ঢাকা ০৬:৪৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শাহরাস্তিতে নকল সরবরাহের দায়ে শিক্ষক মিশুদে জেলে

শাহরাস্তিতে চলতি এসএসসি পরীক্ষায় নকল সরবরাহের দায়ে মিশু দে নামে এক প্রভাষককে প্রশাসনের নির্দেশে আটক করে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

Model Hospital

রোববার শাহরান্তি সরকারি বহুমুখী উবি’র শাহরাস্তি-১ এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রে ওই অভিযুক্ত শিক্ষককে আটকের এ ঘটনা ঘটে ।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, চলতি এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র শাহরাস্তি- ১কোড- ৩৪৫ গণিত পরীক্ষা চলাকালীন সময় উপজেলার খিলাবাজার স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক ও পৌরসভার শ্রীপুর মহল্লার দিলীপদের পুত্র প্রভাষক মিশুদের বিরুদ্ধে শাহরাস্তি, চাঁদপুর পরীক্ষা কেন্দ্রের কক্ষ নং ১১৯ এর শিক্ষার্থীদের নকল সরবরাহের অভিযোগ উঠে।

তখন ওই কক্ষের মেঝেতে নকলের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়। এসময় শাহরাস্তি উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইয়াসির আরাফাত ১ শিক্ষার্থী থেকে একটুকরো নকলের কপি ধরে ফেললে সে শিক্ষক মিশুদের নাম বলেন। ওই শিক্ষক মিশু বিষয়টি আঁচ করতে পেরে তিনি পরীক্ষা কেন্দ্রের ছাত্রী বাথরুমে গা ঢাকা দেন। এক পর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাকে শিক্ষককে টয়লেট থেকে উদ্ধার করে।

তাৎক্ষণিক শাহরাস্তি উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইয়াসির আরাফাত অভিযুক্ত শিক্ষককে আটকের নির্দেশ দেন।

পরে প্রশাসনের জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত শিক্ষক মিশু বিষয়টি স্বীকার করেন।

তিনি আরো জানান, ১১৯নং কক্ষে তার বিদ্যালয়ের ২৩ জন পরীক্ষার্থী আজ গণিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছিল এবং পরীক্ষার্থীদের গণিত পরীক্ষায় পাশ করিয়ে দেয়ার উদ্দেশ্যেই উক্ত পরীক্ষার ৭(গ) প্রশ্নের উত্তর লিখে সরবরাহ করেছেন তিনি।

পরবর্তীতে নিজ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের নকল সরবরাহ করে অত্র পরীক্ষা কেন্দ্রের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করা এবং বাংলাদেশের প্রচলিত আইনের লঙ্গনের অপরাধে মিশু দে বিরুদ্ধে পাবলিক পরীক্ষাসমূহ (অপরাধ) আইন, ১৯৮০ এর ৯ ধারা মোতাবেক নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়। ওই কাণ্ডের মামলার বাদী প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্র সচিব মোঃ ইমাম হোসেন এর সত্যতা স্বীকার করেন ।

সোমবার সকালে গণমাধ্যমকে এ বিষয়ে শাহরাস্তি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মো: আলমগীর হোসেন জানান,কেন্দ্র সচিব ইমাম হোসেনের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত শিক্ষক মিশুর বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে একটি নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়।বর্তমানে তিনি পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন।

আজ অভিযুক্ত শিক্ষক মিশুকে চাঁদপুর বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হবে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

স্কুলের শ্রেণিকক্ষে ‘আপত্তিকর’ অবস্থায় ছাত্রীসহ প্রধান শিক্ষক আটক

শাহরাস্তিতে নকল সরবরাহের দায়ে শিক্ষক মিশুদে জেলে

আপডেট সময় : ১১:১৭:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

শাহরাস্তিতে চলতি এসএসসি পরীক্ষায় নকল সরবরাহের দায়ে মিশু দে নামে এক প্রভাষককে প্রশাসনের নির্দেশে আটক করে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

Model Hospital

রোববার শাহরান্তি সরকারি বহুমুখী উবি’র শাহরাস্তি-১ এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রে ওই অভিযুক্ত শিক্ষককে আটকের এ ঘটনা ঘটে ।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, চলতি এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র শাহরাস্তি- ১কোড- ৩৪৫ গণিত পরীক্ষা চলাকালীন সময় উপজেলার খিলাবাজার স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক ও পৌরসভার শ্রীপুর মহল্লার দিলীপদের পুত্র প্রভাষক মিশুদের বিরুদ্ধে শাহরাস্তি, চাঁদপুর পরীক্ষা কেন্দ্রের কক্ষ নং ১১৯ এর শিক্ষার্থীদের নকল সরবরাহের অভিযোগ উঠে।

তখন ওই কক্ষের মেঝেতে নকলের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়। এসময় শাহরাস্তি উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইয়াসির আরাফাত ১ শিক্ষার্থী থেকে একটুকরো নকলের কপি ধরে ফেললে সে শিক্ষক মিশুদের নাম বলেন। ওই শিক্ষক মিশু বিষয়টি আঁচ করতে পেরে তিনি পরীক্ষা কেন্দ্রের ছাত্রী বাথরুমে গা ঢাকা দেন। এক পর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাকে শিক্ষককে টয়লেট থেকে উদ্ধার করে।

তাৎক্ষণিক শাহরাস্তি উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইয়াসির আরাফাত অভিযুক্ত শিক্ষককে আটকের নির্দেশ দেন।

পরে প্রশাসনের জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত শিক্ষক মিশু বিষয়টি স্বীকার করেন।

তিনি আরো জানান, ১১৯নং কক্ষে তার বিদ্যালয়ের ২৩ জন পরীক্ষার্থী আজ গণিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছিল এবং পরীক্ষার্থীদের গণিত পরীক্ষায় পাশ করিয়ে দেয়ার উদ্দেশ্যেই উক্ত পরীক্ষার ৭(গ) প্রশ্নের উত্তর লিখে সরবরাহ করেছেন তিনি।

পরবর্তীতে নিজ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের নকল সরবরাহ করে অত্র পরীক্ষা কেন্দ্রের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করা এবং বাংলাদেশের প্রচলিত আইনের লঙ্গনের অপরাধে মিশু দে বিরুদ্ধে পাবলিক পরীক্ষাসমূহ (অপরাধ) আইন, ১৯৮০ এর ৯ ধারা মোতাবেক নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়। ওই কাণ্ডের মামলার বাদী প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্র সচিব মোঃ ইমাম হোসেন এর সত্যতা স্বীকার করেন ।

সোমবার সকালে গণমাধ্যমকে এ বিষয়ে শাহরাস্তি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মো: আলমগীর হোসেন জানান,কেন্দ্র সচিব ইমাম হোসেনের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত শিক্ষক মিশুর বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে একটি নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়।বর্তমানে তিনি পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন।

আজ অভিযুক্ত শিক্ষক মিশুকে চাঁদপুর বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হবে।