ঢাকা ০৯:৫৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫, ২৮ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সরকারি নিবন্ধন পেল “চাঁদপুর জেলা শ্রবণ ও বাক প্রতিবন্ধী উন্নয়ন সংস্থা

  • মাসুদ হোসেন
  • আপডেট সময় : ১০:১৭:৩৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • 140
সামাজিক কার্যক্রমের স্বীকৃতি স্বরূপ সরকারি নিবন্ধন পেল “চাঁদপুর জেলা শ্রবণ ও বাক প্রতিবন্ধী উন্নয়ন সংস্থা”।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার এর ১৯৬১ সালের স্বেচ্ছামূলক সমাজ কল্যাণ প্রতিষ্ঠান (রেজিষ্ট্রশন ও নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাদেশ (নম্বর ৪৬) এর ৪ (৩) ধারার অধীনে এই নিবন্ধন প্রদান করা হয়।
চাঁদপুর জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তর এর উপপরিচালক মোঃ নজরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত ‘চাঁদ/৭৬৮/২০২৫’ নং স্মারকে উক্ত সংগঠনকে এ সরকারি নিবন্ধন সনদ পত্র প্রদান করেন।
গত ৭ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার সকালে ‘এক ভূবন এক ভাষা, চাই সার্বজনীন ইশারা ভাষা’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে সারাদেশের ন্যায় চাঁদপুর জেলা প্রসাশন ও জেলা সমাজসেবা কার্যালয় এর উদ্যোগে বাংলা ইশারা ভাষা দিবস- ২০২৫ উদযাপন করা হয়ে।
উক্ত দিবসটি উপলক্ষে আলোচনা সভায় সংগঠনের সভাপতি মোঃ শরীফ উদ্দিন পাটোয়ারী এবং সাধারণ সম্পাদক শাহনেওয়াজ এর হাতে এ সনদপত্র তুলে দেন চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোস্তাফিজুর রহমান।
চাঁদপুর জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ- পরিচালক মোঃ নজরুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোস্তাফিজুর রহমান।
এসময় প্রধান অতিথি ‘বাংলা ইশারা দিবস’ উপলক্ষে বাক শ্রবণ প্রতিবন্ধীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমি ভেবেছিলাম সারাদেশে প্রতিটি জেলায় এই রকম প্রতিষ্ঠান রয়েছে। কিন্তু দেখলাম যে না। মাত্র ৮ টি উপজেলায় এই প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তাহলে এই দিক থেকে আমরা চাঁদপুরবাসী খুবই ভাগ্যবান।
তিনি আরো বলেন, এই বাক শ্রবন প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীরা আজকে সারাবিশ্বে অনেক ভালো কিছু করতেছে। তাঁদের অনেক মেধা রয়েছে, অনেক বুদ্ধি রয়েছে। এরাও চাইলে সমাজে এবং দেশের জন্য সুনাম বয়ে আনতে পারে। বাক শ্রবণ প্রতিবন্ধীদের জীবন মান উন্নয়নে ও তাদেরকে প্রশিক্ষিত করতে রয়েছে শিক্ষকদের অক্লান্ত পরিশ্রম। শিক্ষকদের ভূমিকাই সবচেয়ে বেশি।
চাঁদপুর জেলা বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোসা: হ্যাপি আক্তার এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর জেলার পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আব্দুর রকিব, পিপিএম এর পরিবর্তে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হাজিগঞ্জ সার্কেল) মুকুর চাকমা।
চাঁদপুর জেলা প্রতিবন্ধী বিষয়ক কর্মকর্তা সুমন চন্দ্র নন্দীর স্বাগত বক্তব্যের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ও আরো বক্তব্য রাখেন- নারী বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ সৈয়দা বদরুন্নাহার চৌধুরী, চাঁদপুর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রাজন কুমার দাস, চাঁদপুর পৌরসভার সমাজ উন্নয়ন কর্মকর্তা চন্দ্রনাথ ঘোষ।
পবিত্র কুরআন থেকে তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে চাঁদপুর জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তর কর্তৃক জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মোঃ নজরুল ইসলাম ‘চাঁদপুর জেলা বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী উন্নয়ন সংস্থা’ নামক এই বেসরকারি নতুন প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধনপত্র তুলে দেয়া হয়।
ট্যাগস :

শিক্ষার্থীদের ধাওয়া খেয়ে ক্যাম্পাস ছাড়লো শিক্ষক

সরকারি নিবন্ধন পেল “চাঁদপুর জেলা শ্রবণ ও বাক প্রতিবন্ধী উন্নয়ন সংস্থা

আপডেট সময় : ১০:১৭:৩৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
সামাজিক কার্যক্রমের স্বীকৃতি স্বরূপ সরকারি নিবন্ধন পেল “চাঁদপুর জেলা শ্রবণ ও বাক প্রতিবন্ধী উন্নয়ন সংস্থা”।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার এর ১৯৬১ সালের স্বেচ্ছামূলক সমাজ কল্যাণ প্রতিষ্ঠান (রেজিষ্ট্রশন ও নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাদেশ (নম্বর ৪৬) এর ৪ (৩) ধারার অধীনে এই নিবন্ধন প্রদান করা হয়।
চাঁদপুর জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তর এর উপপরিচালক মোঃ নজরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত ‘চাঁদ/৭৬৮/২০২৫’ নং স্মারকে উক্ত সংগঠনকে এ সরকারি নিবন্ধন সনদ পত্র প্রদান করেন।
গত ৭ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার সকালে ‘এক ভূবন এক ভাষা, চাই সার্বজনীন ইশারা ভাষা’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে সারাদেশের ন্যায় চাঁদপুর জেলা প্রসাশন ও জেলা সমাজসেবা কার্যালয় এর উদ্যোগে বাংলা ইশারা ভাষা দিবস- ২০২৫ উদযাপন করা হয়ে।
উক্ত দিবসটি উপলক্ষে আলোচনা সভায় সংগঠনের সভাপতি মোঃ শরীফ উদ্দিন পাটোয়ারী এবং সাধারণ সম্পাদক শাহনেওয়াজ এর হাতে এ সনদপত্র তুলে দেন চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোস্তাফিজুর রহমান।
চাঁদপুর জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ- পরিচালক মোঃ নজরুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোস্তাফিজুর রহমান।
এসময় প্রধান অতিথি ‘বাংলা ইশারা দিবস’ উপলক্ষে বাক শ্রবণ প্রতিবন্ধীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমি ভেবেছিলাম সারাদেশে প্রতিটি জেলায় এই রকম প্রতিষ্ঠান রয়েছে। কিন্তু দেখলাম যে না। মাত্র ৮ টি উপজেলায় এই প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তাহলে এই দিক থেকে আমরা চাঁদপুরবাসী খুবই ভাগ্যবান।
তিনি আরো বলেন, এই বাক শ্রবন প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীরা আজকে সারাবিশ্বে অনেক ভালো কিছু করতেছে। তাঁদের অনেক মেধা রয়েছে, অনেক বুদ্ধি রয়েছে। এরাও চাইলে সমাজে এবং দেশের জন্য সুনাম বয়ে আনতে পারে। বাক শ্রবণ প্রতিবন্ধীদের জীবন মান উন্নয়নে ও তাদেরকে প্রশিক্ষিত করতে রয়েছে শিক্ষকদের অক্লান্ত পরিশ্রম। শিক্ষকদের ভূমিকাই সবচেয়ে বেশি।
চাঁদপুর জেলা বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোসা: হ্যাপি আক্তার এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর জেলার পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আব্দুর রকিব, পিপিএম এর পরিবর্তে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হাজিগঞ্জ সার্কেল) মুকুর চাকমা।
চাঁদপুর জেলা প্রতিবন্ধী বিষয়ক কর্মকর্তা সুমন চন্দ্র নন্দীর স্বাগত বক্তব্যের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ও আরো বক্তব্য রাখেন- নারী বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ সৈয়দা বদরুন্নাহার চৌধুরী, চাঁদপুর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রাজন কুমার দাস, চাঁদপুর পৌরসভার সমাজ উন্নয়ন কর্মকর্তা চন্দ্রনাথ ঘোষ।
পবিত্র কুরআন থেকে তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে চাঁদপুর জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তর কর্তৃক জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মোঃ নজরুল ইসলাম ‘চাঁদপুর জেলা বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী উন্নয়ন সংস্থা’ নামক এই বেসরকারি নতুন প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধনপত্র তুলে দেয়া হয়।