নিজস্ব প্রতিনিধি : মতলব দক্ষিণ উপজেলার নারায়ণপুর বাজারে আপন ছোট ভাইয়ের মিথ্যাচার ও মামলার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বড় ভাই মোঃ আবু সায়েদ সরকার। মঙ্গলবার ( ৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় স্থানীয় সংবাদ কর্মীদের উপস্থিতিতে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে নারায়ণপুর ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামের মৃত নুরুজ্জামান সরকারের ছেলে আবু সায়েদ সরকার অভিযোগ করে বলেন, প্রবাসী হিসেবে তিনি দীর্ঘদিন সৌদি আরবে ছিলেন। প্রবাস থেকে বাংলাদেশে আসার পূর্বে তিনি তার আপন ছোট ভাই মোঃ মোজাম্মেল সরকারকে সৌদি আরবে পাঠান। পরবর্তীতে দুই ভাইয়ের যৌথ বিনিয়ণপুর বাজারে একখণ্ড জমি ক্রয় করেন এবং সেই জমিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে তিন তলা ভবন নির্মাণ করেন। ভবন নির্মাণে তাদের উভয়ের বিনিয়োগ ছিল এবং ভবনের ভাড়াটিয়াদের কাছ থেকে প্রাপ্ত ভাড়ার টাকা দুই ভাই সমানভাবে ভাগ করে ভোগ করে আসছিলেন। ২০১২ সালে তাদের ভবন একটি হাসপাতালকে ভাড়া দিতে গিয়ে চুক্তি ভঙ্গের কারণ জরিমানা দিতে হয়। আর সেই সময় থেকেই ছোট ভাই মোজাম্মেল সরকার ওই ভবনের অন্যান্য ভাড়াটিয়াদের কাছ থেকে প্রাপ্ত ভাড়ার টাকা তাকে দিচ্ছে না। ভাড়ার টাকা চাইতে গেলে মোজাম্মেল বিভিন্নভাবে হুমকি এবং মিথ্যা মামলার ভয় দেখায়।
সংবাদ সম্মেলনে আবু সাহেদ সরকার আরো বলেন, তার ছোট ভাই মোজাম্মেল সরকার ভবনের তিনতলায় তার পরিবার নিয়ে বসবাসের কারণে ভবনের ভাড়াটিয়াদের উপর প্রভাব বিস্তার করত। ভবনের ভাড়াটিয়াদের অর্থ চাওয়ার কারণে ২০২০ সালে মিথ্যা মামলা দিয়ে তাকে জেলহাজতে পাঠায়। নিজের অর্থের বিনিময়ে গড়ে ওঠা ভবনের ভাড়ার টাকার জন্য ২০২১ সালের শুরুতে নারায়নপুর বণিক সমিতির সমঝোতায় ভবনের পশ্চিম পাশের ভাড়াটিয়াদের ভাড়ার অর্থ তাকে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেও মোজাম্মেল মেনে নেয়নি। তবে সে নিচতলার একটি দোকানের ভাড়া ও ভাড়াটিয়ার সাথে আমার চুক্তিপত্রে সম্মতি জানায়।
আবু সায়েদ সরকার বলেন, নিচতলার একটি দোকান আমি সাহেব আলী নামের এক ব্যক্তিকে দিয়েছিলাম। কিন্তু সে তার পারিবারিক কারণে দোকান অন্য এক ব্যক্তির নিকট ছেড়ে দিতে চাইলে আমি সম্মতি জানাই। গত ৪ ডিসেম্বর সেই দোকান অপর ব্যবসায়ীকে বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য উপস্থিত হলে মোজাম্মেল বাধা সৃষ্টি করে এবং হুমকি দেয়। ওই সময় নারায়ণপুর বণিক সমিতির সভাপতি স্বপন মজুমদার ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আমার ছোট ভাইকে শান্ত হওয়ার জন্য বললে সে বণিক সমিতির সভাপতিকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল এবং হুমকি দেয় একপর্যায়ে মোজাম্মেল একটি হাতুড়ি দিয়ে আমাকে এবং বণিক সমিতির সভাপতি কে মারার জন্য উদ্যত হলে উপস্থিত লোকজন তার কাছ থেকে হাতুড়ি টি কেড়ে নেয়। আর এই বিষয়টিকে সে পুঁজি করে বণিক সমিতির সভাপতিসহ আমার বিরুদ্ধে মামলা করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে আবু সায়েদ সরকার বলেন, আমি আমার ছোট ভাইকে নিজ খরচে প্রবাসী নিয়েছিলাম। ভবন নির্মাণ করেছিলাম যৌথভাবে, কিন্তু ২০১২ সালের পর থেকেই সে বিপথে পরিচালিত হয় এবং মাদকাসক্ত হয়ে পড়ে। আমি আমার পরিজন নিয়ে রসুলপুর গ্রামের বাড়িতে বসবাস করি বলেই আমাকে সে আমার প্রাপ্য হিসাব থেকে বঞ্চিত করতে মিথ্যা মামলা এবং হুমকি দিয়ে আসছে। আমি আমার ভবনের ন্যায্য অধিকার ফিরে পেতে প্রশাসনের দৃষ্টি কামনা করছি।