ঢাকা ০৭:২২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

জমে ওঠেছে হাইমচর আলগী বাজারের শীতের পিঠার দোকান

মোঃ সাজ্জাদ হোসেন রনি : কুয়াশাচ্ছন্ন সকাল-সন্ধ্যার হিমেল বাতাসে সরিষা, ধনেপাতা, শুটকি ভর্তা মাখিয়ে গরম গরম চিতই পিঠা খাওয়ার কথা মনে হলেই ‍জিভে জ্বল আসে। ভাপা পিঠার সুগন্ধি ধোঁয়ার মন আনচান করে ওঠে। শীতের আমেজ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কদর বেড়েছে এসব নানা রকমের পিঠার। গ্রামে ও শহরে পিঠার দোকানে ভিড় জমতে শুরু করেছে।
এই শীতে মুখরোচকদের চাহিদা মেটাতে দেশের অন্যান্য জায়গার মতো হাইমচর উপজেলা সদর আলগী বাজারের বিভিন্ন মোড়ে গড়ে উঠেছে অস্থায়ী ও ভ্রাম্যমাণ পিঠার দোকান। এসব দোকানে মূলত ভাপা, চিতই, তেলের পিঠাসহ নানান বাহারি পিঠা বানানো হচ্ছে। প্রতিটি পিঠার দাম ৫-১০ টাকা। রিকশাচালক, দিনমজুর, শিশু-কিশোর, চাকরিজীবী, শিক্ষার্থী সব শ্রেণি-পেশার মানুষই পিঠার এসব দোকানে ভিড় করছে। অনেকে কর্মস্থল থেকে ফেরার পথে সন্ধ্যায় পিঠা নিয়ে যাচ্ছেন বাড়িতে।
পুরুষদের পাশাপাশি অনেক নারীও এসব দোকানে পিঠা বিক্রি করে বাড়তি আয় করছেন। তবে পিঠা বিক্রেতারা বলছেন, চালসহ দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি হলেও পিঠার দাম বাড়েনি।
হাইমচর বাজারের একজন পিঠা ক্রেতা আব্দুস সোবহান বলেন, শীতের ঠাণ্ডা বাতাসে গরম গরম পিঠা খেতে খুব মজা লাগছে। আমি দুইটা খেয়েছি এবং বাড়ীর জন্য ৫টা নিয়ে যাচ্ছি। পিঠা খেতে আসা স্কুলছাত্র রাকিব হোসেন বলেন, বিকাল হলে চপ, শিঙ্গাড়া, পুড়িসহ টুকটাক কিছু খেতাম। কিন্তু এখন ভাপা পিঠা কিনে খাই।
বিসমিল্লাহ মোড়ের পিঠা বিক্রেতা আব্দুর রাজ্জাক কাজী বলেন, শীতের মৌসুমে আমরা বেশ কয়েকজন পিঠা বিক্রি করি। চাহিদা না থাকায় আমি কেবলমাত্র ভাপা পিঠা তৈরি করি।
তিনি জানান, প্রতিদিন সন্ধ্যায় ভ্রাম্যমাণ দোকান বসিয়ে প্রায় ১৮০০-২২০০ টাকার পিঠা বিক্রি করেন তারা। এ থেকে খরচ বাদে প্রায় ৭০০-৯০০ টাকা লাভ হয়।
তিনি বলেন- আমি গরমের সময় দিনমজুরির কাজ করি। শীতের মৌসুমে পিঠা বিক্রি করি। এতে বাড়তি আয় করে ভালভাবে ছেলে-মেয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে ভালই আছি।
আরো পড়ুন  হাইমচরে বাবার বাড়ি থেকে যুবতীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
ট্যাগস :

রামপুর ইউপি চেয়ারম্যানের বাবা তাফাজ্জল ইসলাম পাটওয়ারীর ইন্তেকাল : রবিবার বাদ জোহর দাফন

জমে ওঠেছে হাইমচর আলগী বাজারের শীতের পিঠার দোকান

আপডেট সময় : ০৪:২০:১৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২১
মোঃ সাজ্জাদ হোসেন রনি : কুয়াশাচ্ছন্ন সকাল-সন্ধ্যার হিমেল বাতাসে সরিষা, ধনেপাতা, শুটকি ভর্তা মাখিয়ে গরম গরম চিতই পিঠা খাওয়ার কথা মনে হলেই ‍জিভে জ্বল আসে। ভাপা পিঠার সুগন্ধি ধোঁয়ার মন আনচান করে ওঠে। শীতের আমেজ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কদর বেড়েছে এসব নানা রকমের পিঠার। গ্রামে ও শহরে পিঠার দোকানে ভিড় জমতে শুরু করেছে।
এই শীতে মুখরোচকদের চাহিদা মেটাতে দেশের অন্যান্য জায়গার মতো হাইমচর উপজেলা সদর আলগী বাজারের বিভিন্ন মোড়ে গড়ে উঠেছে অস্থায়ী ও ভ্রাম্যমাণ পিঠার দোকান। এসব দোকানে মূলত ভাপা, চিতই, তেলের পিঠাসহ নানান বাহারি পিঠা বানানো হচ্ছে। প্রতিটি পিঠার দাম ৫-১০ টাকা। রিকশাচালক, দিনমজুর, শিশু-কিশোর, চাকরিজীবী, শিক্ষার্থী সব শ্রেণি-পেশার মানুষই পিঠার এসব দোকানে ভিড় করছে। অনেকে কর্মস্থল থেকে ফেরার পথে সন্ধ্যায় পিঠা নিয়ে যাচ্ছেন বাড়িতে।
পুরুষদের পাশাপাশি অনেক নারীও এসব দোকানে পিঠা বিক্রি করে বাড়তি আয় করছেন। তবে পিঠা বিক্রেতারা বলছেন, চালসহ দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি হলেও পিঠার দাম বাড়েনি।
হাইমচর বাজারের একজন পিঠা ক্রেতা আব্দুস সোবহান বলেন, শীতের ঠাণ্ডা বাতাসে গরম গরম পিঠা খেতে খুব মজা লাগছে। আমি দুইটা খেয়েছি এবং বাড়ীর জন্য ৫টা নিয়ে যাচ্ছি। পিঠা খেতে আসা স্কুলছাত্র রাকিব হোসেন বলেন, বিকাল হলে চপ, শিঙ্গাড়া, পুড়িসহ টুকটাক কিছু খেতাম। কিন্তু এখন ভাপা পিঠা কিনে খাই।
বিসমিল্লাহ মোড়ের পিঠা বিক্রেতা আব্দুর রাজ্জাক কাজী বলেন, শীতের মৌসুমে আমরা বেশ কয়েকজন পিঠা বিক্রি করি। চাহিদা না থাকায় আমি কেবলমাত্র ভাপা পিঠা তৈরি করি।
তিনি জানান, প্রতিদিন সন্ধ্যায় ভ্রাম্যমাণ দোকান বসিয়ে প্রায় ১৮০০-২২০০ টাকার পিঠা বিক্রি করেন তারা। এ থেকে খরচ বাদে প্রায় ৭০০-৯০০ টাকা লাভ হয়।
তিনি বলেন- আমি গরমের সময় দিনমজুরির কাজ করি। শীতের মৌসুমে পিঠা বিক্রি করি। এতে বাড়তি আয় করে ভালভাবে ছেলে-মেয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে ভালই আছি।
আরো পড়ুন  হাইমচরের এলাকাবাসীর কাছে এ যেন সাঁকো নয় যেন মৃত্যুকুপ