চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণে সম্পত্তিগত বিরোধের জের ধরে বসতঘরের সামনে টিনের বেড়া দিয়ে আপন বড় ভাই ও তার পরিবারকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে ছোট ভাইয়েরা। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার নায়েরগাঁও দক্ষিণ ইউনিয়নের ঘোড়াধারি গ্রামের মুন্সি বাড়িতে।
![priyo chandpur 12 Model Hospital](https://priyochandpur.net/wp-content/uploads/2023/11/awfe.png)
জানা যায়, উপজেলার ঘোড়াধারী গ্রামের মুন্সি বাড়ির মৃত আলী আজ্জম মুন্সির ৭ ছেলের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে সম্পত্তিগত বিরোধ চলে আসছে। এ নিয়ে স্থানীয়ভাবে বেশ কয়েকবার সালিশি বৈঠকও হয়। গত ১৭ মার্চ সকাল সাড়ে ১০ টায় মৃত আলী আজ্জম মুন্সির দ্বিতীয় ছেলে জসিম মুন্সি বিরোধপূর্ণ জায়গার বড়ই গাছে সাটানো নেট জাল খুলে আনতে গেলে আলমগীর হোসেনের পরিবার বাঁধা দেয়। এ সময় উভয় পক্ষের মাঝে হাতাহাতির এক পর্যায়ে দু’পক্ষের বেশ কয়েকজন রক্তাক্ত জখম হয়।
এ ঘটনায় আলমগীর হোসেন চাঁদপুর আদালতে ছোট ভাই জসিম মুন্সি, আরিফ মুন্সি, শাখাওয়াত মুন্সি, জসিম মুন্সির স্ত্রী পিয়ারা বেগম ও মেয়ে জাকিয়া আক্তারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। এরই জের ধরে আলমগীর হোসেনের ছোট ভাই জসিম মুন্সি, সাজেদ হোসেন, শাওখায়াত হোসেন, আরিফ মুন্সি, জিসান মুন্সি একত্রিত হয়ে বড় ভাই মো. আলমগীর মুন্সির বসতঘরের সামনে গত দেড় সপ্তাহ ধরে টিনের বেড়া দিয়ে অবরুদ্ধ করে রেখেছে।
ভুক্তভোগি আলমগীর হোসেন জানান, আপন ছোট ভাইদের সাথে জমিজমা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে তার। এরই জের ধরে গত ১৭ মার্চ তুচ্ছ একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে জসিম মুন্সি ও তার স্ত্রী পিয়ারা বেগমসহ অন্য ভাইয়েরা আলমগীর হোসেন, তার স্ত্রী পারভিন বেগম ও ছেলে জিহাদ মুন্সিকে বেধরক পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। পরে আলমগীর হোসেন চাঁদপুর আদালতে জসিম মুন্সি, আরিফ মুন্সি, শাখাওয়াত মুন্সি ও জসিম মুন্সির স্ত্রী-মেয়ের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। এই মামলার জের ধরে আলমগীর হোসেনের বসতঘরের সামনে টিন দিয়ে বেড়া দিয়ে অবরুদ্ধ করে রাখে তার পরিবারকে।
অভিযুক্ত জসিম মুন্সি বলেন, আমি বড়ই গাছের নেটজাল নামাতে গেলে পারভীন এবং জিহাদ আমাকে লাঠি দিয়ে আঘাত করে। পরে আমার বসত ঘরে ডুকে আমার মেয়ে ও স্ত্রীকে রক্তাক্ত জখম করে। তিনি আরও জানান আমি দুই ফুট জায়গা রেখে আমার জায়গায় বেড়া দিয়েছি।
এ ব্যাপারে মতলব দক্ষিণ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাতিমা সুলতানা জানান, বিষয়টি সম্পর্কে আমি কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আমি ব্যবস্থা নিবো।