ঢাকা ০৫:৩২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কচুয়ায় আল্লাহর ৯৯ নামের স্তম্ভ’ উদ্বোধন

মোঃ রাছেল : চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলায় দক্ষিণ-পশ্চিম ডুমুরিয়া গ্রামে ‘আল্লাহর ৯৯ নামের স্তম্ভ’ এর নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার পর আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন হয়েছে।

Model Hospital

বুধবার (১৩ জুলাই) বিকেলে স্তম্ভ আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন কচুয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাহজাহান শিশির ও কচুয়া পৌরসভার মেয়র মো. নাজমুল আলম (স্বপন)। ওই গ্রামের বায়তুল আমান জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. মোস্তফা কামাল মিয়াজী ‘আল্লাহর ৯৯ নামের স্তম্ভ’ নির্মাণের জন্য প্রথমে উদ্যোগ নেন। এরপর তার বড় ছেলে আব্দুল হান্নান মিয়াজী ও স্থানীয়দের অর্থয়ানে প্রায় ১৩ লাখ টাকা ব্যয়ে স্তম্ভটি নির্মাণ হয়।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও সমাজসেবকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন হাজী মো. জাকির হোসেন মিয়াজী, মো. আমান উল্যাহ, আবু বকর মজুমদার, মো. সুমন, মো. ওয়াদুদ মজুমদার, এডভোকেট আইয়ুব আলী, মো. আবদুল হান্নান মিয়াজী, মোস্তফা ফখরুদ্দীন আহমেদ ও মো. বোরহান উদ্দিন মজুমদার।

আবদুল হান্নান মিয়াজী বলেন, দক্ষিণ-পশ্চিম ডুমুরিয়া বায়তুল আমান জামে মসজিদের সামনে ‘আল্লাহর ৯৯ নামের স্তম্ভ’ এই স্তম্ভটি নির্মাণ করা হয়েছে সাওয়াবের উদ্দেশ্যে। এখানে রাস্তা দিয়ে যেসব লোকজন হাঁটাচলা করবে তারা দেখবে পড়বে। এতে তাদের যেমন সাওয়াব হবে এবং নির্মাণে জড়িতরাও সাওয়াব পাবে। এটি উচ্চতায় প্রায় ৪০ফুট। এটি নির্মাণে প্রায় ১০ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। আমি নিজে অর্থয়ান করেছি, পাশাপাশি স্থানীয় লোকজনও যার যার অবস্থান থেকে সহযোগিতা করেছেন।

বায়তুল আমান জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি রফিকুল ইসলাম মিয়াজী বলেন, আমার ছোট ভাই মোস্তফা কামাল আল্লাহর ৯৯ নামের এই স্তম্ভ নির্মাণের উদ্যোগ নেন। দেশে এই ধরণের স্তম্ভ আরো কয়েকটি আছে। সেগুলো দেখেই সে অনুপ্রেরণা পায়। এরপর বিষয়টি সন্তান আব্দুল হান্নানকে জানান। ছেলেও তার সাথে একমত হয় এবং নির্মাণ কাজ শুরু করেন। আলহামদুলিল্লাহ নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এখন মানুষ এটি দেখবে, আল্লাহর নাম স্মরণ করবে, এটাই আমাদের বড় পাওনা।

তিনি আরো বলেন, দেশের অন্যান্য অঞ্চলে যে ‘আল্লাহর ৯৯ নামের স্তম্ভ’ নির্মিত হয়েছে, সেখানে সরকারি অর্থায়ন ছিল। আমরা সম্পূর্ণ নিজেদের অর্থয়ানে নির্মাণ করেছি। এখন এটি রক্ষণা বেক্ষণে যদি সরকারের পক্ষ থেকে কোন অর্থায়ন করা হয়, তাহলে আমরা গ্রহণ করব। কারণ প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে এটির ক্ষয়ক্ষতি হলে মেরামত করার প্রয়োজন হবে। আমরা আর্থিক অনুদানের বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান ও পৌরসভার মেয়র এর মাধ্যমে সরকারের নিকট আবেদন করব।

উদ্যোক্তা মো. মোস্তফা কামাল মিয়াজী বলেন, এক সময় আমাদের এলাকার লোকজন মসজিদ না থাকায় রাস্তায় নামাজ পড়তেন। আমরা উদ্যোগ নিয়ে পরবর্তীতে বায়তুল আমান জামে মসজিদ নির্মাণ করি। এরপর নিজেদের মধ্যে চিন্তা হয় একটি স্মরণীয় কিছু নির্মাণ করার। তখনই আল্লাহর ৯৯ নাম খচিত স্তম্ভ নির্মাণ করার উদ্যোগ গ্রহণ করি। আসা-যাওয়ার পথে আল্লাহকে স্মরণ করার জন্যই মূলত এটি নির্মাণ করা। চাঁদপুর জেলায়ও এই স্তম্ভ প্রথম নির্মিত হল।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

স্কুলের শ্রেণিকক্ষে ‘আপত্তিকর’ অবস্থায় ছাত্রীসহ প্রধান শিক্ষক আটক

কচুয়ায় আল্লাহর ৯৯ নামের স্তম্ভ’ উদ্বোধন

আপডেট সময় : ০৫:০৭:৪১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ জুলাই ২০২২

মোঃ রাছেল : চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলায় দক্ষিণ-পশ্চিম ডুমুরিয়া গ্রামে ‘আল্লাহর ৯৯ নামের স্তম্ভ’ এর নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার পর আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন হয়েছে।

Model Hospital

বুধবার (১৩ জুলাই) বিকেলে স্তম্ভ আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন কচুয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাহজাহান শিশির ও কচুয়া পৌরসভার মেয়র মো. নাজমুল আলম (স্বপন)। ওই গ্রামের বায়তুল আমান জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. মোস্তফা কামাল মিয়াজী ‘আল্লাহর ৯৯ নামের স্তম্ভ’ নির্মাণের জন্য প্রথমে উদ্যোগ নেন। এরপর তার বড় ছেলে আব্দুল হান্নান মিয়াজী ও স্থানীয়দের অর্থয়ানে প্রায় ১৩ লাখ টাকা ব্যয়ে স্তম্ভটি নির্মাণ হয়।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও সমাজসেবকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন হাজী মো. জাকির হোসেন মিয়াজী, মো. আমান উল্যাহ, আবু বকর মজুমদার, মো. সুমন, মো. ওয়াদুদ মজুমদার, এডভোকেট আইয়ুব আলী, মো. আবদুল হান্নান মিয়াজী, মোস্তফা ফখরুদ্দীন আহমেদ ও মো. বোরহান উদ্দিন মজুমদার।

আবদুল হান্নান মিয়াজী বলেন, দক্ষিণ-পশ্চিম ডুমুরিয়া বায়তুল আমান জামে মসজিদের সামনে ‘আল্লাহর ৯৯ নামের স্তম্ভ’ এই স্তম্ভটি নির্মাণ করা হয়েছে সাওয়াবের উদ্দেশ্যে। এখানে রাস্তা দিয়ে যেসব লোকজন হাঁটাচলা করবে তারা দেখবে পড়বে। এতে তাদের যেমন সাওয়াব হবে এবং নির্মাণে জড়িতরাও সাওয়াব পাবে। এটি উচ্চতায় প্রায় ৪০ফুট। এটি নির্মাণে প্রায় ১০ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। আমি নিজে অর্থয়ান করেছি, পাশাপাশি স্থানীয় লোকজনও যার যার অবস্থান থেকে সহযোগিতা করেছেন।

বায়তুল আমান জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি রফিকুল ইসলাম মিয়াজী বলেন, আমার ছোট ভাই মোস্তফা কামাল আল্লাহর ৯৯ নামের এই স্তম্ভ নির্মাণের উদ্যোগ নেন। দেশে এই ধরণের স্তম্ভ আরো কয়েকটি আছে। সেগুলো দেখেই সে অনুপ্রেরণা পায়। এরপর বিষয়টি সন্তান আব্দুল হান্নানকে জানান। ছেলেও তার সাথে একমত হয় এবং নির্মাণ কাজ শুরু করেন। আলহামদুলিল্লাহ নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এখন মানুষ এটি দেখবে, আল্লাহর নাম স্মরণ করবে, এটাই আমাদের বড় পাওনা।

তিনি আরো বলেন, দেশের অন্যান্য অঞ্চলে যে ‘আল্লাহর ৯৯ নামের স্তম্ভ’ নির্মিত হয়েছে, সেখানে সরকারি অর্থায়ন ছিল। আমরা সম্পূর্ণ নিজেদের অর্থয়ানে নির্মাণ করেছি। এখন এটি রক্ষণা বেক্ষণে যদি সরকারের পক্ষ থেকে কোন অর্থায়ন করা হয়, তাহলে আমরা গ্রহণ করব। কারণ প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে এটির ক্ষয়ক্ষতি হলে মেরামত করার প্রয়োজন হবে। আমরা আর্থিক অনুদানের বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান ও পৌরসভার মেয়র এর মাধ্যমে সরকারের নিকট আবেদন করব।

উদ্যোক্তা মো. মোস্তফা কামাল মিয়াজী বলেন, এক সময় আমাদের এলাকার লোকজন মসজিদ না থাকায় রাস্তায় নামাজ পড়তেন। আমরা উদ্যোগ নিয়ে পরবর্তীতে বায়তুল আমান জামে মসজিদ নির্মাণ করি। এরপর নিজেদের মধ্যে চিন্তা হয় একটি স্মরণীয় কিছু নির্মাণ করার। তখনই আল্লাহর ৯৯ নাম খচিত স্তম্ভ নির্মাণ করার উদ্যোগ গ্রহণ করি। আসা-যাওয়ার পথে আল্লাহকে স্মরণ করার জন্যই মূলত এটি নির্মাণ করা। চাঁদপুর জেলায়ও এই স্তম্ভ প্রথম নির্মিত হল।