মো: রাছেল : পঞ্চম ধাপে আগামী ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হচ্ছে কচুয়া উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন। সেলক্ষ্যে মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ৯ ডিসেম্বর। ব্যাপক উৎসব মুখর পরিবেশে মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ ও জমা হচ্ছে।
মঙ্গলবার নৌকার মনোনয়ন প্রাপ্ত কড়ইয়া ইউনিয়নের আব্দুল সালাম সওদাগর পক্ষে মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়া হয়েছে, বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন কড়ইয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ জিসান আহমেদ পাটোয়ারী। ৭নং সদর দক্ষিণ কচুয়ার আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন প্রাপ্ত আলী আজগর পক্ষ থেকে মনোনয়ন পত্র জমা হয়েছে। এছাড়া ১২টি ইউনিয়নে সদস্য পদে শর্তাধিক মেম্বার প্রার্থীর মনোনয়ন পত্র জমা হয়েছে। ক্ষমতাসীন দলের যারা মনোনয়ন পায়নি ওইসব মনোনয়ন বঞ্চিতরা বসে নেই। ৪ নং পালাখাল মডেল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও বর্তমান চেয়ারম্যান ইমাম হোসেন সোহাগ বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন।
এছাড়া গতকাল আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর মধ্যে বেশকজন মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেছেন। এদের মধ্যে উল্লেখ যোগ্য হচ্ছেন- পাথৈর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা মোস্তাফিজুর রহমান জুয়েল, ৬নং উত্তর কচুয়া ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা জহিরুল ইসলাম জাহাঙ্গীর , এ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী জহিরুল ইসলাম টগর, গোহট উত্তর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আমিন উদ্দিন, এ ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান মুন্সী ও যুবলীগ নেতা সোহাগ মিয়া, কচুয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সালমা শহীদ, ৩নং বিতারা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অর্থ-সম্পাদক ইসমাইল হোসেন ভূঁইয়া, ১১নং দক্ষিণ গোহট ইউনিয়নে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকির হোসেন প্রমুখ।
মনোনয়ন বঞ্চিতদের অনেকেই প্রার্থী হবেন বলে জানিয়েছেন। বিএনপি দলীয় ভাবে নির্বাচন অংশ না নিলেও এ দলের বেশ কজন স্বতন্ত্র হিসেবে প্রার্থী হবেন বলে জানায়।