বাঙ্গালি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসব। দুর্গাপূজাকে সামনে রেখে এ বছর উপজেলার ৩৯টি পূজা মণ্ডপের দেবী মায়ের ভক্তদের মাঝে অন্যান্য বছরের ন্যায় বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। মহালয়ের মাধ্যমে দেবীদুর্গা পা রাখেন মর্ত্যলোকে। আর মাত্র ১দিন পর ৯অক্টোবর ষষ্ঠীতে হবে দেবীর বোধন, ১০ অক্টোবর মহাসপ্তমী, ১১ অক্টোবর মহাষ্টমী, ১২ অক্টোবর
মহানবমী ও ১৩ অক্টোবর বিজয়া দশমীর মধ্যে দিয়ে শেষ হবে ৫ দিনব্যাপী শারদীয় দূর্গোৎসবের।
এ বছর দেবী দোলায় আগামন, ঘোটকে গমন করবেন।
পূজা উদযাপন পরিষদ সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় এবার পৌরসভার ও ১২টি ইউনিয়নে ৩৯টি পূজা মণ্ডপে দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এই ৩৯টি পূজা মণ্ডপের মধ্যে সবচেয়ে প্রাচীন পূজা মন্ডপ হচ্ছে উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন কোয়া পোদ্দার বাড়ির সর্বজনীন দূর্গা মণ্ডপ। এই বছর এ মণ্ডপে ১৪৪ তম শারদীয় দুর্গোৎসব উদযাপন করতে যাচ্ছে।
পূজা মণ্ডপ কমিটির নেতৃবৃন্দেরা জানান, ৫ ই আগস্ট ছাত্র জনতার গণঅভ্যূত্থানে শেখ হাসিনা দেশ ত্যাগের পরে হিন্দুদের মাঝে ভীতিকর পরিস্থিতি দেখা দেয়। এখন আতংকের মধ্যে দিনযাপন করছি। দেবীদুর্গা মা যদি কৃপা করে তাহলে আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন করতে পারবো। অন্যান্য বছরের মতো আলোক সজ্জা, দৃষ্টিনন্দন গেইট, প্যান্ডেল বাদ দিয়ে সীমিত পরিসরে এই বছর দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে।
প্রতিমা শিল্পী কালা চাঁন গোস্বামীর বলেন, ভয়ের মধ্যে দিয়ে শেষ মুহুর্তে এসে তারাহুড় করে কাজ করে রঙের ছোঁয়ায় প্রতিমাকে সাজিয়ে তুলা হচ্ছে। দেবীকে সুন্দর করে সাজিয়ে তুলতে পারলেই কাজ করে নিজের মধ্যে শান্তি আসে।
কচুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হেলাল চৌধুরী জানান, প্রতিটি পূজামণ্ডপে কঠোর নিরাপত্তা জোরদার করা হবে। সকল পূজামণ্ডপে পুলিশ, আনসার নিয়োগের পাশাপাশি সেনাবাহিনীর টহল থাকবে। এছাড়া ঝুঁকিপূর্ণ পূজামণ্ডপে বিশেষ নজরে রাখা হবে।
কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম আবদুল হালিম বলেন, উপজেলার ৩৯টি পূজা মণ্ডপে সুষ্ঠ ও নির্বিঘ্নে উদযাপন করতে যেকোন অপতৎপরতা রোধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে পুলিশ প্রশাসন। সকলের সহযোগিতায় একটি সুষ্ঠু ও সুন্দর সর্বজনীন উৎসব করতে আমাদের সর্বাত্মক চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।