ঢাকা ০৮:১৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হাইমচরে ডাকাত সন্দেহে কোস্টগার্ডের হামলায় ১ জেলে নিখোঁজ, আহত ২

মোঃ সাজ্জাদ হোসেন রনি : হাইমচরে মেঘনা নদীতে ডাকাত সন্দেহে কোস্টগার্ডের ধাওয়ায় এক জেলে নিখোঁজ ও২জন আহত হয়েছে।
৩০ জুন বৃহস্পতিবার রাত ৪ টায় কোস্টগার্ড জেটি সংলগ্ম কাটাখালি মাছ ঘাট মেঘনা নদীতে এ ঘটনা ঘটে। নিখোঁজ মোহাম্মদ আলী (৫০) শরিয়তপুর জেলার ভেদরগঞ্জ সখিপুরের হোসেন বেপারীর ছেলে।
এ ঘটনায় আহত ২ জন একই এলাকার মজিবর মিয়ার ছেলে খিজির মিয়া (২৮) ও অলি মিয়া মালের ছেলে বিল্লাল। নিখোঁজ জেলের সন্ধানে হাইমচর ফায়ার সার্ভিস, কোস্টকার্ড কাজ করে যাচ্ছে।
আহত বিল্লাল জানান, নদীতে মাছ ধরার জন্য এক ট্রলারে করে ৭ জন জেলে নদীতে যান। রাত ৪ টার সময় কোস্টগার্ড তাদের কারেন্ট জাল ছিনিয়ে নেয়ার জন্য তাদেরকে ধাওয়া করে। তারা কোস্টগার্ডের ভয়ে দ্রুত চলে যাওয়ার চেষ্টা করে।
কোস্টগার্ড তাদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল মারাসহ লাঠি দিয়ে এলোপাতালি মারতে থাকে। কোস্টগার্ডের বোটটি জেলেদের ট্রলারের উপর উঠিয়ে দিলে তাদের সাথে থাকা মোহাম্মদ আলী নামের জেলে নদীতে পরে যায়। কোস্ট গার্ড তাদের ৬জনকে তাদের বোটে উঠিয়ে বেঁধে রাখে। বিল্লাল বলেন, আমরা কোস্টগার্ডকে যত বলেছি স্যার আমাদের একজন ট্রলার থেকে নদীতে পরে গেছে। তাকে বাঁচান। তারা উল্টো আমাদেরকে মারতে থাকে। কোস্টগার্ড আমাদের নৌকাকে তাদের বোটের সাথে বেঁধে জেটিতে নিয়ে যায়। ভোর হওয়ার সাথে সাথে আমাদেরকে মাঝ নদীতে নিয়ে গিয়ে ছেড়ে দেয়। আমরা হাইমচর হাসপাতালে এসে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হই। হাইমচর থানায় একটি নিখোঁজ ডায়রি করেছি।
কোস্টগার্ড সিসি গোলাম আলি আহমেদ জানান, বৃহস্পতিবার রাত ৩টা ৩০ মিনিটে আমাদের কাছে ফোন আসে নদীতে ২টি ট্রলারে বেশ কিছু ডাকাত সদস্য ডাকাতি করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।  আমরা রাত ৪টার সময় টিম নিয়ে নদীতে যাই। নদীতে একটি ট্রলারে ৬ জনের মত লোক দেখতে পাই এবং তথ্য মতে ২ টি ট্রলারের একটিতে জালসহ বেশ কয়েকজন লোক আছে জানতে পারি। এ ট্রলারটি যখন আমাদের সামনে পরে তখন তাদের দাড়ানোর জন্য বলা হয়। তখন তারা বোটটি আরো দ্রুত চালিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। আমারা তাদের ধরতে গেলে তারা আমাদের উপর হামলা চালায়।
এক পর্যায়ে আমরা তাদের ধরতে পারি। তাদের আটক করে জেটিতে নিয়ে আসি। যাচাই বাচাই করে দেখলাম তারা ডাকাত সদস্য না। তাই তাদের ৬জনকেই আমরা ছেড়ে দেই। সকাল বেলা শুনি তাদের একজন নাকি নিখোঁজ। তাদের লোক নিখোঁজ রয়েছে তারা আমাদের বলেনি। সকাল ৭ টায় শুনতে পাই তাদের লোক একজনকে পাওয়া যায় না। আমরা শুনার সাথে সাথে নদীতে খোঁজতে নেমে যাই। আমরা এখনো নিখোঁজ জেলের সন্ধানে নদীতে কাজ করে যাচ্ছি।
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

চট্টগ্রামে কার্টন ফ্যাক্টরিতে আগুন,নিয়ন্ত্রণে ৮ইউনিট

হাইমচরে ডাকাত সন্দেহে কোস্টগার্ডের হামলায় ১ জেলে নিখোঁজ, আহত ২

আপডেট সময় : ০৮:৪৩:৫০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১ জুলাই ২০২২
মোঃ সাজ্জাদ হোসেন রনি : হাইমচরে মেঘনা নদীতে ডাকাত সন্দেহে কোস্টগার্ডের ধাওয়ায় এক জেলে নিখোঁজ ও২জন আহত হয়েছে।
৩০ জুন বৃহস্পতিবার রাত ৪ টায় কোস্টগার্ড জেটি সংলগ্ম কাটাখালি মাছ ঘাট মেঘনা নদীতে এ ঘটনা ঘটে। নিখোঁজ মোহাম্মদ আলী (৫০) শরিয়তপুর জেলার ভেদরগঞ্জ সখিপুরের হোসেন বেপারীর ছেলে।
এ ঘটনায় আহত ২ জন একই এলাকার মজিবর মিয়ার ছেলে খিজির মিয়া (২৮) ও অলি মিয়া মালের ছেলে বিল্লাল। নিখোঁজ জেলের সন্ধানে হাইমচর ফায়ার সার্ভিস, কোস্টকার্ড কাজ করে যাচ্ছে।
আহত বিল্লাল জানান, নদীতে মাছ ধরার জন্য এক ট্রলারে করে ৭ জন জেলে নদীতে যান। রাত ৪ টার সময় কোস্টগার্ড তাদের কারেন্ট জাল ছিনিয়ে নেয়ার জন্য তাদেরকে ধাওয়া করে। তারা কোস্টগার্ডের ভয়ে দ্রুত চলে যাওয়ার চেষ্টা করে।
কোস্টগার্ড তাদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল মারাসহ লাঠি দিয়ে এলোপাতালি মারতে থাকে। কোস্টগার্ডের বোটটি জেলেদের ট্রলারের উপর উঠিয়ে দিলে তাদের সাথে থাকা মোহাম্মদ আলী নামের জেলে নদীতে পরে যায়। কোস্ট গার্ড তাদের ৬জনকে তাদের বোটে উঠিয়ে বেঁধে রাখে। বিল্লাল বলেন, আমরা কোস্টগার্ডকে যত বলেছি স্যার আমাদের একজন ট্রলার থেকে নদীতে পরে গেছে। তাকে বাঁচান। তারা উল্টো আমাদেরকে মারতে থাকে। কোস্টগার্ড আমাদের নৌকাকে তাদের বোটের সাথে বেঁধে জেটিতে নিয়ে যায়। ভোর হওয়ার সাথে সাথে আমাদেরকে মাঝ নদীতে নিয়ে গিয়ে ছেড়ে দেয়। আমরা হাইমচর হাসপাতালে এসে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হই। হাইমচর থানায় একটি নিখোঁজ ডায়রি করেছি।
কোস্টগার্ড সিসি গোলাম আলি আহমেদ জানান, বৃহস্পতিবার রাত ৩টা ৩০ মিনিটে আমাদের কাছে ফোন আসে নদীতে ২টি ট্রলারে বেশ কিছু ডাকাত সদস্য ডাকাতি করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।  আমরা রাত ৪টার সময় টিম নিয়ে নদীতে যাই। নদীতে একটি ট্রলারে ৬ জনের মত লোক দেখতে পাই এবং তথ্য মতে ২ টি ট্রলারের একটিতে জালসহ বেশ কয়েকজন লোক আছে জানতে পারি। এ ট্রলারটি যখন আমাদের সামনে পরে তখন তাদের দাড়ানোর জন্য বলা হয়। তখন তারা বোটটি আরো দ্রুত চালিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। আমারা তাদের ধরতে গেলে তারা আমাদের উপর হামলা চালায়।
এক পর্যায়ে আমরা তাদের ধরতে পারি। তাদের আটক করে জেটিতে নিয়ে আসি। যাচাই বাচাই করে দেখলাম তারা ডাকাত সদস্য না। তাই তাদের ৬জনকেই আমরা ছেড়ে দেই। সকাল বেলা শুনি তাদের একজন নাকি নিখোঁজ। তাদের লোক নিখোঁজ রয়েছে তারা আমাদের বলেনি। সকাল ৭ টায় শুনতে পাই তাদের লোক একজনকে পাওয়া যায় না। আমরা শুনার সাথে সাথে নদীতে খোঁজতে নেমে যাই। আমরা এখনো নিখোঁজ জেলের সন্ধানে নদীতে কাজ করে যাচ্ছি।