ঢাকা ০৬:৪১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

১শ’ ৫৩ বছরের ঐতিহ্যবাহী দৃষ্টিনন্দন সাচার শ্রী শ্রী জগন্নাথ ধাম মন্দির উদ্বোধন

মো. রাছেল : কচুয়া উপজেলার সাচারে অবস্থিত পুন: নির্মিত দৃষ্টিনন্দন সাচার জগন্নাথ ধাম মন্দির উদ্বোধন করা হয়েছে। বুধবার সকালে মাঙ্গলিক শোভা যাত্রার মধ্যে দিয়ে এই মন্দিরটি ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর এমপি। মন্দির কৃর্তপক্ষ জানান, নতুন রূপে নতুন সাজে ১শ ৫৩ বছরের ঐতিহ্যবাহী সাচার শ্রী শ্রী জগন্নাথ ধামে পুন: নির্মিত দৃষ্টিনন্দন মন্দিরটি বুধবার উদ্বোধন হয়েছে।

Model Hospital

এশিয়া উপ মহাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রথ যাত্রা উৎসব হিসেবে সাচার জগন্নাথ ধামের মন্দিরটি পরিচিতি লাভ করেছে। নিপুণ কারুকার্য সমৃদ্ধ দৃষ্টিনন্দন মন্দিরটি উপরের অংশে ৯ গম্বুজ বিশিষ্ট প্রায় ৬০ ফুট উচু প্রধান গম্বুজটি একটি সুদর্শন চক্র দ্বারা বেষ্টিত রয়েছে। এই মন্দিরটি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের জন্য দেশের অন্যতম ধর্মীয় তীর্থ স্থান হিসেবে রূপ নিয়েছে। পুরো মন্দিরটিতে দেওয়া হয়েছে সাদা, আকাশি ও সোনালী রং। আর কারুকাজগুলো ফুটিয়ে তোলা হয়েছে ময়ুরের পেখম ও ব্রোঞ্জ রঙে।

মন্দিরটি দেখলে মনে হয়, যেন ময়ুর পেখম মেলে রয়েছে। মন্দিরের ফটক রয়েছে তিনটি। ফটক পেরিয়ে ভিতরে রয়েছে আরেকটি ছোট ঘর। সেখানে রাখা হয়েছে জগন্নাথ, বলরাম ও শুভদ্রার কাঠের খোদাই করা মূর্তি। এই ঘরে কাঠের কারুকাজে নির্মাণ করা হয়েছে জগন্নাথ দেবের সিংহাসন। সোনালি রং শোভিত আসনটি নজর কাড়ছে দর্শনাথীদের। রয়েছে অত্যাধুনিক ঝাড়বাতি ও আলোকসজ্জা।

অনিন্দ্যসুন্দর এই মন্দিরটি দেখে এক পলকেই মুগ্ধ হবেন যে কেউ। মন্দির পরিচালনা কমিটি মনে করেন, শুধু সনাতন ধর্মাবলম্বীরাই নন, এই মন্দিরের সৌন্দর্যে আকৃষ্ট হবেন এ উপজেলায় ঘুরতে আসা দেশ-বিদেশের পর্যটকরাও। তৎকালীন মন্দির কমিটির সভাপতি স্বর্গীয় তিমির চন্দ্র সেন ২০১৬ সালের ১৬ই জুন যশোর বেনাপোল স্থল বন্দরের পরিচালক নিতাই চন্দ্র সেনকে দিয়ে এই জগন্নাথ মন্দিরের পুন: ভিত্তি প্রস্তুত স্থাপন করেন।

জগন্নাথ ধাম ও সাংস্কৃতির কমিটির সভাপতি বটু কৃষ্ণ বসু ও সিনিয়র সহÑসভাপতি নিখিল দাস জানান, বৃহত্তর কুমিল্লা ও চাঁদপুর জেলায় এটাই সবচেয়ে ব্যয়বহুল সৌন্দর্য মন্ডিত মন্দির। এই মন্দির নির্মাণে ব্যয় হয়েছে প্রায় ২ কোটি টাকা।

মন্দির উদ্বোধন উপলক্ষ্যে আয়োজনে ছিল সুদর্শন চক্র প্রতিষ্ঠা, জগন্নাথ বলরাম সুভ্রদাকে সিংহাসনে প্রতিষ্ঠিত করা, রাজভোগ নিবেদন, যজ্ঞানো অনুষ্ঠান ও ভক্তদের সমাগমে বিশেষ আরতি প্রদান। অনুষ্ঠানে বিশে^র শান্তি ও করোনা ভাইরাস থেকে মুক্তির জন্য বিশেষ প্রার্থনা করা হয়।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

স্কুলের শ্রেণিকক্ষে ‘আপত্তিকর’ অবস্থায় ছাত্রীসহ প্রধান শিক্ষক আটক

১শ’ ৫৩ বছরের ঐতিহ্যবাহী দৃষ্টিনন্দন সাচার শ্রী শ্রী জগন্নাথ ধাম মন্দির উদ্বোধন

আপডেট সময় : ১২:০৩:৫৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২২

মো. রাছেল : কচুয়া উপজেলার সাচারে অবস্থিত পুন: নির্মিত দৃষ্টিনন্দন সাচার জগন্নাথ ধাম মন্দির উদ্বোধন করা হয়েছে। বুধবার সকালে মাঙ্গলিক শোভা যাত্রার মধ্যে দিয়ে এই মন্দিরটি ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর এমপি। মন্দির কৃর্তপক্ষ জানান, নতুন রূপে নতুন সাজে ১শ ৫৩ বছরের ঐতিহ্যবাহী সাচার শ্রী শ্রী জগন্নাথ ধামে পুন: নির্মিত দৃষ্টিনন্দন মন্দিরটি বুধবার উদ্বোধন হয়েছে।

Model Hospital

এশিয়া উপ মহাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রথ যাত্রা উৎসব হিসেবে সাচার জগন্নাথ ধামের মন্দিরটি পরিচিতি লাভ করেছে। নিপুণ কারুকার্য সমৃদ্ধ দৃষ্টিনন্দন মন্দিরটি উপরের অংশে ৯ গম্বুজ বিশিষ্ট প্রায় ৬০ ফুট উচু প্রধান গম্বুজটি একটি সুদর্শন চক্র দ্বারা বেষ্টিত রয়েছে। এই মন্দিরটি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের জন্য দেশের অন্যতম ধর্মীয় তীর্থ স্থান হিসেবে রূপ নিয়েছে। পুরো মন্দিরটিতে দেওয়া হয়েছে সাদা, আকাশি ও সোনালী রং। আর কারুকাজগুলো ফুটিয়ে তোলা হয়েছে ময়ুরের পেখম ও ব্রোঞ্জ রঙে।

মন্দিরটি দেখলে মনে হয়, যেন ময়ুর পেখম মেলে রয়েছে। মন্দিরের ফটক রয়েছে তিনটি। ফটক পেরিয়ে ভিতরে রয়েছে আরেকটি ছোট ঘর। সেখানে রাখা হয়েছে জগন্নাথ, বলরাম ও শুভদ্রার কাঠের খোদাই করা মূর্তি। এই ঘরে কাঠের কারুকাজে নির্মাণ করা হয়েছে জগন্নাথ দেবের সিংহাসন। সোনালি রং শোভিত আসনটি নজর কাড়ছে দর্শনাথীদের। রয়েছে অত্যাধুনিক ঝাড়বাতি ও আলোকসজ্জা।

অনিন্দ্যসুন্দর এই মন্দিরটি দেখে এক পলকেই মুগ্ধ হবেন যে কেউ। মন্দির পরিচালনা কমিটি মনে করেন, শুধু সনাতন ধর্মাবলম্বীরাই নন, এই মন্দিরের সৌন্দর্যে আকৃষ্ট হবেন এ উপজেলায় ঘুরতে আসা দেশ-বিদেশের পর্যটকরাও। তৎকালীন মন্দির কমিটির সভাপতি স্বর্গীয় তিমির চন্দ্র সেন ২০১৬ সালের ১৬ই জুন যশোর বেনাপোল স্থল বন্দরের পরিচালক নিতাই চন্দ্র সেনকে দিয়ে এই জগন্নাথ মন্দিরের পুন: ভিত্তি প্রস্তুত স্থাপন করেন।

জগন্নাথ ধাম ও সাংস্কৃতির কমিটির সভাপতি বটু কৃষ্ণ বসু ও সিনিয়র সহÑসভাপতি নিখিল দাস জানান, বৃহত্তর কুমিল্লা ও চাঁদপুর জেলায় এটাই সবচেয়ে ব্যয়বহুল সৌন্দর্য মন্ডিত মন্দির। এই মন্দির নির্মাণে ব্যয় হয়েছে প্রায় ২ কোটি টাকা।

মন্দির উদ্বোধন উপলক্ষ্যে আয়োজনে ছিল সুদর্শন চক্র প্রতিষ্ঠা, জগন্নাথ বলরাম সুভ্রদাকে সিংহাসনে প্রতিষ্ঠিত করা, রাজভোগ নিবেদন, যজ্ঞানো অনুষ্ঠান ও ভক্তদের সমাগমে বিশেষ আরতি প্রদান। অনুষ্ঠানে বিশে^র শান্তি ও করোনা ভাইরাস থেকে মুক্তির জন্য বিশেষ প্রার্থনা করা হয়।