ঢাকা ০৪:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৩, ১৮ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

কচুয়ায় সরিষার বাম্পার ফলন! কৃষকের মুখে হাসি

মো. রাছেল : তেলজাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের আওতায় কচুয়া উপজেলায় রোপা আমন পরবর্তী সময়ে পতিত জমিতে তেলজাতীয় ফসল প্রদর্শনী বাস্তবায়নের মাধ্যমে সরিষার বাম্পার ফলন হয়েছে । ফলে কৃষকের মুখে হাসি ফুটছে। সাধারণত রোপা আমন কিংবা বোনা আমন কর্তনের পর দুই থেকে আড়াই মাস জমি পতিত থাকে। তারপর জানুয়ারি শেষ দিকে বোরো মৌসুমের চারা রোপণ কার্যক্রম শুরু হয়। এই সময়টিকে অনাবাদি না রাখতেই এই কৌশল অবলম্বন করে প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়।

চলতি মৌসুমে ১৮০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষে লক্ষ মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে বৃষ্টিপাত হওয়ায় তার মধ্যে ১৬০ হেক্টর সরিষার অবাধ হয়েছে। গত বছর ১৫০ হেক্টর জমিতে সরিষা অবাদ হয়েছে। দাম ভালো পাওয়ায় কৃষকরা এবারও সরিষা চাষে বেশি আগ্রহী হয়ে পড়ছে । আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে এ বছর প্রত্যেক চাষী অধিক মুনাফা লাভ করবে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ সোফায়েল হোসেন বলেন, তেল জাতীয় ফসলের বৃদ্ধি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় প্যাটার্ন ভিত্তিক প্রদর্শনী করা হয়েছে। একই কৃষক সরিষা পরবর্তীতে বোরোধান এবং আমন ধান করার জন্য উপকরণ পাবে। এই প্রকল্পের অন্যতম উদ্দেশ্য হচ্ছে ভোজ্য তেল ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি করা। দেশে প্রতিবছর ২৪ হাজার ৮শত কোটি টাকার ভোজ্যতেল আমদানি করা হয়।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ জাহাঙ্গীর আলম লিটন বলেন, রোপা আমনের ধান কর্তনের পর বোরোধান রোপণের মাঝে স্বল্পমেয়াদী বারি সরিষা ১৪, বারি সরিষা ১৭ জাতগুলো আবাদ করা যায়। এগুলো ৭৫ দিনের মধ্যেই ফলন এসে যায়, গড় ফলন বিঘা প্রতি ৪-৫ মণ। যা তেল ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি করবে, পাশাপাশি জমির উর্বরতা শক্তি বৃদ্ধি করবে। সরিষা- বোরো-পতিত কিংবা সরিষা-বোরো-বোনা আমন, সরিষা- বোরো – রোপা আমন ক্রপিং প্যাটার্ন ভিত্তিক এই প্রকল্পের আওতায় কচুয়া উপজেলায় বিভিন্ন ব্লকে একাধিক প্রদর্শনী বাস্তবায়ন করা হয়েছে।

আরো পড়ুন  মতলবে ফসলি জমি থেকে অবৈধভাবে মাটি উত্তোলন করছেন প্রভাবশালী আরিফ হোসেন

কচুয়া উপজেলার তুলপাই ব্লকের কৃষক জামাল হোসেন বলেন, উপজেলা কৃষি অফিসের সহয়তায় এই প্রথম আমাদের এলাকায় ব্লকে প্রদর্শনী করে ৩ একর জমিতে সরিষা আবাদ করেছি, আগামীতে আমাদের কাছ থেকে অনেকেই বীজ নিয়ে আবাদ করবে।

পালাখাল ব্লকের আষার কোটা গ্রামের স্থানীয় কৃষক আলী মিয়া, আব্দুল রশিদ জানান, গত বছর সরিষা ভালো দাম পাওয়ায় চলতি বছরে সরিষা বেশি অবাদ করেছি। ভালো ফলন হয়েছে অবশ্যই দাম পাবো বলে আশা করছি।

উল্লেখ্য যে, তেলজাতীয় ফসলের সম্প্রসারণ ও উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে দেশে ভোজ্যতেলের চাহিদা পূরণ ও আমদানি হ্রাসকল্পে প্রকল্পটি দেশের ২শত৫০ টি উপজেলায় ২০২৫ সাল পর্যন্ত কাজ করবে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

শাহরাস্তিতে ভোক্তা অধিকারের অভিযানে ২টি ঔষধ দোকানিকে ২৫ হাজার টাকা দন্ড

error: Content is protected !!

কচুয়ায় সরিষার বাম্পার ফলন! কৃষকের মুখে হাসি

আপডেট সময় : ১১:২১:২৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২২

মো. রাছেল : তেলজাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের আওতায় কচুয়া উপজেলায় রোপা আমন পরবর্তী সময়ে পতিত জমিতে তেলজাতীয় ফসল প্রদর্শনী বাস্তবায়নের মাধ্যমে সরিষার বাম্পার ফলন হয়েছে । ফলে কৃষকের মুখে হাসি ফুটছে। সাধারণত রোপা আমন কিংবা বোনা আমন কর্তনের পর দুই থেকে আড়াই মাস জমি পতিত থাকে। তারপর জানুয়ারি শেষ দিকে বোরো মৌসুমের চারা রোপণ কার্যক্রম শুরু হয়। এই সময়টিকে অনাবাদি না রাখতেই এই কৌশল অবলম্বন করে প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়।

চলতি মৌসুমে ১৮০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষে লক্ষ মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে বৃষ্টিপাত হওয়ায় তার মধ্যে ১৬০ হেক্টর সরিষার অবাধ হয়েছে। গত বছর ১৫০ হেক্টর জমিতে সরিষা অবাদ হয়েছে। দাম ভালো পাওয়ায় কৃষকরা এবারও সরিষা চাষে বেশি আগ্রহী হয়ে পড়ছে । আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে এ বছর প্রত্যেক চাষী অধিক মুনাফা লাভ করবে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ সোফায়েল হোসেন বলেন, তেল জাতীয় ফসলের বৃদ্ধি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় প্যাটার্ন ভিত্তিক প্রদর্শনী করা হয়েছে। একই কৃষক সরিষা পরবর্তীতে বোরোধান এবং আমন ধান করার জন্য উপকরণ পাবে। এই প্রকল্পের অন্যতম উদ্দেশ্য হচ্ছে ভোজ্য তেল ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি করা। দেশে প্রতিবছর ২৪ হাজার ৮শত কোটি টাকার ভোজ্যতেল আমদানি করা হয়।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ জাহাঙ্গীর আলম লিটন বলেন, রোপা আমনের ধান কর্তনের পর বোরোধান রোপণের মাঝে স্বল্পমেয়াদী বারি সরিষা ১৪, বারি সরিষা ১৭ জাতগুলো আবাদ করা যায়। এগুলো ৭৫ দিনের মধ্যেই ফলন এসে যায়, গড় ফলন বিঘা প্রতি ৪-৫ মণ। যা তেল ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি করবে, পাশাপাশি জমির উর্বরতা শক্তি বৃদ্ধি করবে। সরিষা- বোরো-পতিত কিংবা সরিষা-বোরো-বোনা আমন, সরিষা- বোরো – রোপা আমন ক্রপিং প্যাটার্ন ভিত্তিক এই প্রকল্পের আওতায় কচুয়া উপজেলায় বিভিন্ন ব্লকে একাধিক প্রদর্শনী বাস্তবায়ন করা হয়েছে।

আরো পড়ুন  বাম্পার ফলনে মরিচ চাষীদের মুখে হাসি

কচুয়া উপজেলার তুলপাই ব্লকের কৃষক জামাল হোসেন বলেন, উপজেলা কৃষি অফিসের সহয়তায় এই প্রথম আমাদের এলাকায় ব্লকে প্রদর্শনী করে ৩ একর জমিতে সরিষা আবাদ করেছি, আগামীতে আমাদের কাছ থেকে অনেকেই বীজ নিয়ে আবাদ করবে।

পালাখাল ব্লকের আষার কোটা গ্রামের স্থানীয় কৃষক আলী মিয়া, আব্দুল রশিদ জানান, গত বছর সরিষা ভালো দাম পাওয়ায় চলতি বছরে সরিষা বেশি অবাদ করেছি। ভালো ফলন হয়েছে অবশ্যই দাম পাবো বলে আশা করছি।

উল্লেখ্য যে, তেলজাতীয় ফসলের সম্প্রসারণ ও উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে দেশে ভোজ্যতেলের চাহিদা পূরণ ও আমদানি হ্রাসকল্পে প্রকল্পটি দেশের ২শত৫০ টি উপজেলায় ২০২৫ সাল পর্যন্ত কাজ করবে।