মো. রাছেল : কাল শনিবার সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব সরস্বতী পূজা। বিদ্যা দেবীর কৃপালাভের আশায় সারাদেশের ন্যায় কচুয়ায় বিভিন্ন মন্দিরে পূজা উদযাপিত হচ্ছে। তাদের বিশ্বাস- সরস্বতী বিদ্যা, বাণী আর সুরের অধিষ্ঠাত্রী দেবী।
মাঘ মাসের শুক্লপক্ষের পঞ্চমী তিথিতে শুভ্র রাজহংসে চেপে দেবী সরস্বতী আসেন মর্তে। সনাতন ধর্মীয় রীতিতে সকালে দেবীকে দুধ, মধু, দই, ঘি, কর্পূর, চন্দন দিয়ে স্নান করানো হবে। এরপর চরণামৃত নেবেন ভক্তরা। সকাল নয়টার দিকে হবে বাণী অর্চনা। পুরোহিতরা ‘সরস্বতী মহাভাগে বিদ্যে কমল লোচনে/বিশ্বরূপে বিশালাক্ষী বিদ্যংদেহী নমোহস্তুতে’ এ মন্ত্রে বিদ্যার দেবী সরস্বতীর আরাধনা করবেন, পূজার আচার পালন করবেন। এরপর ভক্তরা পুষ্পাঞ্জলি দেবেন।
হিন্দুদের বিশ্বাস, সরস্বতী দেবী খুশি হলে বিদ্যা ও বুদ্ধি অর্জিত হবে। সরস্বতী পূজা উপলক্ষে হিন্দু সম্প্রদায় বিশেষ করে শিক্ষার্থীরা আজ বাণী অর্চনাসহ নানা ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।
কচুয়া উপজেলার বিভিন্ন মন্দির ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিশেষ করে চাঁদপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটউট সহ কচুয়া পৌর এলাকায় নবোদয় সংঘের উদ্যোগে সরস্বতী দেবীর পূজা অর্চনা করা হচ্ছে। পূজা অর্চনা ছাড়াও অন্য অনুষ্ঠানমালায় আছে পুষ্পাঞ্জলি প্রদান, প্রসাদ বিতরণ, ধর্মীয় আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, সন্ধ্যা আরতি, আলোকসজ্জা প্রভৃতি।