চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে হামলার ঘটনায় উভয় পক্ষের ৯ জন গুরুতর আহত হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার খাদেরগাঁও ইউনিয়নের দক্ষিণ নাগদা এলাকার পয়প্রধানীয়া বাড়িতে এ হামলার ঘটনা ঘটে। উভয় পক্ষের আহতরা হলেন কামরুজ্জামান আপন (৩৫), মো. ফজর আলী প্রধান (৯২), মো. শফিক প্রধান (৪০), আনোয়ারা বেগম (৪৫), সৌরভ প্রধান (২০), সোনিয়া আক্তার (২২), মাহবুবু প্রধান (২২), মামুন প্রধান (৩০) ও মানিক প্রধান (৩২)। এদের মধ্যে কামরুজ্জামান আপন, মো. ফজর আলী প্রধান, সৌরভ প্রধান, মাহবুবু প্রধান, মামুন প্রধান ও মানিক প্রধান গুরুতর আহত হয়েছেন। আহতরা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার দক্ষিণ নাগদা এলাকার পয়প্রধানীয়া বাড়ির ফজর আলী প্রধানের ছেলে মো. কামরুজ্জামান আপনের সাথে তার জেঠাতো ভাই মৃত হাফিজ উদ্দিন প্রধানের ছেলে মো. মিজানুর রহমানের পৈত্রিক সম্পত্তি ভাগ-বন্টন নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে প্রতিপক্ষ মো. মিজানুর রহমানের নির্দেশে এবং তার স্ত্রী রাজিয়া সুলতানা লাকির নেতৃত্বে প্রায় ৪০ থেকে ৫০ জন লোক লাঠিসোটা, হকস্টিক দিয়ে কামরুজ্জামান আপন ও তার পরিবারের লোকজনের উপর অতর্কিত হামলা করে।
এতে কামরুজ্জামান আপনের মাথা ফেটে গুরুতর আহত হয়। এসময় তার ডাকচিৎকারে তার বাবাসহ পরিবারের লোকজন এগিয়ে আসলে তাদেরকেও বেধরক মারধর করে আহত করে হামলাকারীরা। পরে স্থানীয় এলাকাবাসী গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে মতলব দক্ষিণ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য আহতদের মধ্যে কামরুজ্জামান আপনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে মতলব দক্ষিণ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন কামরুজ্জামান আপন। এদিকে পাল্টা অভিযোগ করেছেন প্রতিপক্ষ রাজিয়া সুলতানা লাকি। তার অভিযোগ কামরুজ্জামান গংরা তাদের জায়গা দখল করে রেখেছেন। ঘটনার দিন ওই জায়গায় গাছ লাগাতে গেলে উভয়পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে।
আহত কামরুজ্জামান আপন জানান, দীর্ঘদিন যাবৎ আমাদের পৈত্রিক সম্পত্তি ভাগ-বন্টন নিয়ে আমার জেঠাতো ভাই মিজানুর রহমান গংদের সাথে বিরোধ চলে আসছে। মঙ্গলবার বিকালে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে মিজানুর রহমানের নির্দেশে এবং তার স্ত্রী রাজিয়া সুলতানা লাকির নেতৃত্বে ৪০ থেকে ৫০ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল লাঠিসোটা ও হকস্টিক নিয়ে আমার বসতবাড়ির গেইট ভেঙ্গে জোর পূর্বক বাড়িতে প্রবেশ করে আমার এবং আমার পরিবারের সদস্যদের উপর অতর্কিত হামলা করে।
প্রতিপক্ষ মিজানুর রহমানের স্ত্রী রাজিয়া সুলতানা লাকি জানান, আমাদের জায়গায় গাছের চারা রোপন করতে গেলে কামরুজ্জামান গংরা হামলা করে আমাদের লোকজনকে আহত করেছে। আমাদের ৩জনকে মাথায় আঘাত করে মারাত্মক জখম করেছে তারা।
এ বিষয়ে মতলব দক্ষিণ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রিপন বালা জানান, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।