মোঃ রাছেল : গত দুই বছর করোনা মহামারিরকারণে স্বাত্ত্বিক পূজা-অর্চনার মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল শারদীয় দুর্গাপূজা। বাঙ্গালি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসব। পূজাকে সামনে রেখে এ বছর উপজেলার পূজা মন্ডপের দেবী মায়ের ভক্তদের মাঝে বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। রবিবার মহালয়ের মাধ্যমে দেবীদুর্গা পা রাখেন মর্ত্যলোকে। আর একেবারে শেষ মূহুর্তে রং তুলির আচড়ে দেবীকে সাজিয়ে তুলতে নির্ঘুম রাত কাটাছে প্রতিমা শিল্পীদের। আর মাত্র ৫দিন পর পহেলা অক্টোবর ষষ্ঠীতে হবে দেবীর বোদন, ২ অক্টোবর মহাসপ্তমী, ৩ অক্টোবর মহাষ্টমী, ৪ অক্টোবর মহানবমী ও ৫ অক্টোবর বিজয়া দশমীর মধ্যে দিয়ে শেষ হবে ৫ দিনব্যাপী শারদীয় দূর্গোৎসবের। এ বছর দেবী গজে এবং গমন করবেন নৌকায় করে।
পূজা উদযাপন পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় এবার পৌরসভার ও ১২টি ইউনিয়নে ৪২টি পূজা মন্ডপের মধ্যে ৩৮ টি পূজা মন্ডপে দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে । তন্মধ্যে দোয়াটি উত্তর পাড়া চিন্তাহরণ হাওলাদার বাড়ির দুর্গা মন্দির, নাহড়া সূত্রধর বাড়ির দুর্গা মন্দির, আয়মা গোসাই বাড়ির দুর্গা মন্দির, মাসিমপুর সরকার বাড়ির দুর্গা মন্দির। এই চারটি দুর্গা মন্দিরে মায়ের পূজা অর্চনা হচ্ছেনা। এতে ব্যথিত দেবী মায়ের ভক্তরা।
নাম প্রকাশ না করা শর্তে ক্ষোভ প্রকাশ করে দেবী মায়ের ভক্তরা বলেন, পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দ উদ্যোগ নিলেই এই চারটি মন্ডপে দুর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হতে পারত। আমরা ৩৬৫ দিন অপেক্ষায় থাকি দেবী মায়ের চরণে পুম্পাঞ্জলি দেওয়ার জন্য। এই বছর আমরা দেবী মায়ের চরণে পুম্পাঞ্জলি দিতে পারছি না। এর দায় কে নেবে ? এই ৩৮টি পূজা মন্ডপের মধ্যে সবচেয়ে প্রাচীন পূজা মন্ডপ হচ্ছে উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন কোয়া পোদ্দার বাড়ির সর্বজনীন দূর্গা মন্ডপ। এ বছর এই মন্ডপে ১৪২ তম শারদীয় দুর্গোৎসব উদযাপন করতে যাচ্ছে।
প্রতিমা শিল্পী কালু গোস্বামীর সাথে কথা বলে জানা যায়, শেষ মুহুর্তে এসে গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করতে হচ্ছে। ব্যস্ততায় দম ফেলার সুযোগ নেই। রঙের ছোঁয়ায় প্রতিমাকে সাজিয়ে তুলা হচ্ছে। দেবীকে সুন্দর করে সাজিয়ে তুলতে পারলেই কাজ করে নিজের মধ্যে শান্তি পাব।
পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি ফনি ভূষণ মজুমদার তাপু ও সাধারণ সম্পাদক বিকাশ সাহা জানান, উপজেলার ৪২টি পূজা মন্ডপের মধ্যে ৩৮টি পূজা মন্ডপে শারদীয় দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। শিল্পীরা শেষ মুহুর্তের কাজ করছেন। আগামী দ্ইু এক দিনের মধ্যে তা স¤পন্ন হয়ে যাবে। প্রশাসনের কাজ থেকে আমরা সার্বিক সহযোগিতা পাচ্ছি। আশা করছি ভালো ভাবে পূজা সম্পন্ন হবে।
কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ইব্রাহিম খলিল বলেন, উপজেলার ৩৮টি পূজা মন্ডপে স্ষ্ঠুু ও নির্বিঘ্নে উদযাপন করতে যেকোন অপতৎপরতা রোধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে পুলিশ প্রশাসন। সকলের সহযোগিতায় একটি সুষ্ঠু ও সুন্দর সর্বজনীন উৎসব করতে আমাদের সর্বাত্মক চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।