ঢাকা ০৯:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চাঁদপুরের চান্দ্রা গ্যারেজ থেকে অটোবাইক চুরি, থানায় অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার : চাঁদপুর সদর উপজেলার ১২নং চান্দ্রা ইউনিয়নের বাখরপুর মধ্য মদনা, খান মার্কেটের মোঃ আনোয়ার হোসেন আনু খান এর গ্যারেজ থেকে রহস্যজনক ভাবে রাতের আধারে ঢালী বাড়ির মোঃ মাসুদ ঢালীর অটো চুরি হয়। এতে করে মোঃ মাসুদ ঢালী এক প্রতারক অটোর ড্রাইভার রাসেল ও গ্যারেজ মালিক আনোয়ার হোসেন আনু কে বিবাদী করে চাঁদপুর মডেল থানায় একটা লিখিত অভিযোগ করেন।

Model Hospital

জানা যায় ১৪’ই অক্টোবর বৃহস্পতিবার মাসুদ ঢালী প্রতিদিনের ন্যায় তার অটোবাইকটি মোঃ আনোয়ার হোসেন আনুর ভাড়া গ্যারেজে রেখে বাড়ি চলে যান। গ্যারেজের যে কক্ষে মাসুদ ঢালী তার অটোবাইক রাখতো, গ্যারেজের ঐ রুমেই আনুর মার্কেট সংলগ্ন খান বাড়ি মোঃ মিজান খানের ছেলে বখাটে প্রতারক রাসেল (২৩) খান তারও অটোবাইক রাখতো। বিনিময়ে গ্যারেজের মালিক আনোয়ার হোসেন আনুকে প্রতিটি অটোবাইক বাবদ প্রতি রাতে চার্জ ও নিরাপত্তা জন্য ১৫০ টাকা করে দিতে হয়। আনুর গ্যারেজে ৬ সাটারে মোট ৭ টি অটোবাইক রাখা হয় প্রতিরাতে। গ্যারেজের যে কক্ষে মাসুদ ও রাসেল তাদের অটো রাখতো, ঐ কক্ষের চাবি মাসুদ, রাসেল ও আনুর কাছে ছিল। আর সাথেই ছিল আনোয়ার হোসেন আনুর থাকার বসতঘর।

এই বিষয়ে গ্যারেজ মালিক আনোয়ার হোসেন আনু জানান যে, আমি ভোর চারটা বাজে উঠে দেখি যে আমার গ্যারেজের পশ্চিম প্রান্তের কক্ষের সাটার অর্ধেক উঠানো, ব্রিজের নিকট একটি অটোবাইক ও একটি পিকআপ দেখতে পাই, আমি রুমের ভিতরে গিয়ে দেখি মাসুদের ও রাসেলের অটো টি গ্যারেজের ভিতরে নেই। গ্যারেজের কোন তালা ভাঙ্গা নেই, সাটারও আগের অবস্থায় ঠিক-ঠাক আছে। পরে আমি রাসলেকে জানালে রাসেল ভোর রাতেই মাসুদকে কল করে জানায় যে, তার ও মাসুদের অটোবাইক চুরি হয়ে গেছে। মাসুদ খবর শুনে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে ছুটে আসে তার অটোবাইক ফিরে পাওয়ার জন্য এদিক-ওদিক ছুটোছুটি করে।

এ বিষয়ে অটোবাইক মালিক মাসুদ জানান, আমি রাতে গ্যারেজে অটোবাইক রেখে আসার সময় রাসেল আমার কাছ থেকে গ্যারেজের রুমের চাবি নিয়ে যায়। রাসেল’ই আমাকে ভোর রাতে মোবাইল করে জানান, আমার অটোবাইক চুরি হয়ে গেছে। আমি তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে ছুটে আসি, এদিক ওদিক ছুটোছুটি করি অটোবাইক পাওয়ার জন্য। আমার পরিবারের একমাত্র উপার্জনের মাধ্যম’ই ছিল আমার অটোবাইকটা।আজ কয়েকটা দিন আমি আমার পরিবার-পরিজন নিয়ে কর্মহীন হয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করতেছি। এদিকে ঘটনার দিন রাসেল আমাকে বলে আমি তাকে দশ হাজার টাকা দিলে, সে আমার অটোবাইকটি উদ্ধার করে দেবে, তবে বিষয়টি কাউকে না জানানোর অনুরোধ করে। আমি তাকে টাকা দিবো বললে সে পরবর্তীতে তাল বাহানা করলে আমি আমার অটোবাইক চুরির ঘটনাটি স্থানীয় এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের কাছে জানাই।

বিষয়টি ১২নং চান্দ্রা কমিউনিটি পুলিশের সাধারণ সম্পাদক হাবিব কে জানালে তিনি গ্যারেজ মালিক আনোয়ার হোসেন আনু ও অটোবাইক ড্রাইভার রাসেল সহ স্থানীয় কিছু গণ্যমান ব্যক্তিদের নিয়ে বসে। কিন্তু কিছু সালিশিদের হট্রঘোলের জন্য বিষয়টি সেখানে সমাধান হয়নি। পরে স্থানীয় লোকদের পরামর্শ ক্রমে রাসেলকে ১নং বিবাদী, গ্যারেজ মালিক আনোয়ার হোসেন আনুকে ২নং বিবাদী করে চাঁদপুর মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করলে উপ-পরিদর্শক মোঃ ফারুক আহমেদ বিষয়টি তদন্ত করে যান।

এ বিষয়ে উপ-পরিদর্শক মোঃ ফারুক আহমেদ বলেন, মাসুদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করি। ঘটনাটির সাথে চুরির কোন কোন পাওয়া যায় নি। আমি তালা ও সাটার সহ সব ঠিক ঠাক পেয়েছি। বাহিরের কেউ এখানে চুরি করতে আসেনি। গ্যারেজে কোন সিসি ক্যামেরা নেই, কোন নৈশ প্রহরীও নেই।

এদিকে এলাকাবাসীর দাবি রাসেল অটোবাইক চালানোর আড়ালে অটোবাইক চুরি করে। সে এই বয়সে একাধিক অটোরিকশা হাতবদল করেছে। অনেক অটোবাইক চুরির সঙ্গে সে জড়িত। রাসেল’ইআনুর সঙ্গে আঁতাত করে মাসুদের অটোবাইকটি চুরি করে নিয়ে যায়। আর তার যদি অটো

চুরিই হত তাহলে সে স্থানীয় কাউকে জানালোনা কেন? থানায় হারানো জিডি করলো না কেন? তার মধ্যে কোন হারানোর চেতনাই নেই। সে কৌশলে সারার জন্য তার অটোটি সরিয়ে রেখে মাসুদের অটোটি চুরি করে। আমারা সবাই তার শাস্তি দাবি করছি।

এদিকে রাসেল খান সুকৌশলে জানান, আমি ভোর রাতে জানতে পারি মাসুদের অটোবাইকটি চুরি হয়েছে, সাথে আমারটাও। পরে আমি ঘটনার স্থলে যাই। আমিও অটোবাইক খোজাখুজি করি।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ব‍্যাংকার্স ক্লাব চাঁদপুর’র আত্নপ্রকাশ

চাঁদপুরের চান্দ্রা গ্যারেজ থেকে অটোবাইক চুরি, থানায় অভিযোগ

আপডেট সময় : ০৪:৪১:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ নভেম্বর ২০২১

স্টাফ রিপোর্টার : চাঁদপুর সদর উপজেলার ১২নং চান্দ্রা ইউনিয়নের বাখরপুর মধ্য মদনা, খান মার্কেটের মোঃ আনোয়ার হোসেন আনু খান এর গ্যারেজ থেকে রহস্যজনক ভাবে রাতের আধারে ঢালী বাড়ির মোঃ মাসুদ ঢালীর অটো চুরি হয়। এতে করে মোঃ মাসুদ ঢালী এক প্রতারক অটোর ড্রাইভার রাসেল ও গ্যারেজ মালিক আনোয়ার হোসেন আনু কে বিবাদী করে চাঁদপুর মডেল থানায় একটা লিখিত অভিযোগ করেন।

Model Hospital

জানা যায় ১৪’ই অক্টোবর বৃহস্পতিবার মাসুদ ঢালী প্রতিদিনের ন্যায় তার অটোবাইকটি মোঃ আনোয়ার হোসেন আনুর ভাড়া গ্যারেজে রেখে বাড়ি চলে যান। গ্যারেজের যে কক্ষে মাসুদ ঢালী তার অটোবাইক রাখতো, গ্যারেজের ঐ রুমেই আনুর মার্কেট সংলগ্ন খান বাড়ি মোঃ মিজান খানের ছেলে বখাটে প্রতারক রাসেল (২৩) খান তারও অটোবাইক রাখতো। বিনিময়ে গ্যারেজের মালিক আনোয়ার হোসেন আনুকে প্রতিটি অটোবাইক বাবদ প্রতি রাতে চার্জ ও নিরাপত্তা জন্য ১৫০ টাকা করে দিতে হয়। আনুর গ্যারেজে ৬ সাটারে মোট ৭ টি অটোবাইক রাখা হয় প্রতিরাতে। গ্যারেজের যে কক্ষে মাসুদ ও রাসেল তাদের অটো রাখতো, ঐ কক্ষের চাবি মাসুদ, রাসেল ও আনুর কাছে ছিল। আর সাথেই ছিল আনোয়ার হোসেন আনুর থাকার বসতঘর।

এই বিষয়ে গ্যারেজ মালিক আনোয়ার হোসেন আনু জানান যে, আমি ভোর চারটা বাজে উঠে দেখি যে আমার গ্যারেজের পশ্চিম প্রান্তের কক্ষের সাটার অর্ধেক উঠানো, ব্রিজের নিকট একটি অটোবাইক ও একটি পিকআপ দেখতে পাই, আমি রুমের ভিতরে গিয়ে দেখি মাসুদের ও রাসেলের অটো টি গ্যারেজের ভিতরে নেই। গ্যারেজের কোন তালা ভাঙ্গা নেই, সাটারও আগের অবস্থায় ঠিক-ঠাক আছে। পরে আমি রাসলেকে জানালে রাসেল ভোর রাতেই মাসুদকে কল করে জানায় যে, তার ও মাসুদের অটোবাইক চুরি হয়ে গেছে। মাসুদ খবর শুনে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে ছুটে আসে তার অটোবাইক ফিরে পাওয়ার জন্য এদিক-ওদিক ছুটোছুটি করে।

এ বিষয়ে অটোবাইক মালিক মাসুদ জানান, আমি রাতে গ্যারেজে অটোবাইক রেখে আসার সময় রাসেল আমার কাছ থেকে গ্যারেজের রুমের চাবি নিয়ে যায়। রাসেল’ই আমাকে ভোর রাতে মোবাইল করে জানান, আমার অটোবাইক চুরি হয়ে গেছে। আমি তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে ছুটে আসি, এদিক ওদিক ছুটোছুটি করি অটোবাইক পাওয়ার জন্য। আমার পরিবারের একমাত্র উপার্জনের মাধ্যম’ই ছিল আমার অটোবাইকটা।আজ কয়েকটা দিন আমি আমার পরিবার-পরিজন নিয়ে কর্মহীন হয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করতেছি। এদিকে ঘটনার দিন রাসেল আমাকে বলে আমি তাকে দশ হাজার টাকা দিলে, সে আমার অটোবাইকটি উদ্ধার করে দেবে, তবে বিষয়টি কাউকে না জানানোর অনুরোধ করে। আমি তাকে টাকা দিবো বললে সে পরবর্তীতে তাল বাহানা করলে আমি আমার অটোবাইক চুরির ঘটনাটি স্থানীয় এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের কাছে জানাই।

বিষয়টি ১২নং চান্দ্রা কমিউনিটি পুলিশের সাধারণ সম্পাদক হাবিব কে জানালে তিনি গ্যারেজ মালিক আনোয়ার হোসেন আনু ও অটোবাইক ড্রাইভার রাসেল সহ স্থানীয় কিছু গণ্যমান ব্যক্তিদের নিয়ে বসে। কিন্তু কিছু সালিশিদের হট্রঘোলের জন্য বিষয়টি সেখানে সমাধান হয়নি। পরে স্থানীয় লোকদের পরামর্শ ক্রমে রাসেলকে ১নং বিবাদী, গ্যারেজ মালিক আনোয়ার হোসেন আনুকে ২নং বিবাদী করে চাঁদপুর মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করলে উপ-পরিদর্শক মোঃ ফারুক আহমেদ বিষয়টি তদন্ত করে যান।

এ বিষয়ে উপ-পরিদর্শক মোঃ ফারুক আহমেদ বলেন, মাসুদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করি। ঘটনাটির সাথে চুরির কোন কোন পাওয়া যায় নি। আমি তালা ও সাটার সহ সব ঠিক ঠাক পেয়েছি। বাহিরের কেউ এখানে চুরি করতে আসেনি। গ্যারেজে কোন সিসি ক্যামেরা নেই, কোন নৈশ প্রহরীও নেই।

এদিকে এলাকাবাসীর দাবি রাসেল অটোবাইক চালানোর আড়ালে অটোবাইক চুরি করে। সে এই বয়সে একাধিক অটোরিকশা হাতবদল করেছে। অনেক অটোবাইক চুরির সঙ্গে সে জড়িত। রাসেল’ইআনুর সঙ্গে আঁতাত করে মাসুদের অটোবাইকটি চুরি করে নিয়ে যায়। আর তার যদি অটো

চুরিই হত তাহলে সে স্থানীয় কাউকে জানালোনা কেন? থানায় হারানো জিডি করলো না কেন? তার মধ্যে কোন হারানোর চেতনাই নেই। সে কৌশলে সারার জন্য তার অটোটি সরিয়ে রেখে মাসুদের অটোটি চুরি করে। আমারা সবাই তার শাস্তি দাবি করছি।

এদিকে রাসেল খান সুকৌশলে জানান, আমি ভোর রাতে জানতে পারি মাসুদের অটোবাইকটি চুরি হয়েছে, সাথে আমারটাও। পরে আমি ঘটনার স্থলে যাই। আমিও অটোবাইক খোজাখুজি করি।