ঢাকা ০১:৫০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫, ২৯ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চাঁদপুর নৌ পুলিশের অভিযানে ১৬ জেলে আটক

নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মেঘনা নদীর অভয়াশ্রম এলাকায় ইলিশ শিকার করায় ১৬ জেলেকে আটক করেছে নৌ পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৬টি বেহুন্দি জাল, ৬টি ইঞ্জিনচালিত নৌকা, ৮ লাখ ১৫ হাজার ৭০০ মিটার কারেন্টজাল এবং ১৩০ কেজি জাটকা মাছ জব্দ করা হয়।

বৃহস্পতিবার সকালে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন চাঁদপুর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেএমএস ইকবাল।

নৌ পুলিশের দেয়া তথ্য জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টা চাঁদপুর নৌ থানা এলাকায় পদ্মা ও মেঘনা নদীতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় যাত্রাবাহী লঞ্চ এমভি জামাল-৮ থেকে ১২টি চায়না চাই জব্দ করা হয়।

এছাড়া ইলিশ অভয়াশ্রম অভিযানের অংশ হিসেবে চাঁদপুর মোহনা, লগিমারা-চর রাজরাজেশ্বর, আমিরাবাদ লাল বয়া ও বহরিয়া এলাকা থেকে অবৈধভাবে মাছ ধরার অপরাধে ১৬ জনকে আটক করা হয়।

Model Hospital

আটককৃত ১৬ জেলের মধ্যে ১২ জনের বিরুদ্ধে চাঁদপুর সদর মডেল থানায় মৎস্য আইনে ৬টি নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে। বাকি ৪ জন অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় তাদের অভিভাবকদের জিম্মায় মুচলেকা রেখে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।

এদিকে জব্দকৃত কারেন্ট জাল আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস, জাটকা মাছ স্থানীয় দরিদ্র জনগোষ্ঠী ও এতিমখানায় বিতরণ করা হয়। বাঁশের ঝোপ নদীতে বাল্কহেড দ্বারা বিনষ্ট এবং বেহুন্দি জাল, নৌকা ও চায়না চাই থানার হেফাজতে রাখা হয়েছে।

চাঁদপুর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেএমএস ইকবাল বলেন, বিশেষ অভিযানের ফলে ইলিশ রক্ষা কার্যক্রম আরও জোরদার হবে বলে আশা করা যায়। চাঁদপুর নৌ থানা জনগণের সহযোগিতায় মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণে সবসময় কাজ অব্যাহত রাখবে।

ট্যাগস :

চাঁদপুর নৌ পুলিশের অভিযানে ১৬ জেলে আটক

আপডেট সময় : ০৯:৩২:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মেঘনা নদীর অভয়াশ্রম এলাকায় ইলিশ শিকার করায় ১৬ জেলেকে আটক করেছে নৌ পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৬টি বেহুন্দি জাল, ৬টি ইঞ্জিনচালিত নৌকা, ৮ লাখ ১৫ হাজার ৭০০ মিটার কারেন্টজাল এবং ১৩০ কেজি জাটকা মাছ জব্দ করা হয়।

বৃহস্পতিবার সকালে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন চাঁদপুর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেএমএস ইকবাল।

নৌ পুলিশের দেয়া তথ্য জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টা চাঁদপুর নৌ থানা এলাকায় পদ্মা ও মেঘনা নদীতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় যাত্রাবাহী লঞ্চ এমভি জামাল-৮ থেকে ১২টি চায়না চাই জব্দ করা হয়।

এছাড়া ইলিশ অভয়াশ্রম অভিযানের অংশ হিসেবে চাঁদপুর মোহনা, লগিমারা-চর রাজরাজেশ্বর, আমিরাবাদ লাল বয়া ও বহরিয়া এলাকা থেকে অবৈধভাবে মাছ ধরার অপরাধে ১৬ জনকে আটক করা হয়।

Model Hospital

আটককৃত ১৬ জেলের মধ্যে ১২ জনের বিরুদ্ধে চাঁদপুর সদর মডেল থানায় মৎস্য আইনে ৬টি নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে। বাকি ৪ জন অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় তাদের অভিভাবকদের জিম্মায় মুচলেকা রেখে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।

এদিকে জব্দকৃত কারেন্ট জাল আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস, জাটকা মাছ স্থানীয় দরিদ্র জনগোষ্ঠী ও এতিমখানায় বিতরণ করা হয়। বাঁশের ঝোপ নদীতে বাল্কহেড দ্বারা বিনষ্ট এবং বেহুন্দি জাল, নৌকা ও চায়না চাই থানার হেফাজতে রাখা হয়েছে।

চাঁদপুর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেএমএস ইকবাল বলেন, বিশেষ অভিযানের ফলে ইলিশ রক্ষা কার্যক্রম আরও জোরদার হবে বলে আশা করা যায়। চাঁদপুর নৌ থানা জনগণের সহযোগিতায় মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণে সবসময় কাজ অব্যাহত রাখবে।