ঢাকা ০৬:১৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হাইমচরে ৪ হাজার একর কৃষি জমি চাষাবাদে হুমকি

মোঃ সাজ্জাদ হোসেন রনি : হাইমচর উপজেলার চরভাঙ্গা ও চরপোড়ামূখি গ্রামের প্রায় ৫ হাজার পরিবারের সুখ-দুঃখ নির্ভর করে প্রাচীন একটি নালার উপর। যাদের মধ্যে ৯০ শতাংশ মানুষ-ই কৃষির ওপর নির্ভরশীল।  কৃষকের স্বপ্ন পূরণ ও দুই গ্রামের মানুষের চাহিদার প্রেক্ষিতে নালাটি সংস্কার করার প্রয়োজন দেখা দিয়েছে। সংস্কার কাজ শুরুর পর থেকেই গুটি কয়েক অসাধু প্রভাবশালী ও স্বার্থান্বেষী এ কাজকে বাধাগ্রস্ত করতে আদা-জল খেয়ে উঠে-পড়ে লেগেছে। এতে হুমকির মুখে পড়তে বসেছে দুই গ্রামের ৫ সহস্রাধিক পরিবারসহ প্রায় ৪ হাজার একর কৃষি জমি। ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পথে হাইমচরের অর্থনৈতিক প্রধান খাত।
জানা যায়, হাইমচর উপজেলার ৩নং আলগী দক্ষিণ ইউনিয়ন অন্তর্ভুক্ত ১৫১ ও ১৫২ নং মৌজার দুই গ্রামের বর্ষার পানি নিষ্কাশনের জন্য এই নালাটি ব্যবহৃত হতো। বিগত ৫/৬ বছর পূর্বে নালাটি অতি বৃষ্টির কারণে পলি জমে প্রায় অকার্যকর হয়ে যায়। এতে বর্ষা মৌসুমে উল্লেখিত দুই গ্রামের পানি নিষ্কাশন ব্যাহত হওয়ার কারণে কৃষকদের শত শত একর আবাদি জমির ফসল, পানের বরজ, সুপারী বাগান, ও বসত বাড়ি পানির নিচে তলিয়ে যায়। বিষয়টি স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কে অবহিত করলে তিনি সরকারি প্রকল্পের মাধ্যমে নালাটি পুনঃসংস্কার করে দেন। স্থানীয় শ্যামল চন্দ্র মহাজনের নেতৃত্বে কিছু সংখ্যক স্বার্থান্বেষী তাদের হীন স্বার্থ চরিতার্থ করার লক্ষে সংস্কারকৃত নালাটি বন্ধ করে দেয়। এসবি খাল থেকে কৃষি জমির শাখা খালগুলো বাঁচানোর মাধ্যমে বেঁচে থাকতে চায় দুই গ্রামের ৯০ শতাংশ কৃষক পরিবার।
স্থানীয় কৃষক বীব মুক্তিযোদ্ধা মুকবুল হোসেন সরকার জানান, এসবি খালের এ শাখা নালাটির উপর নির্ভর করে আমাদের অর্থনৈতিক চাকার সচলতা, ভালো থাকার চাবিকাঠি ও শান্তিতে বসবাসের সর্বশেষ ভরসা। সংস্কারকৃত এ নালাটি বন্ধ হয়ে গেলে পানির অভাবে জমিতে ফসল চাষাবাদ হুমকির মুখে পড়বে। ফলে আমাদের পরিবার নিয়ে বেঁচে থাকা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়বে। তাই নালাটি বাঁচিয়ে রাখতে ঊধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
কৃষক আবু গাজী জানান, নালাটি বন্ধ হয়ে গেলে পানের বরজ যেমনই ক্ষতিগ্রস্ত হবে তেমনই আমাদের জীবনে নেমে আসবে অমানিশার অন্ধকার। বসত বাড়িতে যেমন দুর্ভোগ পোহাতে হবে তেমনই কৃষি জমির চাষাবাদ পড়তে সীমাহীন হুমকির মুখে। তাই খাল বাঁচাতে শারীরিক, অর্থনৈতিকসহ যেকোনো সহযোগিতায় আমরা ঐক্যবদ্ধ আছি।
হাইমচর উপজেলা নির্বাহী অফিসার চাই থোয়াইহলা চৌধুরী জানান, আমি বিষয়টি অবগত হয়েছি। নালাটি নিয়ে যেখানে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে, স্ব-শরীরে সেখানে গিয়ে দেখতে হবে কি কারণে নালাটি খোলা বা বন্ধ করার চেষ্টা চলছে। এসবি খালের এ শাখাটি সরকারি যায়গার উপরে কি-না বা কবে থেকে এ নালার সৃষ্টি, স্ব চোখে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

স্কুলের শ্রেণিকক্ষে ‘আপত্তিকর’ অবস্থায় ছাত্রীসহ প্রধান শিক্ষক আটক

হাইমচরে ৪ হাজার একর কৃষি জমি চাষাবাদে হুমকি

আপডেট সময় : ০২:২৬:০৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২২
মোঃ সাজ্জাদ হোসেন রনি : হাইমচর উপজেলার চরভাঙ্গা ও চরপোড়ামূখি গ্রামের প্রায় ৫ হাজার পরিবারের সুখ-দুঃখ নির্ভর করে প্রাচীন একটি নালার উপর। যাদের মধ্যে ৯০ শতাংশ মানুষ-ই কৃষির ওপর নির্ভরশীল।  কৃষকের স্বপ্ন পূরণ ও দুই গ্রামের মানুষের চাহিদার প্রেক্ষিতে নালাটি সংস্কার করার প্রয়োজন দেখা দিয়েছে। সংস্কার কাজ শুরুর পর থেকেই গুটি কয়েক অসাধু প্রভাবশালী ও স্বার্থান্বেষী এ কাজকে বাধাগ্রস্ত করতে আদা-জল খেয়ে উঠে-পড়ে লেগেছে। এতে হুমকির মুখে পড়তে বসেছে দুই গ্রামের ৫ সহস্রাধিক পরিবারসহ প্রায় ৪ হাজার একর কৃষি জমি। ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পথে হাইমচরের অর্থনৈতিক প্রধান খাত।
জানা যায়, হাইমচর উপজেলার ৩নং আলগী দক্ষিণ ইউনিয়ন অন্তর্ভুক্ত ১৫১ ও ১৫২ নং মৌজার দুই গ্রামের বর্ষার পানি নিষ্কাশনের জন্য এই নালাটি ব্যবহৃত হতো। বিগত ৫/৬ বছর পূর্বে নালাটি অতি বৃষ্টির কারণে পলি জমে প্রায় অকার্যকর হয়ে যায়। এতে বর্ষা মৌসুমে উল্লেখিত দুই গ্রামের পানি নিষ্কাশন ব্যাহত হওয়ার কারণে কৃষকদের শত শত একর আবাদি জমির ফসল, পানের বরজ, সুপারী বাগান, ও বসত বাড়ি পানির নিচে তলিয়ে যায়। বিষয়টি স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কে অবহিত করলে তিনি সরকারি প্রকল্পের মাধ্যমে নালাটি পুনঃসংস্কার করে দেন। স্থানীয় শ্যামল চন্দ্র মহাজনের নেতৃত্বে কিছু সংখ্যক স্বার্থান্বেষী তাদের হীন স্বার্থ চরিতার্থ করার লক্ষে সংস্কারকৃত নালাটি বন্ধ করে দেয়। এসবি খাল থেকে কৃষি জমির শাখা খালগুলো বাঁচানোর মাধ্যমে বেঁচে থাকতে চায় দুই গ্রামের ৯০ শতাংশ কৃষক পরিবার।
স্থানীয় কৃষক বীব মুক্তিযোদ্ধা মুকবুল হোসেন সরকার জানান, এসবি খালের এ শাখা নালাটির উপর নির্ভর করে আমাদের অর্থনৈতিক চাকার সচলতা, ভালো থাকার চাবিকাঠি ও শান্তিতে বসবাসের সর্বশেষ ভরসা। সংস্কারকৃত এ নালাটি বন্ধ হয়ে গেলে পানির অভাবে জমিতে ফসল চাষাবাদ হুমকির মুখে পড়বে। ফলে আমাদের পরিবার নিয়ে বেঁচে থাকা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়বে। তাই নালাটি বাঁচিয়ে রাখতে ঊধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
কৃষক আবু গাজী জানান, নালাটি বন্ধ হয়ে গেলে পানের বরজ যেমনই ক্ষতিগ্রস্ত হবে তেমনই আমাদের জীবনে নেমে আসবে অমানিশার অন্ধকার। বসত বাড়িতে যেমন দুর্ভোগ পোহাতে হবে তেমনই কৃষি জমির চাষাবাদ পড়তে সীমাহীন হুমকির মুখে। তাই খাল বাঁচাতে শারীরিক, অর্থনৈতিকসহ যেকোনো সহযোগিতায় আমরা ঐক্যবদ্ধ আছি।
হাইমচর উপজেলা নির্বাহী অফিসার চাই থোয়াইহলা চৌধুরী জানান, আমি বিষয়টি অবগত হয়েছি। নালাটি নিয়ে যেখানে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে, স্ব-শরীরে সেখানে গিয়ে দেখতে হবে কি কারণে নালাটি খোলা বা বন্ধ করার চেষ্টা চলছে। এসবি খালের এ শাখাটি সরকারি যায়গার উপরে কি-না বা কবে থেকে এ নালার সৃষ্টি, স্ব চোখে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।