বিশেষ প্রতিনিধি : চাঁদপুরে অসহায় একটি পরিবার সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার হয়ে নীজ বাড়িতে উঠতে না পেরে খোলা আকাশের নীচে বসবাস করছে। এ ১০ সদস্যের পরিবারটি তাদের সম্পত্তি ফিরে পেতে ও সন্ত্রাসীদের হামলার বিচার চেয়ে চাঁদপুরের পৌর মেয়র এডভোকেট মো: জিল্লুর রহমান জুয়েলের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। বৃহস্পতিবার পৌর মেয়র তাদের অসহাত্বের ও হামলার বিস্তারিত কথা শুনে তাদেরকে ন্যায় সঙ্গতো সহায়তা ও সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেছেন।
চাঁদপুরের চান্দ্রায় স্ত্রী ছামিনা খাতুন(৭০) স্বামীর ও সন্তান বাবুল মাঝি(৬৩)সহ ৯ সন্তান পিতার সম্পত্তি ফিরে পেতে সালিশি বৈঠকে বসে প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ৯৯৯ এ কল করে পুলিশের সহায়তা পেয়ে জীবনে রক্ষা পেয়েছে পরিবারটির।
এ ঘটনায় সন্ত্রাসী হামলায় দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে বৃদ্ধা ছামিনা খাতুনসহ চারজনকে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি কওে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার(১১ আগস্ট) শেষ বিকেলে চাঁদপুর সদর মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়। চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশ ঘটনা তদন্ত করে দেখছেন বলে জানা গেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে গত (৯ আগস্ট) সকাল আনুমানিক সাড়ে দশটায় চাঁদপুর সদর উপজেলার ১২নং চান্দ্রা ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডেও মদনা গ্রামের মাঝি বাড়িতে । হাসপাতালে ভর্তি কৃতআহতরা হচ্ছে, মৃত তাহাজ মাঝির ছেলে বাবুল মাঝি (৬৩), আবু তালেব,লাকি আক্তার ও তাদের ‘মা’ ছামিনা খাতুন। অন্য আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। হামলার ঘটনায় অভিযুক্তরা হলো, শিরাজ মাঝির ছেলে দুলাল মাঝি, মনির মাঝি,আলা উদ্দিন মাঝি, সুমন মাঝি, নুরুল ইসলাম মাঝির ছেলে ইউসুফ মাঝি, আনসারুল্লার ছেলে মাইনুদ্দিন বিশ্বাস, শাহিন বিশ্বাস, পল্লি চিকিৎসক বসু জমাদারের ছেলে সাইফুল জমাদার।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, চাঁদপুর সদর উপজেলার ১২নং চন্দ্রা ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের মদনা গ্রামের সোনা মিয়া মাঝির ছেলে তাহাজ মাঝি যুবক বয়সেই ঢাকায় বসবাস করতো। এরই মধ্যে তিনি দীর্ঘ বহু বছর ধরে নিজ গ্রামের বাড়িতে আসেনি। তাহাজ মাঝি পিতা সোনা মাঝি প্রায় ৩০ বছর পূর্বে ৩১ শতাংশ জমি রেখে মারা যান। পিতার মৃত্যুর পর তাহাজ মাঝি তার পিতা সম্পত্তির অংশ বুঝে নেননি।
২০১০ সালে তাহাজ মাঝি মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুর পর তার স্ত্রী ছামিনা ও ৯ সন্তানদের নিয়ে চাঁদপুর সদর ১২নং চান্দ্রা এলাকায় এসে তাহাজ মাঝির সম্পত্তির বুঝে পেতে এলাকায় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের কাছে বহুবার ধরনা দেন। এতে ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা ও তাহাজ মাঝির সম্পত্তির দখল করে রাখা ব্যক্তিরা কোন সমাধান করেনি। পুনরায় গত (৯ আগস্ট) চান্দ্রা ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের মাঝি বাড়িতে স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক সাইফুল জমাদারের নেতৃত্বে একটি সালিশি বৈঠক বসানো হয়।
সেই শালিশি বৈঠকে উভয় পক্ষের জমির কাগজপত্র পর্যালোচনা করার একপর্যায়ে সালিশ পল্লী চিকিৎসক সাইফুল জমাদার প্রতিপক্ষের পক্ষ নিয়ে লিপ্ত হন বলে ভুক্তভোগীরা।
এক পর্যায়ে প্রতিপক্ষ দুলাল মাঝির নেতৃত্বে দেশী অস্ত্র-,শস্ত্রে সজ্জিত অবস্থায় তাহাজ মাঝির স্ত্রী ছামিনাা খাতুন ও তার সন্তানদের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে তাদেরকে বেদম ভাবে পিটিয়ে মারাত্বক রক্তাক্ত জখম করে বলে অভিযোগ থেকে গানা গেছে। এ হামলায় ছামিনা খাতুনসহ কমপক্ষে ১০ জন মারাত্বক আহত হয়।
এ ঘটনার পরপরই হামলার শিকার ব্যক্তিরা ৯৯৯ এ কল করে পুলিশের সহায়তায় জীবনে রক্ষা পেয়েছে বলে এলাকাবাসী জানান। এ হামলার ঘটনায় ৮ জনের নাম উল্লেখ্য করে আরো অজ্ঞাতনামা ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে চাঁদপুর সদর মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগি পরিবার।
উল্লেখ্য, ঢাকায় স্বাধীনতার পর জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জীবিত কালীন তার সহচর্জাকারী আওয়ামীলীগের এক জন নিবেদিত প্রান ব্যক্তি হিসেবে দলের জন্য কাজ করে গেছেন,চাঁদপুর সদর উপজেলার ১২নং চন্দ্রা ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের মদনা গ্রামের সোনা মিয়া মাঝির ছেলে তাহাজ মাঝি। যিনি জীবনে দল থেকে কিছু চাননি। জীবন-জীবিকার জন্য নিজের দলের নৌকা মার্কার মোরক ব্যবহার করে মুক্তা হাসি দাাঁতের মাজন বিক্রি করে পরিবার পরিজন নিয়ে অতিকষ্টে জীবিকা নির্বাহ করতেন বলে জানিয়েছেন তার স্ত্রী ছামিনা খাতুন ও তার জেষ্ঠ্য সন্তান বাবুল মাঝি।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিরোধী দলে থাকাকালীন ও বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকারের সময়েও নিজের জীবন যৌবন দিয়ে নি:স্বার্থ ভাবে বাংলােেদশ আওয়ামীলীগকে ভালবাসার একমাত্র ব্যক্তি হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন চাঁদপুরের প্রয়াত সোনা মিয়া মাঝির ছেলে প্রয়াত তাহাজ মাঝি। সে তাহাজ মাঝি ২০১০ সালে ঢাকায় মৃত্যুবরন করেন। মৃত্যুকালে তাহাজ মাঝি স্ত্রীসহ ৯সন্তান রেখে যান।
তার রেখে যাওয়া ৯ সন্তানসহ পরিবারের ১০জন মানুষ ঢাকায় অতিকষ্ট করে ভাড়া করা বাসায় থেকে জীবিকা নির্বাহ করে যাচ্ছে। পরিবারের ১০জনের কাছে খবর আসে তাদের পিতা তাহাজ মাঝির পিতা সোনা মিয়া মাঝির চাঁদপুরে ৩১ শতাংশ সম্পত্তি রেখে মারা গেছে। সে সম্পত্তির অংশ হিসেবে তাহাজ মাঝির সন্তানরা প্রায় ৫ শতাংশ সম্পত্তির মালিক রয়েছে। সে সম্পত্তি বুঝে নিতে এসে তাহাজ মাঝির সন্তানরা সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন।