চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে বিএনপি চেয়্যারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার ৭৯তম জন্মদিবস পালন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৫ই আগষ্ট) সকালে উপজেলার পৌরসভার প্রাণকেন্দ্র কালীবাড়ি বাজার ও সূচীপাড়া উত্তর ইউনিয়নের শোরশাক বাজারে পৃথক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে কেক কাটা ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
উপজেলা বিএনপি ও সহযোগী অঙ্গ-সংগঠন উপজেলার কালীবাড়ি বাজার থেকে বিশাল শোভাযাত্রা বের করে। এছাড়া সূচীপাড়া উত্তর ইউনিয়নের শোরশাক বাজারে ইউনিয়ন বিএনপি-র উদ্যোগে আরেকটি শোভাযাত্রা বের হয় সকালে।
দুটি শোভাযাত্রায় নেতা-কর্মীদের মুখে স্লোগান ছিলো- ‘শুভ শুভ শুভ দিন, খালেদা জিয়ার জন্মদিন’।
উপজেলায় আয়োজিত শোভাযাত্রায় উপস্থিত ছিলেন শাহরাস্তি পৌরসভা যুবদলের সদস্য সচিব আবদুল কাইয়ুম রিপন, পৌর যুবদলের যুগ্ন আহবায়ক মোঃ নোমান, মোঃ মিন্টু, যুবদল নেতা মাঈনুদ্দিন, এমরান, সবুজ, রাব্বি, আরিফ, ফরিদ, কবির, রুবেল, মিন্টু, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আবুল হায়দার, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা রাকিব, নাহিদুল, ছাত্রদল আহবায়ক মোঃ মাজহারুল ইসলাম জুয়েল, ছাত্রনেতা শাহাদাত হোসেন প্রমুখ।
শাহরাস্তি পৌরসভা যুবদলের সদস্য সচিব আবদুল কাইয়ুম রিপন বলেন, “খালেদা জিয়া জাতীয়তাবাদী চেতনার শক্তি। ওয়ান-ইলেভেনের পর নির্যাতন করে তাকে শেষ করে দিতে চেয়েছিলো আওয়ামীলীগ সরকার। এখনও খালেদা জিয়া ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। তবে এতে কোনো লাভ হবে না। আন্দোলন জোরদার করতে হবে।”
পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আবুল হায়দার বলেন, “অপপ্রচার করে বিএনপি-র জনপ্রিয়তা কেউ রুখতে পারবে না। আগামীতে বিএনপি-র নেতৃত্বে বাংলাদেশ সামনের দিকে এগিয়ে যাবে।”
অপরদিকে সূচীপাড়া উত্তর ইউনিয়ন শোরসাক অঞ্চলে ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ফাহাদ পাটওয়ারীর আয়োজনে ইউনিয়ন যুবদলের সাংগঠনিক আবুল রাউৎ, বিএনপির নেতা তাজুল ইসলাম, ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সভাপতি রহিম রাউৎ ও যুবদল নেতা মোরশেদ আলম রানা,সবুজ হোসেন, এমরান হোসেন, মনির হোসেন, আওয়াল, শাহাদাৎ, মিজান, ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সুমন মাল সহ দলের বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ৭৯ তম জন্মদিন আজ। ১৯৪৫ সালের এ দিনে দিনাজপুরে তার জন্ম। দিনটি উপলক্ষ্যে শাহরাস্তি উপজেলা বিএনপি ও সহযোগী অঙ্গ সংগঠন দোয়া মাহফিলের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। গত কয়েক বছর এই দিনে বিশেষ কোনো কর্মসূচি পালন করেনি দলটি।
চার বোন ও দুই ভাইয়ের মধ্যে খালেদা জিয়া চতুর্থ। তার বাবা এস্কান্দার মজুমদার, মা বেগম তৈয়বা মজুমদার। পৈতৃক নিবাস ফেনীর ফুলগাজী হলেও তার শৈশব-কৈশোর কেটেছে দিনাজপুরে বাবার কর্মস্থলে। ১৯৬০ সালের আগস্ট মাসে তৎকালীন সেনা কর্মকর্তা জিয়াউর রহমানের সঙ্গে বিয়ে হয় বেগম খালেদার।