মো. রাছেল : কচুয়ায় একই জমিতে জনপ্রিয় হচ্ছে ভূট্টা ও শাক চাষ। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ভুট্টার সাথে আন্ত:ফসল হিসেবে স্বল্পমেয়াদী শাকসবজি যেমন লাল শাক, ডাটা শাক, পালং শাক, মুগ শাক, সরিষা শাক, খেসারি শাক, ধনিয়া ইত্যাদি চাষ করে সফলতার মুখ দেখেছেন কৃষক। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় একই জমিতে ভূট্টার পাশাপাশি অনেক কৃষকরা শাক চাষাবাদ করছেন। দুটি ভূট্টা গাছের মধ্যবর্তী স্থানে ফাঁকা থাকায় শাক আবাদ করা সম্ভব। এতে অন্য ফসলের পাশাপাশি শাকসবজি আবাদে ঝুঁকছেন কৃষরা।
![priyo chandpur 12 Model Hospital](https://priyochandpur.net/wp-content/uploads/2023/11/awfe.png)
এতে যেমন লাভবান হচ্ছেন কৃষক, অন্যদিকে খরচের পরিমান স্বল্প। ফলে কৃষকরা একই জমিতে মিশ্র আবাদের দিকে আগ্রহী হচ্ছেন। এদিকে উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শ এবং মাঠ পর্যায়ে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের তৎপরতায় কৃষক ভূট্টা এবং শাক চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন অধিকাংশ কৃষক।
করইশ গ্রামের কৃষক আইয়ুব মিয়া বলেন, একই জমিতে আন্ত:ফসল হিসেবে ভূট্টা, লালশাক, ধনিয়া, মূলা উৎপাদন করছেন। ইতিমধ্যে জমি থেকে কয়েক দফা লাল শাক এবং ধনিয়া বিক্রয় করেছেন। তার মতে এটি আর্থিকভাবে বেশ লাভজনক চাষাবাদ।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার কৃষিবিদ মো. জাহাঙ্গীর আলম লিটন বলেন, প্রাথমিক অবস্থায় দুই গাছের মধ্যবর্তী স্থানে অনেক ফাঁকা জায়গা থাকে। এই ফাঁকা জায়গার সুযোগটা কাজে লাগিয়ে সহজেই বিভিন্ন ধরনের স্বল্পমেয়াদী শাকসবজি চাষ করা সম্ভব। এই পদ্ধতিতে কৃষকের বিঘাপ্রতি ৫থেকে ৬ হাজার টাকা অতিরিক্ত আয় করা সম্ভব হবে এবং অতিরিক্ত কোন সারেরও প্রয়োজন নেই। কচুয়া উপজেলায় প্রায় ১১৫০ হেক্টর জমিতে ভূট্টা আবাদ হয় এই পদ্ধতিতে কৃষকের মধ্যে ব্যাপকভাবে জনপ্রিয় হচ্ছে।