নিজস্ব প্রতিনিধি : চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলায় যৌতুকের জন্য মাদকাসক্ত স্বামীর অমানুষিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন এক সন্তানের মা রিপা আক্তার। এর আগেও একাধিকবার অসহায় ওই গৃহবধূর উপর নির্যাতন করেন তার স্বামী বাবু মুন্সী। যৌতুকলোভী স্বামীর পৈশাচিক ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার পদুয়া গ্রামের মুন্সী বাড়িতে।
জানা যায়, প্রায় ৩/৪ বছর পূর্বে মতলব দক্ষিণ উপজেলার পদুয়া মুন্সী বাড়ির তাজুল ইসলাম মুন্সীর ছেলে বাবু মুন্সী জোড়পূর্বক ভাবে একই বাড়ির আব্দুল মালেক মুন্সীর মেয়ে রিপা আক্তারকে বিয়ে করেন। কিন্তু বাবু বিভিন্ন কলাকৌশলে বিয়ের কাবিন নামা করাইনি। বিয়ের কিছু দিন পর থেকে নানা অজুহাতে স্ত্রীর মাধ্যমে শ্বশুরালয়ে টাকা দাবি করে আসছিল বাবু মুন্সী।
স্বামী-সংসারে সুখের কথা ভেবে বিয়ের পর থেকেই বহুবার অসহায় রিপা তার পিত্রালয় থেকে চাহিদামত যথাসাধ্য টাকা নিয়ে স্বামীকে দিয়েছে। কখনো টাকা এনে দিতে বিলম্ব বা কিংবা না দিলে তার উপর চলত অমানুষিক শারিরীক ও মানুষিক নির্যাতন।
রিপা আক্তার তার সন্তানের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে স্বামীর নির্যাতনের পরেও ঘর সংসার করতে থাকে। এমতবস্থায় গত ১৭/১১/২০২১ ইং তারিখে বাবু আবারও যৌতুকের টাকার দাবীতে রিপাকে গালিগালাজ ও মানুষিক চাপ দিতে থাকে। একপর্যায়ে বাবু রিপাতে বিবস্ত্র করে বাঁশের সাথে বেধে এ্যালোপাথারী কিল ঘুষি ও মারপিট করতে থাকে। একপর্যায়ে বাবু রিপার বাম পায়ের হাড় ভেঙ্গে ফেলে।
নির্যাতিতা রিপা আক্তারের মা আক্তার বেগম জানান, বাবু বিভিন্ন সময় নানাভাবে তাদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন। বর্তমানে ফের টাকার জন্য আমার মেয়ে রিপার উপর অমানুষিক নির্যাতন শুরু করেছে।
কাবিন নামার না করানোর বিষয়ে প্রশ্ন করলে নির্যাতিতা রিপার বাবা আব্দুল মালেক বলেন, আমরা অনেকবার চেষ্টা করেছি এবং বাবু ও তার পরিবারকে বলেছি বিয়ের কাবিন নামা করানোর জন্য। কিন্তু বাবু ও তার পরিবার কাবিন নামা করতে নারাজ। বাবুকে কাবিন নামা না করার কারন জানতে চাইলে সে মারধর সহ প্রানে মেরে ফেলার হুমকি- ধামকি প্রদান করে।