সজীব খান : জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান বলেছেন মুসলমানের ধর্মতো একটাই, ইসলাম ধর্ম হচ্ছে সব চাইতে সহজ ও শান্তির ধর্ম, আমরা হচ্ছি উত্তরাধিকার সূত্রে মুসলমান,বাপদাদা থেকে শুরু করে বংশ-পরম্পর আমরা মুসলমান। ইসলাম সব সময় শান্তির কথা বলে।
সামনে আমাদের কোরবানি আসছে, এ কোরবানি মাংস গরীরদের কয়ভাগ হবে, এটা নিয়ে ও অনেক মতাদর্শ রয়েছে, কারণ বর্তমান সময় ইউটিউবে নিজেদের ব্যবসার জন্য অনেক অসত্য তথ্য দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্তি করছে। এ বিষয়গুলো সবাইকে জানাতে হবে।
আমাদের গ্রামের প্রত্যান্ত অঞ্চলে এখনো ইসলামের সঠিক বার্তা পৌঁছেনি। সে বিষয়টি ও গুরুত্ব দিতে হবে, করোনার ৪র্থ দাফ বৃদ্ধি পাচ্ছে, আমাদের
কোভিডের হার বাড়ছে, করোনা থেকে সুরক্ষা থাকতে হলে সবাইকে মাস্ক পড়তে হবে। সচেতনতার বিষয়ে জোরধার করতে হবে।
তিনি বলেন দেশ অনেক এগিয়ে আসছে, ২০৪১ সালে বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশে পরিনত হবে, গড় মাতা পিছু আয় বাড়বে। অগ্নি সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সবাইকে সচেতন হতে হবে।
প্রতিবাদ করেন, কিন্তু প্রতিবাদ যাতে মিছিলের দিকে না যায়, সেদিকে লক্ষ রেখে বক্তব্য দিতে হবে, দেশ ও রাষ্ট্রের যাতে কোন প্রকার ক্ষতি না হয়, উস্কানিমূলক কোন প্রকার কথা বলা যাবে না। খুৎবা পূর্বে মসজিদে সমাজিক অক্ষয়ের বিষয়ে সবাইকে জানাতে হবে।
মাদকের বিরুদ্ধে সবাইকে সচেতন করার জন্য মসজিদে মসজিদে খুৎবার পূর্বে বললে দেশ থেকে মাদক নির্মল হবে।
তিনি বলেন, একটা সম্মেলিত স্থানে সবাইকে আসতে হবে। করোনা কালীন সময়ে অনেকেই নামাজ পড়েছেন, নামাজি হয়েছে, দান-খয়রাত করেছে, সুন্দর ও সম্প্রীতির পথে আমাদের সবাইকে থাকতে হবে, অন্যের ধর্মের প্রতি সুন্দর আচারণ করাই আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।, অনেকে বিভিন্ন সমাবেশে বিভিন্ন বক্তব্য দিয়ে আসছে, সে বক্তব্য শান্তির পক্ষে বলতে হবে। শান্তিপূর্ণ ভাবে আলোচনা প্রতিবাদ করতে হবে।
কয়েকদিন পূর্বে ভারতের একটি রাজনীতিকদল নেতা আমাদের নবীজিকে নিয়ে কুটক্তি করেছে, এটা নিয়ে বিশ্বের মুসলমানদের মনে কঠিন ভাবে আঘাত করেছে।
তিনি আরো বলেন, আমাদের পদ্মাসেতু উদ্বোধন হয়েছে, মানুষের কল্যানে এসেছে, আমাদের টাকা পদ্মাসেতু তৈরি করা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদক্ষ নের্তৃত্ব তা সম্ভাব হয়েছে। নতুন প্রজন্মকে ইসলামিক শিক্ষায় সুশিক্ষিত করতে হবে। দেশের বা রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ন সময়ে ইমামরা কঠিনতম দায়িত্ব পালন করছে। সরকারের এজেন্টার বিষয়ে ও ইমামরা খুৎবার পূরবে তুলে ধরছে। দেশের শান্তি শৃঙ্খলা বিষয়ে মুসল্লিদের জানাচ্ছে।
একজন মানুষ জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত সকল বিষয়ে পবিত্র কোরআনে আছে, কোরআন একটি পুনাঙ্গ জীবন বিদান। পারস্পরিক ধর্মকে যাতে আঘাত না আসে সে বিষয়ে ইমামগন ওয়াজ মাহফিলে ভাল ভাব তুলে ধরলে দেশ থেকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি রক্ষা পাবে। কোরআনকে আকড়ে ধরতে হবে।
চাঁদপুর জেলা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের আয়োজনে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সুরক্ষা ও সন্ত্রাস জঙ্গিবাদ প্রতুরোধে করণীয় শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান এ কথা বলেন।
বুধবার সকাল ১০টায় সদর উপজেলা পরিষদের অডিটোরিয়াম অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ইমতিয়াজ হোসেনের সভাপতিত্বে ইসলামিক ফাউন্ডেশন ফিল্ড অফিসার মাওলানা মোঃ বিল্লাল হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ বিপিএম (বার), সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম নাজিম দেওয়ান, সদর উপজেলা ইউএনও (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ফাহমিদা হক, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি গিয়াসউদ্দিন মিলন, ইসলামি ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ খলিলুর রহমান, জেলা ইমাম মুয়াজ্জিন কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মোঃ আবদুর রহমান গাজী প্রমুখ। অনুষ্ঠানের শুরুতে কোরআন তেওলায়াত করেন মাওলানা সোলাইমার, নাতে রাসুল পাঠ করেন মাওলানা গোলাম কিবরিয়া।
এ সময় জেলার প্রখ্যাত আলেম, সুশীল সমাজ, সরকারের বিভিন্ন অধিদপ্তরের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন ।