ঢাকা ০৬:১৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হাইমচর প্রেসক্লাবের নতুন কমিটি সর্বমহলে বিতর্কিত

নিজস্ব প্রতিনিধি : অবশেষে হাইমচর প্রেসক্লাবের বিতর্কিত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটি গঠন করার মধ্য দিয়ে দীর্ঘ দিনের ঐতিহ্য বিনষ্ট করা হয়েছে বলে দাবী করেছেন হাইমচর প্রেসক্লাবের  সদস্যবৃন্দ। কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে উপজেলা ঝুরে বইছে সমালোচনার ঝড়।
জানাজায়, গত জুন মাসে ২০১৯-২১ সালের প্রেসক্লাবের কমিটির মেয়াদ শেষ হয়। কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর গত ১ অক্টোবর সাধারণ বার্ষিক সভা অনুষ্ঠিত হয়। ঐ সভায় ২ বছর পূর্বে প্রেসক্লাব সদস্য হওয়ার জন্য আবেদন করেন ১০ জন সংবাদ কর্মি। এর মধ্যে ৮ জনকে সদস্য নেয়ার ব্যাপারে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়।
সভায় প্রেসক্লাব নির্বাচনের জন্য দ্রুত ভোটার তালিকা প্রকাশ করে নির্বাচন সম্পন্ন করার সিদ্ধান্ত হয়। ঐ মিটিং এর পরের দিনই সভাপতি খুরশিদ আলম শিকদার সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমানকে নতুন করে ৩৫ জন সদস্য ফরমে সাইন করার জন্য জোর প্রয়োগ করেন। সাধারণ সম্পাদক তখন সাধারণ সম্পাদক পদ হতে লিখিত অব্যহতি নেন। পরবর্তীতে সভাপতি নিজ ক্ষমতা বলে নিজের স্বার্থে পত্রিকার সাথে সযশ্লিষ্ট ব্যতিত, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার লোকজনসহ ৬৩ জনকে সদস্য মনোনীত করেন। সবশেষে শুক্রবার মিটিং ডেকে সভাপতি পদে খুরশিদ আলমকে সভাপতি ও জাকির হোসেনকে সম্পাদক ঘোষনা দেন। এ বিতর্কৃত কমিটিকে কেন্দ্র করে হাইমচর প্রেসক্লাবের সিনিয়র সদস্যরা প্রেসক্লাব থেকে পদত্যাগ করেন। এ নিয়ে পুরো উপজেলা ঝুরে বইছে আলোচনা সমালোচনার ঝড়।
সিনিয়র সাংবাদিক প্রেসক্লাব প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম শফিক, সদস্য জহিরুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর মিজি, সাহেদ হোসেন দিপু, হাসান আল মামুন, শরীফুল ইসলাম জানান, হাইমচর প্রেসক্লাব প্রতিষ্ঠার দীর্ঘ প্রায় ২৫ বৎসরে  সেপ্টেম্বর ২০২১ পর্যন্ত   সদস্য সংখ্যা হয় ২৩ জন ,  সর্বশেষ গত ১ অক্টোবর শুক্রবার সাধারন সভায় সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে নতুন যুক্ত হয় আরো ৮ জন । মোট সদস্য সংখ্যা হয় ৩১ জন।
কিন্তু অদৃশ্য কারনে কোন নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে,  সাধারন সভার সিদ্ধান্ত জালিয়াতি করে ১ সপ্তাহ পর ৩১ জনের স্থলে সদস্য সংখ্যা দাড়ায় ৬৩ জনে। যা প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক সহ দায়িত্বশীল কেউ জানেনা।তারা বলেন, হাইমচর প্রেসক্লাব এখন ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক ক্লাবে পরিচিত হয়েছে। তাই আমরা হাইমচর প্রেসক্লাব থেকে অব্যহতি নিয়েছি। মাঠ পর্যায়ের সাংবাদিকদের মানসম্মান ফিরিয়ে আনার লক্ষে আমরা খুব দ্রুত একটি সংগঠনের ঘোষনা দিব।
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

স্কুলের শ্রেণিকক্ষে ‘আপত্তিকর’ অবস্থায় ছাত্রীসহ প্রধান শিক্ষক আটক

হাইমচর প্রেসক্লাবের নতুন কমিটি সর্বমহলে বিতর্কিত

আপডেট সময় : ০৩:৫২:৪১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ নভেম্বর ২০২১
নিজস্ব প্রতিনিধি : অবশেষে হাইমচর প্রেসক্লাবের বিতর্কিত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটি গঠন করার মধ্য দিয়ে দীর্ঘ দিনের ঐতিহ্য বিনষ্ট করা হয়েছে বলে দাবী করেছেন হাইমচর প্রেসক্লাবের  সদস্যবৃন্দ। কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে উপজেলা ঝুরে বইছে সমালোচনার ঝড়।
জানাজায়, গত জুন মাসে ২০১৯-২১ সালের প্রেসক্লাবের কমিটির মেয়াদ শেষ হয়। কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর গত ১ অক্টোবর সাধারণ বার্ষিক সভা অনুষ্ঠিত হয়। ঐ সভায় ২ বছর পূর্বে প্রেসক্লাব সদস্য হওয়ার জন্য আবেদন করেন ১০ জন সংবাদ কর্মি। এর মধ্যে ৮ জনকে সদস্য নেয়ার ব্যাপারে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়।
সভায় প্রেসক্লাব নির্বাচনের জন্য দ্রুত ভোটার তালিকা প্রকাশ করে নির্বাচন সম্পন্ন করার সিদ্ধান্ত হয়। ঐ মিটিং এর পরের দিনই সভাপতি খুরশিদ আলম শিকদার সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমানকে নতুন করে ৩৫ জন সদস্য ফরমে সাইন করার জন্য জোর প্রয়োগ করেন। সাধারণ সম্পাদক তখন সাধারণ সম্পাদক পদ হতে লিখিত অব্যহতি নেন। পরবর্তীতে সভাপতি নিজ ক্ষমতা বলে নিজের স্বার্থে পত্রিকার সাথে সযশ্লিষ্ট ব্যতিত, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার লোকজনসহ ৬৩ জনকে সদস্য মনোনীত করেন। সবশেষে শুক্রবার মিটিং ডেকে সভাপতি পদে খুরশিদ আলমকে সভাপতি ও জাকির হোসেনকে সম্পাদক ঘোষনা দেন। এ বিতর্কৃত কমিটিকে কেন্দ্র করে হাইমচর প্রেসক্লাবের সিনিয়র সদস্যরা প্রেসক্লাব থেকে পদত্যাগ করেন। এ নিয়ে পুরো উপজেলা ঝুরে বইছে আলোচনা সমালোচনার ঝড়।
সিনিয়র সাংবাদিক প্রেসক্লাব প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম শফিক, সদস্য জহিরুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর মিজি, সাহেদ হোসেন দিপু, হাসান আল মামুন, শরীফুল ইসলাম জানান, হাইমচর প্রেসক্লাব প্রতিষ্ঠার দীর্ঘ প্রায় ২৫ বৎসরে  সেপ্টেম্বর ২০২১ পর্যন্ত   সদস্য সংখ্যা হয় ২৩ জন ,  সর্বশেষ গত ১ অক্টোবর শুক্রবার সাধারন সভায় সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে নতুন যুক্ত হয় আরো ৮ জন । মোট সদস্য সংখ্যা হয় ৩১ জন।
কিন্তু অদৃশ্য কারনে কোন নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে,  সাধারন সভার সিদ্ধান্ত জালিয়াতি করে ১ সপ্তাহ পর ৩১ জনের স্থলে সদস্য সংখ্যা দাড়ায় ৬৩ জনে। যা প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক সহ দায়িত্বশীল কেউ জানেনা।তারা বলেন, হাইমচর প্রেসক্লাব এখন ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক ক্লাবে পরিচিত হয়েছে। তাই আমরা হাইমচর প্রেসক্লাব থেকে অব্যহতি নিয়েছি। মাঠ পর্যায়ের সাংবাদিকদের মানসম্মান ফিরিয়ে আনার লক্ষে আমরা খুব দ্রুত একটি সংগঠনের ঘোষনা দিব।