ঢাকা ০৫:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
রেলওয়ের রানিং স্টাফদের ধর্মঘট চলছে

ধর্মঘটের কারনে চাঁদপুর থেকে কোন ট্রেন ছেড়ে যায়নি, যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ

মূল বেতনের সঙ্গে রানিং অ্যালাউন্স যোগ করে পেনশন এবং আনুতোষিক সুবিধা দেওয়ার দাবিতে রেলওয়ে রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারির ডাকে সারা দেশে অনির্দিষ্টকালে রেল ধর্মঘটে চাঁদপুর থেকে দুটি ট্রেনের একটিও ছেড়ে যায়নি। এতে করে চরম ভোগান্তির শিকার হয়েছে কয়েক হাজার যাত্রী। টিকিট দিয়ে টাকা ফেরত নিয়েছেন বেশ কিছু যাত্রী।

মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় চাঁদপুর স্টেশন মাস্টার মারুফ হোসেন এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

চাঁদপুর স্টেশন ও চাঁদপুর কোর্ট স্টেশনে গিয়ে দেখাগেছে অনেক যাত্রী ধর্মঘটের বিষয় না জেনেই স্টেশনে এসেছেন। আবার অনেকেই আগের দিনের নেয়া টিকিটের টাকা ফেরৎ নেয়ার জন্য অপেক্ষা করছেন।

টিকিট কাউন্টারে কথা বলে জানাগেছে, টিকেট বিক্রি কাউন্টার বড় স্টেশন থেকে দুটি টিকিটের দাম ৬৬৮ টাকা এবং কালিবাড়ি কোর্ট স্শেন থেকে ১৫টি টিকিটের দাম ৪ হাজার ৩০০ টাকা ফেরৎ দেয়া হয়। আর অনলাইনে টিকিট নেয়া এবং টাকা ফেরতের তথ্য এই স্টেশন থেকে পাওয়া যায়নি।

Model Hospital

জানাগেছে, মঙ্গলবার ভোর ৫টায় আন্ত:নগর মেঘনা এক্সপ্রেস চট্রগ্রামের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়নি এবং চট্টগ্রাম থেকে চাঁদপুরগামী সাগরিকা এক্সপ্রেস ট্রেনটি চট্টগ্রাম থেকে চাঁদপুরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসেনি।

দাবী আদায়ের জন্য কর্মবিরতির জন্য ডাক দিয়েছেন রেলওয়ের লাকো মাস্টার (ড্রাইভার), ট্রেন পরিচালক (গার্ড) ও টিটি (টিকেট পরিদর্শক)। সোমবার (২৭ জানুয়ারি) রাত থেকে এ কর্মবিরতী তারা পালন করে যাচ্ছেন এসব কর্মচারিরা।

চাঁদপুরসহ এ পথের সকল স্থানে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী ও রেলওয়ে পুলিশ তাদের সকল প্রকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করে রেখেছেন বলে জানিয়েছেন চাঁদপুর রেলওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ রাজিব কর (ওসি) ও নিরাপত্তা বাহিনীর উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. শাহাদাত হোসেন।

চাঁদপুর স্টেশন মাস্টার মারুফ হোসেন জানান, তৃতীয় শ্রেনীর রেলওয়ে স্টাফদের কর্মবিরতি চলছে। চাঁদপুর থেকে প্রায় দুই শতাধিক যাত্রী ট্রেনের টিকিট ক্রয় করেও তাদের গন্তব্যে যেতে পারেনি। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ দিয়েছে যাত্রীদের টিকিটের টাকা ফেরত দিতে। ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় যাত্রীদের বাস যোগে তাদের গন্তব্যে যাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। রেলওয়ের রানিং স্টাফ ছাড়া বাকী স্টাফরা তাদের কর্মস্থলে কাজ করে যাচ্ছেন। এ ছাড়া চাঁদপুর স্টেশনে মেঘনা এক্সপ্রেস ট্রেন অবস্থান করছে। রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী ও রেলওয়ে পুলিশ সকল নিরাপত্তা জোরদার করে তাদের দায়িত্ব পালন করে নিরাপত্তায় নিয়োজিত রয়েছেন।

এ বিষয়ে চাঁদপুর রেলওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ রাজিব কর (ওসি) জানান,চাঁদপুরে যাতে যাত্রী হয়রানি নাহয়,যাত্রী যাতে নিরাপদে থাকতে পারে সে দিকে নজর রাখা হয়েছে। এ ছাড়া যাত্রীরা যাতে ক্ষুব্ধ হয়ে ট্রেন এবং স্টেশন ভাংচুর না’করে সে জন্য স্টেশন এলাকায় ব্যাপক পুলিশ সদস্য দিয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করে রাখা হয়েছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

৩ জনকে ছাড়িয়ে নিতে থানায় হামলা বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের

রেলওয়ের রানিং স্টাফদের ধর্মঘট চলছে

ধর্মঘটের কারনে চাঁদপুর থেকে কোন ট্রেন ছেড়ে যায়নি, যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ

আপডেট সময় : ১২:৫১:১৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৫

মূল বেতনের সঙ্গে রানিং অ্যালাউন্স যোগ করে পেনশন এবং আনুতোষিক সুবিধা দেওয়ার দাবিতে রেলওয়ে রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারির ডাকে সারা দেশে অনির্দিষ্টকালে রেল ধর্মঘটে চাঁদপুর থেকে দুটি ট্রেনের একটিও ছেড়ে যায়নি। এতে করে চরম ভোগান্তির শিকার হয়েছে কয়েক হাজার যাত্রী। টিকিট দিয়ে টাকা ফেরত নিয়েছেন বেশ কিছু যাত্রী।

মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় চাঁদপুর স্টেশন মাস্টার মারুফ হোসেন এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

চাঁদপুর স্টেশন ও চাঁদপুর কোর্ট স্টেশনে গিয়ে দেখাগেছে অনেক যাত্রী ধর্মঘটের বিষয় না জেনেই স্টেশনে এসেছেন। আবার অনেকেই আগের দিনের নেয়া টিকিটের টাকা ফেরৎ নেয়ার জন্য অপেক্ষা করছেন।

টিকিট কাউন্টারে কথা বলে জানাগেছে, টিকেট বিক্রি কাউন্টার বড় স্টেশন থেকে দুটি টিকিটের দাম ৬৬৮ টাকা এবং কালিবাড়ি কোর্ট স্শেন থেকে ১৫টি টিকিটের দাম ৪ হাজার ৩০০ টাকা ফেরৎ দেয়া হয়। আর অনলাইনে টিকিট নেয়া এবং টাকা ফেরতের তথ্য এই স্টেশন থেকে পাওয়া যায়নি।

Model Hospital

জানাগেছে, মঙ্গলবার ভোর ৫টায় আন্ত:নগর মেঘনা এক্সপ্রেস চট্রগ্রামের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়নি এবং চট্টগ্রাম থেকে চাঁদপুরগামী সাগরিকা এক্সপ্রেস ট্রেনটি চট্টগ্রাম থেকে চাঁদপুরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসেনি।

দাবী আদায়ের জন্য কর্মবিরতির জন্য ডাক দিয়েছেন রেলওয়ের লাকো মাস্টার (ড্রাইভার), ট্রেন পরিচালক (গার্ড) ও টিটি (টিকেট পরিদর্শক)। সোমবার (২৭ জানুয়ারি) রাত থেকে এ কর্মবিরতী তারা পালন করে যাচ্ছেন এসব কর্মচারিরা।

চাঁদপুরসহ এ পথের সকল স্থানে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী ও রেলওয়ে পুলিশ তাদের সকল প্রকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করে রেখেছেন বলে জানিয়েছেন চাঁদপুর রেলওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ রাজিব কর (ওসি) ও নিরাপত্তা বাহিনীর উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. শাহাদাত হোসেন।

চাঁদপুর স্টেশন মাস্টার মারুফ হোসেন জানান, তৃতীয় শ্রেনীর রেলওয়ে স্টাফদের কর্মবিরতি চলছে। চাঁদপুর থেকে প্রায় দুই শতাধিক যাত্রী ট্রেনের টিকিট ক্রয় করেও তাদের গন্তব্যে যেতে পারেনি। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ দিয়েছে যাত্রীদের টিকিটের টাকা ফেরত দিতে। ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় যাত্রীদের বাস যোগে তাদের গন্তব্যে যাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। রেলওয়ের রানিং স্টাফ ছাড়া বাকী স্টাফরা তাদের কর্মস্থলে কাজ করে যাচ্ছেন। এ ছাড়া চাঁদপুর স্টেশনে মেঘনা এক্সপ্রেস ট্রেন অবস্থান করছে। রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী ও রেলওয়ে পুলিশ সকল নিরাপত্তা জোরদার করে তাদের দায়িত্ব পালন করে নিরাপত্তায় নিয়োজিত রয়েছেন।

এ বিষয়ে চাঁদপুর রেলওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ রাজিব কর (ওসি) জানান,চাঁদপুরে যাতে যাত্রী হয়রানি নাহয়,যাত্রী যাতে নিরাপদে থাকতে পারে সে দিকে নজর রাখা হয়েছে। এ ছাড়া যাত্রীরা যাতে ক্ষুব্ধ হয়ে ট্রেন এবং স্টেশন ভাংচুর না’করে সে জন্য স্টেশন এলাকায় ব্যাপক পুলিশ সদস্য দিয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করে রাখা হয়েছে।