পিছিয়েপড়া হাওরবাসীর জীবনমান উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন স্বপ্নসারথী অ্যাডভোকেট রনজিত চন্দ্র সরকার। সুনামগঞ্জ-১ আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে মহান জাতীয় সংসদে তুলে ধরছেন সেখানকার অমিত সম্ভাবনা আর উন্নয়নে রোল মডেল করার বিভিন্ন প্রস্তাবনা।
রাজস্বখ্যাতে বিশাল অবদান রাখা তাহিরপুর উপজেলার ৩টি শুল্ক স্টেশনকে (বড়ছড়া, চারাগাঁও-বাগলী) স্থলবন্দরে রুপান্তর, সড়ক-নৌপথকে সময়োপযোগী করা, শিক্ষাক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তনের লক্ষ্যে তাহিরপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রয়োজনীয় শিক্ষক নিয়োগ, ধর্মপাশা উপজেলার নদী ভাঙনরোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ, শিক্ষিত-বেকার যুবকদের আত্মকর্মসংস্হানের মাধ্যমে দক্ষ-স্মার্ট যুবসমাজ গড়ে তুলতে আসনের চারটি উপজেলায় প্রশিক্ষণকেন্দ্র স্হাপন, তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জনবল নিয়োগসহ বিভিন্ন বিষয়ে মহান জাতীয় সংসদে দাবি উত্তাপন করে আসছেন তিনি।
মননে-মগজে হাওরবাসীর উন্নয়ন ভাবনার অগ্রদূত পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্হায়ী কমিটির সদস্য পরিচ্ছন্ন-সজ্জন এই সাংসদ জামালগঞ্জে ব্রিজসহ শতকোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্পের ডিও লেটার সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করেছেন ইতোমধ্যে।
তাহিরপুর উপজেলার তরং গ্রামের বাসিন্দা দিনমজুর সামিউল আখঞ্জি বলেন, সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৌলিক অধিকার বঞ্চিত ছিলাম। সেদিন রনজিত দাদা অধিকার সুনিশ্চিত করে দেন। শয্যায় থেকে দোয়া করেছিলাম আল্লাহ যেন তাঁকে দীর্ঘায়ু ও উচ্চ মর্যাদা দান করেন। বিগত সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতিকের বিরুদ্ধে ছিলেন এ আসনের কথিত নেতাকর্মী। তবে, সামিউল এর মতো লাখো জনতার স্বচ্ছ ভোট বিপ্লবে নিরঙ্কুশ বিজয়লাভ করেন বঙ্গবন্ধুর আদর্শেগড়া সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের অন্যতম সদস্য রনজিত সরকার।
প্রসঙ্গত, নৌকার গণজোয়ারেও ‘ঘসেটি’ ভূমিকায় সুনামগঞ্জ-১ আসনের আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ শিরোনামে নির্বাচন নিকটবর্তী সময়ে এ প্রতিবেদকের লিখা একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন ফলাও করে প্রকাশ করে একাধিক গণমাধ্যম।
সর্বশেষ কথিত আওয়ামী লীগ নেতাদের আকাশকুসুম ভাবনা আর ষড়যন্ত্রের বেড়জাল ভেদ করে জনতার রায়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন সবার প্রিয় “রনজিত দাদা”।