১ অক্টোবর শনিবার সকালে চাঁদপুর চাঁদপুর জেলা প্রশাসনের আয়োজনে সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে সম্প্রতি সমাবেশে বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, যারা ধর্মকে ব্যবহার করে অন্যায় কাজ করে, তারা কোনো ধার্মিক ব্যক্তি হতে পারে না, তারা সন্ত্রাসী। এই বাংলাদেশ মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সবার। কোন ধর্মেই নরহত্যা মানুষ হত্যাকে সমর্থন করে না, পবিত্র কোরআনে আছে একজন মানুষকে হত্যা করা মানে সমগ্র মানুষকে হত্যা করা।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, অত্যাচার ও নির্যাতনকে কোন ধর্মেই সহ্য করে না, আমরা ধর্মের নাম ব্যবহার করে সকল অপকর্মের কাজ করে থাকি। আমাদের দেশ গড়ার পেছনে সকল মানুষের অবদান রয়েছে। কেউ গুজবি কান দিবেন না, নিজ বুদ্ধিমতে যাচাই করবেন। আগের দিনের মতো সমাজে আর একে অপরের প্রতি সম্প্রীতি নেই। হিন্দু- মুসলিম, ধনী-গরিব সবার পরিচয় আমরা মানুষ। তাই একে অপরের প্রতি ভালোবাসা দেখাতে হবে। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এই দেশটাকে সবার এগিয়ে নিতে হবে। কোনো ধরনের বৈষম্য না রেখে সমাজ অসহায়দের পাশে দাঁড়াতে হবে।
জেলা প্রশাসক কামরুল হাসানের সভাপতিত্বে ও সাংবাদিক এম আর ইসলাম বাবুর পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চাঁদপুরের পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ বিপিএম-বার, জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি ডাঃ জে আর ওয়াদুদ টিপু, চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র অ্যাডভোকেট জিল্লুর রহমান জুয়েল, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম নাজিম দেওয়ান।
এ সময় বক্তব্য রাখেন হাজীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রাশেদুল ইসলাম, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সুভাষ চন্দ্র রায়, সাধারণ সম্পাদক তমাল কুমার ঘোষ, জেলা হিন্দু-বৌদ্ধ ঐক্য খ্রিস্টান পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট রনজিত রায় চৌধুরী, জেলা স্কাউটের সভাপতি অজয় কুমার ভৌমিক, জেলা ইমাম সমিতির সভাপতি মাওঃ সাইফুদ্দিন সরকার, বালিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রফিকউল্লাহ পাটোয়ারী, চাঁদপুর প্রেসক্লাব সভাপতি গিয়াসউদ্দিন মিলন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক খলিলুর রহমান প্রমুখ।
সমাবেশে স্বাগত বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ইমতিয়াজ হোসেন।