ঢাকা ০৬:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শাহরাস্তিতে ৬০ লিটার ভেজাল দুধ জব্দ, বিক্রেতার পলায়ন 

শাহরাস্তিতে পানি মিশ্রিত ৬০ লিটার  ভেজাল দুধ শনাক্ত করে বিনষ্ট করলেন সেনেটারী ইন্সপেক্টর ও নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক।
শনিবার সকালে পৌরশহরের মেহের কালীবাড়ি বাজারে অভিযানে এ ভেজাল দুধ শনাক্ত করে বিনষ্ট করা হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ওই বাজারে অধিক মুনাফার আশায় পৌরশহর ও আশপাশের এলাকা থেকে ছোট বড় খামারীরা এ বাজারে দুধ বিক্রি করতে আসে প্রায় প্রতিদিন ।
সম্প্রতি মাহে রমজানকে সামনে রেখে ওই দুধ বিক্রি সিন্ডিকেট ৫০-৬০ টাকার দুধ ১০০-১২০ টাকা দাম হাকাচ্ছেন। এ আকাশচুম্বী দুধের  দামের মধ্যে ভোক্তাপর্যায়ে এর  মান নিয়ে প্রতিনিয়ত প্রশ্ন উঠছে। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে শাহরাস্তি উপজেলা সেনেটারী ইন্সপেক্টর ও নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক মো. ফায়দুল্যাহ মিঞা ওই দিন সকালে আকস্মিক এ অভিযান পরিচালনা করেন।
ওই সময় ৫ জন দুধ বিক্রেতার দুধ  পরীক্ষায় অতিরিক্ত পানির মিশ্রণ  সনাক্ত হলে তারা দুধ রেখে দ্রুত কেটে পড়ে। পরে বিষয়টি চাউর হতে উৎসক  জনতা ভিড় জমিয়ে জব্দকৃত দুধ বিনষ্ট করতে নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক কে সহযোগিতা করে।
এ প্রসঙ্গে শাহরাস্তি উপজেলার সাবেক প্রাণী সম্পদ অফিসার ডা: দুলাল চন্দ্র ঘোষ বলেন, খামারিদের ভোক্তা পর্যায়ের  বিশুদ্ধ দুধ  সরবরাহ করার একটি আদর্শিক কমিটমেন্ট রয়েছে। তারপরও কিছু দুষ্কৃতিকারী খামারি নিরাপদ খাদ্যে তথা দুধের মধ্যে পানি মিশ্রণ করে শিশু, বৃদ্ধ, রোগী এবং জনগণের প্রাণিজ আমিষ চাহিদার বড় একটি মাধ্যমের সঙ্গে হঠকারিতা করছে। যা একটি আইনি অপরাধ, দু:খ জনক কাজ।
এ বিষয়ে গাভী পালনকারী ও খামারীরা জনস্বার্থে দায়িত্বশীল ও সচেতন হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এ প্রসঙ্গে অভিযানকারী নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক ও সেক্রেটারি ইন্সপেক্টর  মো. ফায়দুল্যাহ মিঞা বলেন, ভোক্তা পর্যায়ে নিরাপদ খাদ্য সরবরাহ করতে সরকার ও সংশ্লিষ্ট দপ্তর বদ্ধপরিকর। এই ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে তিনি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন।
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

৩ জনকে ছাড়িয়ে নিতে থানায় হামলা বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের

শাহরাস্তিতে ৬০ লিটার ভেজাল দুধ জব্দ, বিক্রেতার পলায়ন 

আপডেট সময় : ০৪:৩৮:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৩
শাহরাস্তিতে পানি মিশ্রিত ৬০ লিটার  ভেজাল দুধ শনাক্ত করে বিনষ্ট করলেন সেনেটারী ইন্সপেক্টর ও নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক।
শনিবার সকালে পৌরশহরের মেহের কালীবাড়ি বাজারে অভিযানে এ ভেজাল দুধ শনাক্ত করে বিনষ্ট করা হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ওই বাজারে অধিক মুনাফার আশায় পৌরশহর ও আশপাশের এলাকা থেকে ছোট বড় খামারীরা এ বাজারে দুধ বিক্রি করতে আসে প্রায় প্রতিদিন ।
সম্প্রতি মাহে রমজানকে সামনে রেখে ওই দুধ বিক্রি সিন্ডিকেট ৫০-৬০ টাকার দুধ ১০০-১২০ টাকা দাম হাকাচ্ছেন। এ আকাশচুম্বী দুধের  দামের মধ্যে ভোক্তাপর্যায়ে এর  মান নিয়ে প্রতিনিয়ত প্রশ্ন উঠছে। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে শাহরাস্তি উপজেলা সেনেটারী ইন্সপেক্টর ও নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক মো. ফায়দুল্যাহ মিঞা ওই দিন সকালে আকস্মিক এ অভিযান পরিচালনা করেন।
ওই সময় ৫ জন দুধ বিক্রেতার দুধ  পরীক্ষায় অতিরিক্ত পানির মিশ্রণ  সনাক্ত হলে তারা দুধ রেখে দ্রুত কেটে পড়ে। পরে বিষয়টি চাউর হতে উৎসক  জনতা ভিড় জমিয়ে জব্দকৃত দুধ বিনষ্ট করতে নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক কে সহযোগিতা করে।
এ প্রসঙ্গে শাহরাস্তি উপজেলার সাবেক প্রাণী সম্পদ অফিসার ডা: দুলাল চন্দ্র ঘোষ বলেন, খামারিদের ভোক্তা পর্যায়ের  বিশুদ্ধ দুধ  সরবরাহ করার একটি আদর্শিক কমিটমেন্ট রয়েছে। তারপরও কিছু দুষ্কৃতিকারী খামারি নিরাপদ খাদ্যে তথা দুধের মধ্যে পানি মিশ্রণ করে শিশু, বৃদ্ধ, রোগী এবং জনগণের প্রাণিজ আমিষ চাহিদার বড় একটি মাধ্যমের সঙ্গে হঠকারিতা করছে। যা একটি আইনি অপরাধ, দু:খ জনক কাজ।
এ বিষয়ে গাভী পালনকারী ও খামারীরা জনস্বার্থে দায়িত্বশীল ও সচেতন হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এ প্রসঙ্গে অভিযানকারী নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক ও সেক্রেটারি ইন্সপেক্টর  মো. ফায়দুল্যাহ মিঞা বলেন, ভোক্তা পর্যায়ে নিরাপদ খাদ্য সরবরাহ করতে সরকার ও সংশ্লিষ্ট দপ্তর বদ্ধপরিকর। এই ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে তিনি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন।