ঢাকা ০৫:১৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫, ২৯ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফরিদগঞ্জের সেই ছাত্রদল নেতাকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে ফেসবুকে সমালোচনার ঝড়

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে ‘আপনার ওসি স্যাররে বলেন এখানে আসতে’ বলা সেই নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। আটক ওই নেতার নাম শাওন কাবী রিজা। তিনি ফরিদগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের রুপসা (দক্ষিণ) ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি।

এ ঘটনায় বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনে তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।

মঙ্গলবার রাতে থানায় যেতে বললে শাওন কাবী রিজা বলেন, ‘আমি যাব না, আপনার ওসি স্যাররে বলেন এখানে আসতে। এসময় ফরিদগঞ্জ থানার এসআই খোকন চন্দ্র দাশের হাত থেকে মোবাইলফোন কেড়ে নিয়ে কথা বলার চেষ্টা করেন তিনি। এমন একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে তাকে আটক করা হয়।

ওই ঘটনার পর ছাত্রদল নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

Model Hospital

বুধবার ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমের স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি শাওন কাবী রিজাকে গ্রেফতারে প্রতিবাদে ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম (ফেসবুকে) তীব্র নিন্দা ও সমালোচনার ঝড় বইছে।

মোঃ ইসহাক সরকার লিখেছেন, এই বয়সে একটু আকটু রক্ত গরম সবারই থাকে। আর এই রক্ত গরম থাকাতেই আমরা ৩৬ই জুলাই২৪ স্বৈরাচার মুক্ত স্বাধীনতা পেয়েছি। একজন প্রতিবাদ কারী ছাত্রনেতার হাতে যেভাবে হাত কড়া পরানো হয়েছে যা কোন স্বৈরাচারের হাতেও পরানো হয়না। তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাই। এইসব ভুলগুলো এলাকার মুরুব্বিরা সব সময় সহজেই সমাধান করে দেয়।

ছেলেটা হয়ত কথা বলার বচন এবং ভঙ্গিমা খারাপ ছিলো কিন্তু এই আচরণের আগে তাদের সাথে ঘটে গেছে অনেক বড় অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা যা দেরিতে হলেও জানতে পেরেছি।

ঝামেলা সূচনা হয়েছে ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদকের সাথে গাড়ি ওভারটেকিং নিয়ে। প্রাইভেটকার এবং হুন্ডা একসাথে একটা টলিকে ওভারটেকিং করার সময় হুন্ডায় থাকা ইউনিয়ন ছাত্রদল সেক্রেটারি হুন্ডাসহ রাস্তার পাশে পড়ে গিয়ে আঘাত পায়। প্রাইভেট কার গাড়িটি না থামিয়ে যখন স্থানীয় বাজার গৃদকালিন্দিয়া পৌঁছায় তখন পিছন থেকে হুন্ডায় থাকা ওরা গাড়ীর গতিরোধ করে তখনই ঝামেলা শুরু হয়।
ঐ সময় কাবির ঘটনা স্থলে আসলে গাড়ির লোকজনের সাথে কথা কাটাকাটি হয় এক পর্যায়ে হয়ত হাতাহাতিও হয়।

গাড়ীর লোকজন গাড়ী রেখে থানায় এসে অভিযোগ দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে কাবিরকে গ্রেফতার করতে যায়। কাবির থানায় যেতে না চাইলে পুলিশ ফোর্স কোন প্রকার তদন্ত ছাড়াই থানায় নেওয়ার চেষ্টা করে এবং ওসির সাথে যোগাযোগ করে কাবিরকে অপরাধী বানানোর চেষ্টা করে। এভাবেই ঝামেলা শুরু হয়ে এক পর্যায়ে এলাকার মুরুব্বিরা সমাধানও করে ফেলে কিন্তু তার আগেই সোস্যাল মিডিয়ায় নিউজ ভাইরাল হয়ে কাবির অপরাধী হয়ে যায়। দল তাকে ততক্ষনাত শাস্তি সরূপ বহিষ্কারও করে।

#অবিলম্বে_এই_প্রতিবাদী_ছাত্রনেতার_মুক্তি_চাই পোস্টটি ১ হাজার শেয়ার ও ৫শ’ মন্তব্য ছাড়িয়েছে।

সাবেক ছাত্রনেতা মোস্তফা কামাল মন্তব্য করে লিখেন, ছবিটা স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে কাভি খারাপ ব্যবহার করার আগে একাধিকবার দারোগাকে রিকুয়েস্ট করেছে, ওসির সাথে ফোনে কথা বলার জন্য! কিন্তু পুলিশ তা করতে না দিয়ে বিষয়টাকে উত্তেজিত করেছে, যা ভিডিও থেকেই দেখা যাচ্ছে! এরপর তো দেখলাম ৫আগষ্টের পর থানা ভাঙচুরের মামলা দেয়া হয়েছে! ঘটনা বুঝার আর কিছুই এখন বাকি নেই! কাভির বিরুদ্ধে মিডিয়া ট্রায়ালের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি!

এছাড়া মোস্তফা কামাল কাভীর ৫ আগস্টে আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত দুটি ছবি ও দলিয় বহিস্কারের প্যাড দিয়ে একটি পোস্টে লিখেন, একটু গালি দিয়ে বলি! ওসি এমন কোন………. যে, সে ডাকলেন যাইতে হবে? আমি ঘৃনাভরে প্রত্যাখ্যান করি এই বহিষ্কারাদেশ! যেখানে সেখানে কোন যাচাই ছাড়াই বহিষ্কার, কমিটি বিলুপ্ত, প্রত্যাহারের নিকৃষ্ট খেলা বন্ধ হোক! ওই পোস্টটি ৩৫ জন শেয়ার করেছেন এবং শতাধিক নেতা-কর্মী মন্তব্য করেছেন কাভীর পক্ষ্যে।

মনির হোসেন জাবের রিপ্লাইতে লিখেছেন, Mostafa Kamal ছাত্রদল কর্মি কেনো নিষিদ্ধ ছাত্র লীগের পোলা পাইন এর মত আচরন করবে। একজন থানার অফিসার ইনচার্জ তাকে ডেকে পাঠাইছে আইনের প্রতি বিন্দুমাত্র সম্মান থাকলে অথবা ছাত্রদলের আদর্শ তার মধ্যে থাকলে সে কখনোই এ রকম রাপ ব্যবহার করতে পারতো না। ছাত্র দলের কর্মি হবার ও যোগ্য তার নেই। নম্র ভদ্রতা আদর্শ শিক্ষা যার মধ্যে নেই সে কখনোই নিজে কে ছাত্র দলের কর্মি হতে পারে না

জুবায়ের হোসেন লিখেছেন, পুলিশ ইচ্ছেকৃতভাবে উত্তেজনা সৃষ্টি করে বিষয়টি ঘোলাটে করেছে, ভিডিওতে স্পষ্ট কাবি বলেছে আমি ওসি স্যারের সাথে কথা বলবো কিন্তু এস আই মোবাইলে ওসিকে মিথ্যা তথ্য দিলো যে কাবি নাকি খারাপ ব্যবহার করে মোবাইল নিয়ে টানাটানি করছে। যারা পুলিশ এবং ছাত্রলীগের করা ভিডিও ভাইরাল করে আজকে পরিক্ষিত নির্যাতিত একটা ছাত্রনেতার বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। আপনাদের বিবেক কে প্রশ্ন করুন এটা কি আদোও ঠিক হয়েছে?

নাঈম আহম্মেদ লিখেছেন, এসআই খোকন চন্দ্র দাস, আওয়ামী লীগ ও রয়ের দালাল।

ইব্রাহিম খলিল লিখেছেন, “০৫ ই আগস্ট থানা ভাংচুরের মামলায় গ্রেফতার শাওন কাভি” ব্যাপক ভাইরাল ঘটনার পরের গ্রেফতার দেখানো মামলার ব্যাপারে খোঁজ রেখেছেন? দুটো মামলার একটা পুলিশের কাজে বাধা দেওয়া এবং অন্যটা ০৫ ই আগস্ট থানা ভাংচুরের মামলা। তার মানে ০৫ ই আগস্ট গণ-অভ্যুত্থান পুলিশের ভাষায় অসাংবিধানিক। এবং এ মামলায় সারাদেশের লক্ষ কোটি জনগনকে গ্রেফতার সম্ভব। সুতরাং সাবধান হন, নিজের পাছাও বাঁচানোর চেস্টা করুন।

মোঃ শাহাবুদ্দিন লিখেছেন, কথা হলো একজন ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি কি তার নিজের পরিচয় দিতে পারবে না?? সে যদি তার পরিচয় দিলে অপরাধি হয়, তাহলে এই পদের মূল্য কি??? বর্তমানে যেসব ওসি, এসআই দায়িত্বে বহাল, এরাই তো গত ১৭ বছর আমার আপনার মতো বি,এন,পির কর্মিদের খুজে খুজে পিটাইছে, ঘর বাড়ি ছাড়া করছে,, তারা এখনো বহাল কিভাবে?? কিসের সংস্কার করতেছেন? ওসির সাথে ছেলেটা কথা বলতে চাইচে এটা কি অপরাধ?? । নাকি পরিচয় দেওয়া? একজন ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি একদিনে তৈরি হয়নাই।

রোটাঃ শরিফ মজুমদার লিখেছেন, এই কথাটা কখন বলছে ওসি কি এখানে আসতে বলেন যখন সে বিনয়ের সাথে বলেছেন যে আমি ওসি স্যারের সাথে কথা বলতে চাই কিন্তু ফ্যাসিবাদ পুলিশ সাব-ইন্সপেক্টর তা উল্টো হিসাবকে বুঝিয়েছেন এখনো ফ্যাসিবাদ বাংলাদেশের রয়েছে।

আবার কয়েকজন কাভীর বিরুদ্ধে গিয়ে হুমায়ন রশিদ নামে একজন মন্তব্য করেছেন, এসব পাতি নেতার কাছে প্রশাসন অসহায়, দেশের পরিস্থিতি এমনি এমনি কি আর অস্থিতিশীল আছে।

এ বি খান নামে আরেকজন মন্তব্য করেছেন, ৫৬ হাজার বর্গমাইলের প্রতিটা ইঞ্চিতে নব্য স্বৈরাচারদের হুমকি ধামকি এবং চাঁদাবাজির তাণ্ডবলীলা চলতেছে, সব জায়গা তো আর তাৎক্ষণিক ক্যামেরা ওপেন হয় না ভিডিও করা হয় না, ভাগ্যিস এখানে একজন ভিডিও করে ফেলেছে, না হয় এটা আড়ালেই থেকে যেত।

আবার কাভীর পক্ষ্যে প্রতিবাদ স্বরূপ পোস্ট করে বছির উদ্দিন লিখেছেন,দলের পরিচয় দিলে বহিষ্কার ফ্রী ✌

হায়দার আখন লিখেছেন, আমি শাহরাস্তি পৌর সেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব এর দ্বায়ীত্ব পালন করতেছি। সেখানে আবার অনেকে ঠাট্টা করে মন্তব্যের ঘরে লিখেছেন ‘তুমি’ বহিষ্কার।

এস টি সুলতান টাইমলাইনে পোস্ট করেছেন, ফরিদগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদল নেতা শাওনের গ্রেপ্তার ও পরবর্তী বহিষ্কার সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। কোনো অভিযোগ বা তদন্ত ছাড়াই তাকে থানায় যেতে বাধ্য করা এবং পরে দলে বহিষ্কার করা চরম অগণতান্ত্রিক ও অন্যায়।

ত্যাগী ও মাঠপর্যায়ের নেতাকর্মীদের এভাবে অবমূল্যায়ন করলে ভবিষ্যতে দলের ভিত দুর্বল হয়ে পড়বে। ২৪ আগস্টের বিজয় কোনো অফিসকেন্দ্রিক নেতার মাধ্যমে আসেনি; এটি ত্যাগী কর্মীদের সংগ্রামের ফল। অথচ আজ সত্যিকারের কর্মীরা অবিচারের শিকার হচ্ছে, আর দলের নেতৃত্ব এ বিষয়ে নির্বিকার।

সাহসী নেতৃত্ব গড়ে তোলার পরিবর্তে যাচাই-বাছাই ছাড়াই বহিষ্কার, কমিটি বিলুপ্তি ও দমন-পীড়নের সংস্কৃতি চালু থাকলে দল শক্তি হারাবে। তদন্ত সাপেক্ষে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা না করলে ভবিষ্যতে দলের প্রতি তৃণমূলের আস্থা নষ্ট হবে। এখনই এসব অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে হবে।

ট্যাগস :

বিশ্ব কিডনি দিবসে চাঁদপুরে ক্যাম্পস কিডনি এন্ড ডায়ালাইসিস সেন্টারের বর্ণাঢ্য র‍্যালী

ফরিদগঞ্জের সেই ছাত্রদল নেতাকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে ফেসবুকে সমালোচনার ঝড়

আপডেট সময় : ১২:০৬:৫২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে ‘আপনার ওসি স্যাররে বলেন এখানে আসতে’ বলা সেই নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। আটক ওই নেতার নাম শাওন কাবী রিজা। তিনি ফরিদগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের রুপসা (দক্ষিণ) ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি।

এ ঘটনায় বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনে তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।

মঙ্গলবার রাতে থানায় যেতে বললে শাওন কাবী রিজা বলেন, ‘আমি যাব না, আপনার ওসি স্যাররে বলেন এখানে আসতে। এসময় ফরিদগঞ্জ থানার এসআই খোকন চন্দ্র দাশের হাত থেকে মোবাইলফোন কেড়ে নিয়ে কথা বলার চেষ্টা করেন তিনি। এমন একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে তাকে আটক করা হয়।

ওই ঘটনার পর ছাত্রদল নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

Model Hospital

বুধবার ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমের স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি শাওন কাবী রিজাকে গ্রেফতারে প্রতিবাদে ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম (ফেসবুকে) তীব্র নিন্দা ও সমালোচনার ঝড় বইছে।

মোঃ ইসহাক সরকার লিখেছেন, এই বয়সে একটু আকটু রক্ত গরম সবারই থাকে। আর এই রক্ত গরম থাকাতেই আমরা ৩৬ই জুলাই২৪ স্বৈরাচার মুক্ত স্বাধীনতা পেয়েছি। একজন প্রতিবাদ কারী ছাত্রনেতার হাতে যেভাবে হাত কড়া পরানো হয়েছে যা কোন স্বৈরাচারের হাতেও পরানো হয়না। তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাই। এইসব ভুলগুলো এলাকার মুরুব্বিরা সব সময় সহজেই সমাধান করে দেয়।

ছেলেটা হয়ত কথা বলার বচন এবং ভঙ্গিমা খারাপ ছিলো কিন্তু এই আচরণের আগে তাদের সাথে ঘটে গেছে অনেক বড় অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা যা দেরিতে হলেও জানতে পেরেছি।

ঝামেলা সূচনা হয়েছে ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদকের সাথে গাড়ি ওভারটেকিং নিয়ে। প্রাইভেটকার এবং হুন্ডা একসাথে একটা টলিকে ওভারটেকিং করার সময় হুন্ডায় থাকা ইউনিয়ন ছাত্রদল সেক্রেটারি হুন্ডাসহ রাস্তার পাশে পড়ে গিয়ে আঘাত পায়। প্রাইভেট কার গাড়িটি না থামিয়ে যখন স্থানীয় বাজার গৃদকালিন্দিয়া পৌঁছায় তখন পিছন থেকে হুন্ডায় থাকা ওরা গাড়ীর গতিরোধ করে তখনই ঝামেলা শুরু হয়।
ঐ সময় কাবির ঘটনা স্থলে আসলে গাড়ির লোকজনের সাথে কথা কাটাকাটি হয় এক পর্যায়ে হয়ত হাতাহাতিও হয়।

গাড়ীর লোকজন গাড়ী রেখে থানায় এসে অভিযোগ দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে কাবিরকে গ্রেফতার করতে যায়। কাবির থানায় যেতে না চাইলে পুলিশ ফোর্স কোন প্রকার তদন্ত ছাড়াই থানায় নেওয়ার চেষ্টা করে এবং ওসির সাথে যোগাযোগ করে কাবিরকে অপরাধী বানানোর চেষ্টা করে। এভাবেই ঝামেলা শুরু হয়ে এক পর্যায়ে এলাকার মুরুব্বিরা সমাধানও করে ফেলে কিন্তু তার আগেই সোস্যাল মিডিয়ায় নিউজ ভাইরাল হয়ে কাবির অপরাধী হয়ে যায়। দল তাকে ততক্ষনাত শাস্তি সরূপ বহিষ্কারও করে।

#অবিলম্বে_এই_প্রতিবাদী_ছাত্রনেতার_মুক্তি_চাই পোস্টটি ১ হাজার শেয়ার ও ৫শ’ মন্তব্য ছাড়িয়েছে।

সাবেক ছাত্রনেতা মোস্তফা কামাল মন্তব্য করে লিখেন, ছবিটা স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে কাভি খারাপ ব্যবহার করার আগে একাধিকবার দারোগাকে রিকুয়েস্ট করেছে, ওসির সাথে ফোনে কথা বলার জন্য! কিন্তু পুলিশ তা করতে না দিয়ে বিষয়টাকে উত্তেজিত করেছে, যা ভিডিও থেকেই দেখা যাচ্ছে! এরপর তো দেখলাম ৫আগষ্টের পর থানা ভাঙচুরের মামলা দেয়া হয়েছে! ঘটনা বুঝার আর কিছুই এখন বাকি নেই! কাভির বিরুদ্ধে মিডিয়া ট্রায়ালের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি!

এছাড়া মোস্তফা কামাল কাভীর ৫ আগস্টে আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত দুটি ছবি ও দলিয় বহিস্কারের প্যাড দিয়ে একটি পোস্টে লিখেন, একটু গালি দিয়ে বলি! ওসি এমন কোন………. যে, সে ডাকলেন যাইতে হবে? আমি ঘৃনাভরে প্রত্যাখ্যান করি এই বহিষ্কারাদেশ! যেখানে সেখানে কোন যাচাই ছাড়াই বহিষ্কার, কমিটি বিলুপ্ত, প্রত্যাহারের নিকৃষ্ট খেলা বন্ধ হোক! ওই পোস্টটি ৩৫ জন শেয়ার করেছেন এবং শতাধিক নেতা-কর্মী মন্তব্য করেছেন কাভীর পক্ষ্যে।

মনির হোসেন জাবের রিপ্লাইতে লিখেছেন, Mostafa Kamal ছাত্রদল কর্মি কেনো নিষিদ্ধ ছাত্র লীগের পোলা পাইন এর মত আচরন করবে। একজন থানার অফিসার ইনচার্জ তাকে ডেকে পাঠাইছে আইনের প্রতি বিন্দুমাত্র সম্মান থাকলে অথবা ছাত্রদলের আদর্শ তার মধ্যে থাকলে সে কখনোই এ রকম রাপ ব্যবহার করতে পারতো না। ছাত্র দলের কর্মি হবার ও যোগ্য তার নেই। নম্র ভদ্রতা আদর্শ শিক্ষা যার মধ্যে নেই সে কখনোই নিজে কে ছাত্র দলের কর্মি হতে পারে না

জুবায়ের হোসেন লিখেছেন, পুলিশ ইচ্ছেকৃতভাবে উত্তেজনা সৃষ্টি করে বিষয়টি ঘোলাটে করেছে, ভিডিওতে স্পষ্ট কাবি বলেছে আমি ওসি স্যারের সাথে কথা বলবো কিন্তু এস আই মোবাইলে ওসিকে মিথ্যা তথ্য দিলো যে কাবি নাকি খারাপ ব্যবহার করে মোবাইল নিয়ে টানাটানি করছে। যারা পুলিশ এবং ছাত্রলীগের করা ভিডিও ভাইরাল করে আজকে পরিক্ষিত নির্যাতিত একটা ছাত্রনেতার বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। আপনাদের বিবেক কে প্রশ্ন করুন এটা কি আদোও ঠিক হয়েছে?

নাঈম আহম্মেদ লিখেছেন, এসআই খোকন চন্দ্র দাস, আওয়ামী লীগ ও রয়ের দালাল।

ইব্রাহিম খলিল লিখেছেন, “০৫ ই আগস্ট থানা ভাংচুরের মামলায় গ্রেফতার শাওন কাভি” ব্যাপক ভাইরাল ঘটনার পরের গ্রেফতার দেখানো মামলার ব্যাপারে খোঁজ রেখেছেন? দুটো মামলার একটা পুলিশের কাজে বাধা দেওয়া এবং অন্যটা ০৫ ই আগস্ট থানা ভাংচুরের মামলা। তার মানে ০৫ ই আগস্ট গণ-অভ্যুত্থান পুলিশের ভাষায় অসাংবিধানিক। এবং এ মামলায় সারাদেশের লক্ষ কোটি জনগনকে গ্রেফতার সম্ভব। সুতরাং সাবধান হন, নিজের পাছাও বাঁচানোর চেস্টা করুন।

মোঃ শাহাবুদ্দিন লিখেছেন, কথা হলো একজন ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি কি তার নিজের পরিচয় দিতে পারবে না?? সে যদি তার পরিচয় দিলে অপরাধি হয়, তাহলে এই পদের মূল্য কি??? বর্তমানে যেসব ওসি, এসআই দায়িত্বে বহাল, এরাই তো গত ১৭ বছর আমার আপনার মতো বি,এন,পির কর্মিদের খুজে খুজে পিটাইছে, ঘর বাড়ি ছাড়া করছে,, তারা এখনো বহাল কিভাবে?? কিসের সংস্কার করতেছেন? ওসির সাথে ছেলেটা কথা বলতে চাইচে এটা কি অপরাধ?? । নাকি পরিচয় দেওয়া? একজন ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি একদিনে তৈরি হয়নাই।

রোটাঃ শরিফ মজুমদার লিখেছেন, এই কথাটা কখন বলছে ওসি কি এখানে আসতে বলেন যখন সে বিনয়ের সাথে বলেছেন যে আমি ওসি স্যারের সাথে কথা বলতে চাই কিন্তু ফ্যাসিবাদ পুলিশ সাব-ইন্সপেক্টর তা উল্টো হিসাবকে বুঝিয়েছেন এখনো ফ্যাসিবাদ বাংলাদেশের রয়েছে।

আবার কয়েকজন কাভীর বিরুদ্ধে গিয়ে হুমায়ন রশিদ নামে একজন মন্তব্য করেছেন, এসব পাতি নেতার কাছে প্রশাসন অসহায়, দেশের পরিস্থিতি এমনি এমনি কি আর অস্থিতিশীল আছে।

এ বি খান নামে আরেকজন মন্তব্য করেছেন, ৫৬ হাজার বর্গমাইলের প্রতিটা ইঞ্চিতে নব্য স্বৈরাচারদের হুমকি ধামকি এবং চাঁদাবাজির তাণ্ডবলীলা চলতেছে, সব জায়গা তো আর তাৎক্ষণিক ক্যামেরা ওপেন হয় না ভিডিও করা হয় না, ভাগ্যিস এখানে একজন ভিডিও করে ফেলেছে, না হয় এটা আড়ালেই থেকে যেত।

আবার কাভীর পক্ষ্যে প্রতিবাদ স্বরূপ পোস্ট করে বছির উদ্দিন লিখেছেন,দলের পরিচয় দিলে বহিষ্কার ফ্রী ✌

হায়দার আখন লিখেছেন, আমি শাহরাস্তি পৌর সেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব এর দ্বায়ীত্ব পালন করতেছি। সেখানে আবার অনেকে ঠাট্টা করে মন্তব্যের ঘরে লিখেছেন ‘তুমি’ বহিষ্কার।

এস টি সুলতান টাইমলাইনে পোস্ট করেছেন, ফরিদগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদল নেতা শাওনের গ্রেপ্তার ও পরবর্তী বহিষ্কার সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। কোনো অভিযোগ বা তদন্ত ছাড়াই তাকে থানায় যেতে বাধ্য করা এবং পরে দলে বহিষ্কার করা চরম অগণতান্ত্রিক ও অন্যায়।

ত্যাগী ও মাঠপর্যায়ের নেতাকর্মীদের এভাবে অবমূল্যায়ন করলে ভবিষ্যতে দলের ভিত দুর্বল হয়ে পড়বে। ২৪ আগস্টের বিজয় কোনো অফিসকেন্দ্রিক নেতার মাধ্যমে আসেনি; এটি ত্যাগী কর্মীদের সংগ্রামের ফল। অথচ আজ সত্যিকারের কর্মীরা অবিচারের শিকার হচ্ছে, আর দলের নেতৃত্ব এ বিষয়ে নির্বিকার।

সাহসী নেতৃত্ব গড়ে তোলার পরিবর্তে যাচাই-বাছাই ছাড়াই বহিষ্কার, কমিটি বিলুপ্তি ও দমন-পীড়নের সংস্কৃতি চালু থাকলে দল শক্তি হারাবে। তদন্ত সাপেক্ষে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা না করলে ভবিষ্যতে দলের প্রতি তৃণমূলের আস্থা নষ্ট হবে। এখনই এসব অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে হবে।