকে। মাদকদ্রব্য সেবনে এই প্রতিটি ব্যক্তি নিজেরা যেমন ধ্বংস হচ্ছেন, একই সাথে তারা বিপর্যস্ত করে তুলছেন তাদের পরিবারের সদস্যদের জীবন।
উপ পরিচালক বলেন, আজকে যারা স্কুল বা কলেজে পড়ছে, তারা বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ। তাদের নিয়ে পরিবার, স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবাই স্বপ্ন দেখে। কিন্তু কোনো কারণে কেউ যদি মাদকে আসক্ত হয়ে পড়ে, তাহলে তাকে নিয়ে আর কেউ স্বপ্ন দেখে না। মাদকাসক্তির কারণে পরিবার, প্রতিবেশী বা সমাজ চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে যায়। মাদকাসক্তি সবকিছুকেই ধ্বংস করে দেয়।
তিনি আরও বলেন, মাদক প্রতিরোধে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সংগঠন এনজিও, শিক্ষক, মসজিদের ইমাম বা অন্যান্য ধর্মের বিশিষ্টজন, পিতামাতা, অভিভাবক, জনপ্রতিনিধিসহ সমাজের সকল শ্রেণি-পেশার মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে। স্ব স্ব ক্ষেত্রে থেকে তাঁরা তাঁদের বক্তব্য ও কর্মের মাধ্যমে জনগণকে মাদকের বিরুদ্ধে সচেতন করে তুলবেন এটা আমাদের প্রত্যাশা। স্কুল- কলেজে সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি মাদকের ভয়াবহ কুফল সম্পর্কে শিক্ষাদান ও বেকারদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। সর্বোপরি মাদকমুক্ত সমাজ গড়তে আমাদের সকলকে সচেতন হতে হবে।
ট্যাগস :

স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য হলেন নূরে আলম গাজী

চাঁদপুরে নতুন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে মাদকবিরোধী সচেতনতা সেমিনার

মাদক সেবনে মানুষের শারীরিক ও মানসিক উভয়প্রকার ক্ষতিসাধন : উপ-পরিচালক মুস্তাফিজুর

আপডেট সময় : ০৯:৫৪:১৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
চাঁদপুর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মোহাম্মদ মুস্তাফিজুর রহমান বলেছেন, মাদক সেবনে মানুষের শারীরিক ও মানসিক উভয়প্রকার ক্ষতিসাধন হয়। একজন মাদকাসক্ত ব্যক্তির মস্তিষ্ক ও শ্বাসযন্ত্রের কার্যক্ষমতা দিন দিন কমতে থাকে। এসব জীবন বিধ্বংসী ক্ষতিকারক দ্রব্য সেবনের ফলে যুবসমাজের সামাজিক মূল্যবোধের চরম অবক্ষয় ঘটছে। এরই পরিণাম স্বরূপ ছেলেমেয়ের হাতে মা-বাবা খুন, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, রাহাজানি এখনকার নৈমিত্তিক ঘটনা।
সোমবার (১০ফেব্রুয়ারী) সন্ধ্যায় আউটার স্টেডিয়ামে তারুণ্যের মেলা প্রাঙ্গণে জেলা প্রশাসক ও চাঁদপুর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের আয়োজনে নতুন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে মাদকবিরোধী সচেতনতা তৈরি সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপকের বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, মাদক সেবনের কারণে লিভারের সমস্যা, হেপাটাইটিস, কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, জটিল রোগসহ অন্যান্য স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়ে যায়। যারা গ্রুপে মাদক গ্রহণ করেন তাদের সংক্রমণের হার বেড়ে যায়। সমাজের মানুষকে সচেতন হতে হবে, যারা মাদকের সাথে জড়িত তাদেরকে সমাজ থেকে প্রতিহত করতে হবে, মাদক মুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।প্রশাসনকে সহযোগিতা করতে হবে। একজন বাবা, একজন মা এবং তার পরিবারের সদস্যরা, তাদের পরিবার নিয়ে স্বপ্ন থাকে। স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য চেষ্টা থাকে। সেখানে যদি দেখা যায় যে এরকম পরিস্থিতি, তখন স্বাভাবিকভাবেই তখন স্বপ্নভঙ্গের সম্ভাবনা থাকে। মাদকদ্রব্য সেবনে এই প্রতিটি ব্যক্তি নিজেরা যেমন ধ্বংস হচ্ছেন, একই সাথে তারা বিপর্যস্ত করে তুলছেন তাদের পরিবারের সদস্যদের জীবন।
উপ পরিচালক বলেন, আজকে যারা স্কুল বা কলেজে পড়ছে, তারা বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ। তাদের নিয়ে পরিবার, স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবাই স্বপ্ন দেখে। কিন্তু কোনো কারণে কেউ যদি মাদকে আসক্ত হয়ে পড়ে, তাহলে তাকে নিয়ে আর কেউ স্বপ্ন দেখে না। মাদকাসক্তির কারণে পরিবার, প্রতিবেশী বা সমাজ চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে যায়। মাদকাসক্তি সবকিছুকেই ধ্বংস করে দেয়।
তিনি আরও বলেন, মাদক প্রতিরোধে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সংগঠন এনজিও, শিক্ষক, মসজিদের ইমাম বা অন্যান্য ধর্মের বিশিষ্টজন, পিতামাতা, অভিভাবক, জনপ্রতিনিধিসহ সমাজের সকল শ্রেণি-পেশার মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে। স্ব স্ব ক্ষেত্রে থেকে তাঁরা তাঁদের বক্তব্য ও কর্মের মাধ্যমে জনগণকে মাদকের বিরুদ্ধে সচেতন করে তুলবেন এটা আমাদের প্রত্যাশা। স্কুল- কলেজে সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি মাদকের ভয়াবহ কুফল সম্পর্কে শিক্ষাদান ও বেকারদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। সর্বোপরি মাদকমুক্ত সমাজ গড়তে আমাদের সকলকে সচেতন হতে হবে।