স্টাফ রিপোর্টার : চাঁদপুরে বর্নিল আর ব্যাতিক্রমী আয়োজনে মধ্য দিয়ে লায়ন্স ক্লাব অব চাঁদপুর রুপালীর সেবা বর্ষ (২০২২-২০২৩) নতুন কমিটি গঠন,সাবেক সভাপতিদের উত্তরীয় প্রদান ও দায়িত্ব হস্তান্তর অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে।
২ জুলাই শনিবার রাতে শহরের রসুইঘর পার্টি সেন্টারে দায়িত্ব হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মোঃ মিলন মাহমুদ। এসময় তিনি বলেন লায়ন্স ক্লাব পৃথিবীতে বৃহৎ একটি সেবা মূলক সংগঠন হিসাবেই পরিচিত।যারা সামাজে ব্যাক্তি পর্যায়ে ও আর্থিক ভাবে প্রতিষ্ঠিত তারাই এই সংগঠনে মানব কল্যান করার জন্য কাজ করেন।
আপনারা ইতিমধ্যেই এই ক্লাবের মাধ্যমে চাঁদপুরে বেশ কয়েকটি ভালো কাজ করেছেন যা অত্যান্ত প্রংশনীয়।তিনি আরোও বলেন আমারা যদি নিজেদের দায়িত্ব ও চিন্তাবোধ থেকে এভাবে সমাজ বিনির্মানে কাজ করি তাহলে ভালো লাগবে।আমি নিজেও লায়ন পরিবারের সন্তান।
ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক লায়ন আরমান চৌধুরী রবিনের সঞ্চালনায় ও সাবেক সভাপতি মফিজুল ইসলাম খান সেলিমের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পুনাক চাঁদপুরের সভানেত্রী ডাঃ আফসানা শর্মী।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে আর্ষনীয় অংশ হিসাবে ছিলো সাবেক সভাপতি পিপি লায়ন আনিছুর রহমান, পিপি লায়ন এডভোকেট সেলিম আকবর,পিপি লায়ন মোঃজাকির হোসেন,পিপি লায়ন হারুন অর রশিদ,পিপি লায়ন মাহমুদ হাসান খান,পিপি লায়ন জিকরুল আহসানকে প্রধান অতিথি পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদুরের হাতে ক্লাবের উত্তরীয় পরিধান,ফুলেল শুভেচ্ছা প্রদান ও সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। বিগত বছরের কর্মকান্ডের ভিত্তিতে অনুষ্ঠানে বেষ্ট কো-অর্ডিনেটর নির্বাচিত হয় লায়ন আরমান চৌধুরী রবিন।
লায়ন্স ক্লাব অব চাঁদপুর রুপালীর নব গঠিত সেবা বর্ষ (২২-২৩) এর কমিটির সদস্যরা হলেন প্রেসিডেন্ট পদে লায়ন কিশোর সিংহ রয়,সেক্রেটারি পদে লায়ন আবুল কালাম আজাদ, ট্রেজারার পদে লায়ন মোঃ গোলাম হোসেন টিটু,আইপিপি লায়ন মোঃমফিজুল ইসলাম খান সেলিম,১ম ভাইস প্রেসিডেন্ট লায়ন খোরশেদ আলম বাবুল,২য় ভাইস প্রেসিডেন্ট লায়ন আলমগীর আলম জুয়েল, ৩য় ভাইস প্রেসিডেন্ট লায়ন আরমান চৌধুরী রবিন,১ম জয়েন সেক্রেটারি লায়ন মিজানুর রহমান,২য় জয়েন সেক্রেটারি লায়ন ফয়সাম আহমেদ,১ম জয়েন ট্রেজারার লায়ন কামরুল হাসান,২য় জয়েন ট্রেজারার লায়ন কাজী মোস্তাফিজুর রহমান।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে লিও ক্লাবের নতুন কমিটির কাছেও দায়িত্ব হস্তান্তর করা হয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কুরআন তেলওয়াত করেন লিও সোহরাব হোসেন, গীতা পাঠ করেন লিও পায়েল । জাতীয় সংগীতের মধ্যদিয়ে শুরু হওয়া অনুষ্ঠানটি নৈশভোজে এবং সাংকৃতিক অনুষ্ঠানে মধ্য দিয়ে শেষ হয়।