মো: রাছেল : ১৯৬১ থেকে ১৯৬৫ সালের মধ্যে পাকিস্তান আমলে কৃষি বিভাগ কর্তৃক কচুয়ার ১২টি ইউনিয়নে নির্মিত কৃষি উন্নয়ন সেবা কেন্দ্রের বেহাল দশা বিরাজ করছে। প্রায় সব ক’টি কেন্দ্রের ভবন সমূহের ছাদ ও দেওয়াল উভয়ই ধ্বসে পড়ছে। ২/৩ টির ছাদ ও দেওয়াল থাকলে ও এগুলোতে ফাটল সৃষ্টি হয়েছে। রডে ধরছে মরিচা, দরজা-জানালা ভাংচুর। ভাংচুর এসব দরজা-জানালা ও মরিচা ধরা রড রাতের অন্ধকারে খুলে নিয়ে যাচ্ছে লোকজনরা।একই ভাবে লুটপাট করে নিয়ে যাচ্ছে ধ্বসে পড়া দেওয়ালের ইট ও ভেঙ্গে পড়া ছাদের খন্ডাংশ।
কৃষি অধিদপ্তরের কিছু অর্থ বরাদ্দে ১৯৯৭-১৯৯৮ সালে গোহট উত্তর ইউনিয়নের তালতলি গ্রামে নির্মিত উন্নয়ন সেবা কেন্দ্রে ভবনের পুন: নির্মাণ করা হয়। পুন: নির্মাণকৃত এ কেন্দ্রের ভবনেরও এখন ভগ্নদশা। সম্প্রতি কে বা কারা এ কেন্দ্রের ভবনের দরজা-জানালা ও জানালার রড খুলে নিয়ে যায় রাতের অন্ধকারে । এব্যাপারে কচুয়া উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে থানায় সাধারণ ডায়েরী করা হয়েছে। সকল কেন্দ্রের সবক’টি ভবন সম্পূর্ন ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। পরিত্যক্ত এসব ভবনে বাঁধা হচ্ছে গরু, ছাগল। সংরক্ষণ করা হচ্ছে জ¦ালানি সামগ্রী পাতা, খড়-কুটা, টুকরা কাঠ ও বস্তা ভরা চাউলের কুড়া ইত্যাদি।
এসব কৃষি উন্নয়ন সেবা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করতে তৎকালীন সময়ের বিত্তশালী ব্যক্তিরা ৫ থেকে ১০ শতাংশ ভূমি ছাফ-কবলা দলিল মুলে দান করেন। বছরের পর বছর কেন্দ্র গুলো ব্যবহার না করায় কেন্দ্র ভবনের চারপাশের জায়গা স্থানীয়রা ভোগ দখল করে নিচ্ছে। কোন কোন কেন্দ্রের দানকৃত সম্পত্তি স্থানীয়রা তাদের নিজ খতিয়ানভুক্ত করে নেওয়ার ও অভিযোগ উঠেছে।
এ ব্যাপারে কচুয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সোফায়েল হোসেন উন্নয়ন সেবা কেন্দ্র গুলোর বেহাল দশার সত্যাতা স্বীক্ষার করে বলেন, কয়েকটি কেন্দ্রের জমি দানের দলিল আমার কার্যালয়ে আছে। বাকিগুলো দলিল শিগগিরই সংগ্রহ করে প্রত্যেকটি কেন্দ্রের দান করা সম্পত্তির সীমানা চিহ্নিত করে ঘেরবেড়া দেওয়ার ব্যবস্থা নেয়া হবে। তাছাড়া জরাজীর্ণ ভবন সমূহের পুন: নির্মাণ করার পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আর্কষণ করা হবে।