ঢাকা ০৫:৫৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আজ কচুয়ায় উজানী মাদরাসার দুই দিন ব্যাপী বার্ষিক মাহফিল,আখেরি মোনাজাত শনিবার

কচুয়ার ঐতিহাসিক জামিয়া ইসলামিয়া ইব্রাহীমিয়া উজানী মাদরাসার দুই দিন ব্যাপী বার্ষিক মাহফিলের প্যান্ডেল সামিয়ানা সহ অন্যান্য প্রস্ততির কাজ সম্পন্ন। প্রাচীনতম এক গম্বুজ বিশিষ্ট শাহী মসজিদ ও নেয়ামত শাহ (রহ.) এর মাজার। কচুয়ার ঐতিহাসিক জামিয়া ইসলামিয়া ইব্রাহীমিয়া মাদ্রাসা।

মো. রাছেল, কচুয়া : প্রখ্যাত আলেম ক্কারি ইব্রাহীম রাহমাতুল্লাহি আলাইহি প্রতিষ্ঠিত কচুয়ার ঐতিহাসিক জামিয়া ইসলামিয়া ইব্রাহীমিয়া উজানী মাদরাসার দুই দিন ব্যাপী বার্ষিক মাহফিল আজ বৃহস্পতিবার বাদ ফজর তালিমের মাধ্যমে শুরু হচ্ছে। ইতিমধ্যে সারাদেশ ও দেশের বাহিরে থেকে মাদ্রাসা ময়দানে এসে উপস্থিত হয়েছেন ভক্ত মুরিদান ও ধর্মপ্রান মুসল্লিগণ। প্রতিবছরের ন্যায় এবারও মাহফিলে লক্ষাধিক মুসল্লিগন অংশ নিবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মাহফিল উপলক্ষে প্যান্ডেল, সামিয়ানা সহ অন্যান্য প্রস্ততির কাজ সম্পন্ন হয়েছে।১৫ জানুয়ারি শনিবার বাদ ফজর আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে মাহফিলের সমাপ্তি ঘটবে।

Model Hospital

মাহফিলের সার্বিক তত্ত্বাবধানে থাকবেন কারি ইবরাহিম রাহতুল্লাহি আলাইহির তিন প্রপৌত্র- মাওলানা আশেক এলাহি, ফজলে এলাহি এবং মাহবুব এলাহী। প্রতি বছরের ন্যায় এবারও প্রতিদিন সকাল ১০টায় মাহফিলের কার্যক্রম শুরু হয়ে তা রাত ১২ টায় শেষ হবে।
উজানির মাহফিলে আগত মুসল্লিরা স্থানীয়দের কাছে অনেক সম্মান ও মর্যাদার। এলাকাবাসী মনে করেন এসব মেহমান আল্লাহর পক্ষ থেকে তাদের জন্য নেয়ামত। মাহফিলে আগত ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের পাশ্ববর্তী গ্রামের মানুষজন মাহফিল শেষে রাতে বাড়ি নিয়ে বিশেষ সমাদর ও আপ্যায়ন করে থাকেন। দুইদিন ব্যাপী এ মাহফিলে দেশ বরণ্যে অধিকাংশ ওলামায়ে কেরাম ঈমান ও আমলের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ বয়ান পেশ করেন।

উল্লেখ্য, ঐতিহাসিক উজানীমাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা কারি ইবরাহিম রাহমাতুল্লাহি আলাইহি সৌদি আরবের ইলমে কেরাতের বিখ্যাত প্রতিষ্ঠান মাদ্রাসা সওলতিয়ায় কুরআন তেলাওয়াতের উচ্চতর জ্ঞান অর্জন করেন। তৎকালীন সময়ে তিনি আন্তর্জাতিক কেরাত প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করেন।তিনি ভারতের গাংগুহে ফকিহে মিল্লাত আল্লামা রশীদ আহমেদ গাংগুহী রাহমাতুল্লাহি আলাইহির তত্বাবধানে আধ্যাতিক জ্ঞান অর্জন করেন।অতপর ১৯০১ সালে দ্বীন ইসলাম ও ইলমে কেরাতের প্রচারের কচুয়া উপজেলার উজানীতে এসে জামিয়া ইসলামিয়া ইব্রাহীমিয়া মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন।

কচুয়ার ইতিহাসের সাথে মিশে আছে যেসব ঐতিহ্য তন্মধ্যে প্রাচীনতম এক গম্বুজ বিশিষ্ট শাহী মসজিদ ও নেয়ামত শাহ (রহ.) এর মাজার। ব্র্যান্ডিং জেলা চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলায় রয়েছে ঐতিহাসিক বখতিয়ার খাঁ মসজিদ, বেহুলার পাটা এবং নেয়ামত শাহ্(রঃ)এর দরগা। কচুয়া উপজেলা সদর থেকে তিন কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে উজানী গ্রাম। বর্তমানে রয়েছে ঐতিহাসিক জামিয়া ইসলামিয়া ইব্রাহীমিয়া মাদরাসা।

মাদ্রাসার দক্ষিণ পাশে আছে একটি দিঘি। তার পশ্চিম পাড়ে আছে এক গম্বুজ বিশিষ্ট একটি সুদৃশ্য মসজিদ। এটি বক্তার খাঁ শাহী মসজিদ নামে খ্যাত। এক সময় উজানী গ্রামটি বনজঙ্গলে আচ্ছাদিত ছিলো। উজানীর পীর ক্বারী ইব্রাহীম সাহেব বন-জঙ্গল পরিষ্কার করে এখানে বসবাস করতে শুরু করেন। তিনি ছিলেন একজন অত্যন্ত কামেল পুরুষ। তিনি এ মসজিদটিকে ব্যবহার্য করে তোলেন। মসজিদে প্রাপ্ত একটি শিলালিপিতে আছে, ‘‘পরম দয়ালু আল্লাহ্তায়ালার নামে আরম্ভ করিতেছি। আল্লাহ্ এক, তাহার কোনো শরীক নাই। মোহাম্মদ তাহার রাসূল। বাদশাহ বাহাদুর শাহ্ গাজীর শাসনামলে খাদেম আবুল হোসেন খাঁর পুত্র ইলিয়াস খাঁর পৌত্র’’। এই উজানী গ্রামেই আছে হযরত নেয়ামত শাহের দরগাহ।এটি উজানি বাজারের পশ্চিম পাশেই। যিনি হযরত শাহজালাল (রঃ)-এর একজন সঙ্গী ছিলেন।
উজানী গ্রামে একজন বিখ্যাত ফৌজদার ছিলেন। তার নাম ছিলো বখতিয়ার খাঁ। তিনি বখতিয়ার খাঁ মসজিদটি নির্মাণ করেছিলেন। নির্মাণ সাল ১৭৭২। উজানী একটি প্রাচীন গ্রাম। এ গ্রামের নাম পাওয়া যায় মধ্যযুগের মনসামঙ্গল কাব্যে ‘উজানী নগর’ হিসেবে।

বেহুলা লখিন্দরের লোহার তৈরি বাসরঘর এ গ্রামে ছিলো। যা মাটির নিচে ডেবে গেছে। বেহুলার শীল নোড়ার কথিত অংশবিশেষ এখনো এ গ্রামে রয়ে গেছে। লোকজন এখনো এগুলো দেখতে আসে। কিন্তু এখন পাটা/পাথর কিছুই নাই। মানুষ ঘর-বাড়ি করে ফেলেছে। পদ্মপুরাণে বর্ণিত রয়েছে চাঁদ সওদাগরের পুত্রবধু বেহুলার পৈত্রিক নিবাস চাঁদপুর জেলাধীন কচুয়া উপজেলার উজানী গ্রামে (তৎকালীণ উজানী নগরে)।

উত্তরাংশে বেহুলার পৈত্রিক রাজবাড়ী অর্থাৎ বেহুলার পিতার নামানুসারে রাজবাড়ীটি নামকরণ করা হয়েছে। রাজবাড়ীর দক্ষিণাংশে রয়েছে বেহুলার দিঘীর নামে পরিচিত বেহুলার দিঘী।

বেহুলার দিঘীর উত্তর পাড়ে রাজবাড়ী হতে প্রায় ৫০ মিঃ দক্ষিণে বেহুলার ছোটবেলার খেলনার সামগ্রী পুরানো পাথরের নির্মিত শিলা পাথরটি (আঞ্চলিক ভাষায় বেহুলার পাটা) আংশিক বিদ্যমান আছে। দৈর্ঘ্য ৩২ ইঞ্চি ও প্রস্থ ২৬ ইঞ্চি বিশিষ্ট এ শিলাটির ওজন প্রায় ২৫০ কেজি হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। এ শিলাটি আদি অবস্থার আংশিক মাত্র।

কয়েক বছর পূর্বে জনৈক ধোপা এই শিলায় খারাপ কাপড় ধোয়ার সময় শিলা পাটাটি বিকট শব্দে স্থানান্তরিত হয়ে উজানী গ্রামের দুধখাঁর দিঘীতে পতিত হয়। শিলা পাটাটি পানির ওপর ভেসে উঠে বলে জনশ্রুতি আছে। তবে যেখানে ছিল সেখানে কিছু ভাঙা ইটের টুকরো এখন দেখা যায়। এছাড়া এখন বেহুলার পাটা বলে কিছুই নেই এখানে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

স্কুলের শ্রেণিকক্ষে ‘আপত্তিকর’ অবস্থায় ছাত্রীসহ প্রধান শিক্ষক আটক

আজ কচুয়ায় উজানী মাদরাসার দুই দিন ব্যাপী বার্ষিক মাহফিল,আখেরি মোনাজাত শনিবার

আপডেট সময় : ০৫:১৭:০৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ জানুয়ারী ২০২২

মো. রাছেল, কচুয়া : প্রখ্যাত আলেম ক্কারি ইব্রাহীম রাহমাতুল্লাহি আলাইহি প্রতিষ্ঠিত কচুয়ার ঐতিহাসিক জামিয়া ইসলামিয়া ইব্রাহীমিয়া উজানী মাদরাসার দুই দিন ব্যাপী বার্ষিক মাহফিল আজ বৃহস্পতিবার বাদ ফজর তালিমের মাধ্যমে শুরু হচ্ছে। ইতিমধ্যে সারাদেশ ও দেশের বাহিরে থেকে মাদ্রাসা ময়দানে এসে উপস্থিত হয়েছেন ভক্ত মুরিদান ও ধর্মপ্রান মুসল্লিগণ। প্রতিবছরের ন্যায় এবারও মাহফিলে লক্ষাধিক মুসল্লিগন অংশ নিবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মাহফিল উপলক্ষে প্যান্ডেল, সামিয়ানা সহ অন্যান্য প্রস্ততির কাজ সম্পন্ন হয়েছে।১৫ জানুয়ারি শনিবার বাদ ফজর আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে মাহফিলের সমাপ্তি ঘটবে।

Model Hospital

মাহফিলের সার্বিক তত্ত্বাবধানে থাকবেন কারি ইবরাহিম রাহতুল্লাহি আলাইহির তিন প্রপৌত্র- মাওলানা আশেক এলাহি, ফজলে এলাহি এবং মাহবুব এলাহী। প্রতি বছরের ন্যায় এবারও প্রতিদিন সকাল ১০টায় মাহফিলের কার্যক্রম শুরু হয়ে তা রাত ১২ টায় শেষ হবে।
উজানির মাহফিলে আগত মুসল্লিরা স্থানীয়দের কাছে অনেক সম্মান ও মর্যাদার। এলাকাবাসী মনে করেন এসব মেহমান আল্লাহর পক্ষ থেকে তাদের জন্য নেয়ামত। মাহফিলে আগত ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের পাশ্ববর্তী গ্রামের মানুষজন মাহফিল শেষে রাতে বাড়ি নিয়ে বিশেষ সমাদর ও আপ্যায়ন করে থাকেন। দুইদিন ব্যাপী এ মাহফিলে দেশ বরণ্যে অধিকাংশ ওলামায়ে কেরাম ঈমান ও আমলের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ বয়ান পেশ করেন।

উল্লেখ্য, ঐতিহাসিক উজানীমাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা কারি ইবরাহিম রাহমাতুল্লাহি আলাইহি সৌদি আরবের ইলমে কেরাতের বিখ্যাত প্রতিষ্ঠান মাদ্রাসা সওলতিয়ায় কুরআন তেলাওয়াতের উচ্চতর জ্ঞান অর্জন করেন। তৎকালীন সময়ে তিনি আন্তর্জাতিক কেরাত প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করেন।তিনি ভারতের গাংগুহে ফকিহে মিল্লাত আল্লামা রশীদ আহমেদ গাংগুহী রাহমাতুল্লাহি আলাইহির তত্বাবধানে আধ্যাতিক জ্ঞান অর্জন করেন।অতপর ১৯০১ সালে দ্বীন ইসলাম ও ইলমে কেরাতের প্রচারের কচুয়া উপজেলার উজানীতে এসে জামিয়া ইসলামিয়া ইব্রাহীমিয়া মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন।

কচুয়ার ইতিহাসের সাথে মিশে আছে যেসব ঐতিহ্য তন্মধ্যে প্রাচীনতম এক গম্বুজ বিশিষ্ট শাহী মসজিদ ও নেয়ামত শাহ (রহ.) এর মাজার। ব্র্যান্ডিং জেলা চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলায় রয়েছে ঐতিহাসিক বখতিয়ার খাঁ মসজিদ, বেহুলার পাটা এবং নেয়ামত শাহ্(রঃ)এর দরগা। কচুয়া উপজেলা সদর থেকে তিন কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে উজানী গ্রাম। বর্তমানে রয়েছে ঐতিহাসিক জামিয়া ইসলামিয়া ইব্রাহীমিয়া মাদরাসা।

মাদ্রাসার দক্ষিণ পাশে আছে একটি দিঘি। তার পশ্চিম পাড়ে আছে এক গম্বুজ বিশিষ্ট একটি সুদৃশ্য মসজিদ। এটি বক্তার খাঁ শাহী মসজিদ নামে খ্যাত। এক সময় উজানী গ্রামটি বনজঙ্গলে আচ্ছাদিত ছিলো। উজানীর পীর ক্বারী ইব্রাহীম সাহেব বন-জঙ্গল পরিষ্কার করে এখানে বসবাস করতে শুরু করেন। তিনি ছিলেন একজন অত্যন্ত কামেল পুরুষ। তিনি এ মসজিদটিকে ব্যবহার্য করে তোলেন। মসজিদে প্রাপ্ত একটি শিলালিপিতে আছে, ‘‘পরম দয়ালু আল্লাহ্তায়ালার নামে আরম্ভ করিতেছি। আল্লাহ্ এক, তাহার কোনো শরীক নাই। মোহাম্মদ তাহার রাসূল। বাদশাহ বাহাদুর শাহ্ গাজীর শাসনামলে খাদেম আবুল হোসেন খাঁর পুত্র ইলিয়াস খাঁর পৌত্র’’। এই উজানী গ্রামেই আছে হযরত নেয়ামত শাহের দরগাহ।এটি উজানি বাজারের পশ্চিম পাশেই। যিনি হযরত শাহজালাল (রঃ)-এর একজন সঙ্গী ছিলেন।
উজানী গ্রামে একজন বিখ্যাত ফৌজদার ছিলেন। তার নাম ছিলো বখতিয়ার খাঁ। তিনি বখতিয়ার খাঁ মসজিদটি নির্মাণ করেছিলেন। নির্মাণ সাল ১৭৭২। উজানী একটি প্রাচীন গ্রাম। এ গ্রামের নাম পাওয়া যায় মধ্যযুগের মনসামঙ্গল কাব্যে ‘উজানী নগর’ হিসেবে।

বেহুলা লখিন্দরের লোহার তৈরি বাসরঘর এ গ্রামে ছিলো। যা মাটির নিচে ডেবে গেছে। বেহুলার শীল নোড়ার কথিত অংশবিশেষ এখনো এ গ্রামে রয়ে গেছে। লোকজন এখনো এগুলো দেখতে আসে। কিন্তু এখন পাটা/পাথর কিছুই নাই। মানুষ ঘর-বাড়ি করে ফেলেছে। পদ্মপুরাণে বর্ণিত রয়েছে চাঁদ সওদাগরের পুত্রবধু বেহুলার পৈত্রিক নিবাস চাঁদপুর জেলাধীন কচুয়া উপজেলার উজানী গ্রামে (তৎকালীণ উজানী নগরে)।

উত্তরাংশে বেহুলার পৈত্রিক রাজবাড়ী অর্থাৎ বেহুলার পিতার নামানুসারে রাজবাড়ীটি নামকরণ করা হয়েছে। রাজবাড়ীর দক্ষিণাংশে রয়েছে বেহুলার দিঘীর নামে পরিচিত বেহুলার দিঘী।

বেহুলার দিঘীর উত্তর পাড়ে রাজবাড়ী হতে প্রায় ৫০ মিঃ দক্ষিণে বেহুলার ছোটবেলার খেলনার সামগ্রী পুরানো পাথরের নির্মিত শিলা পাথরটি (আঞ্চলিক ভাষায় বেহুলার পাটা) আংশিক বিদ্যমান আছে। দৈর্ঘ্য ৩২ ইঞ্চি ও প্রস্থ ২৬ ইঞ্চি বিশিষ্ট এ শিলাটির ওজন প্রায় ২৫০ কেজি হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। এ শিলাটি আদি অবস্থার আংশিক মাত্র।

কয়েক বছর পূর্বে জনৈক ধোপা এই শিলায় খারাপ কাপড় ধোয়ার সময় শিলা পাটাটি বিকট শব্দে স্থানান্তরিত হয়ে উজানী গ্রামের দুধখাঁর দিঘীতে পতিত হয়। শিলা পাটাটি পানির ওপর ভেসে উঠে বলে জনশ্রুতি আছে। তবে যেখানে ছিল সেখানে কিছু ভাঙা ইটের টুকরো এখন দেখা যায়। এছাড়া এখন বেহুলার পাটা বলে কিছুই নেই এখানে।