মোঃ রাছেল, কচুয়া : কচুয়া উপজেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্বুদ্ধকরণে ব্যতিক্রমী চাষাবাদ করলেন ডুমুরিয়া ব্লকের কালচোঁ গ্রামের কৃষক আবদুল কাদের। তিনি একই জমিতে আলু এবং ভূট্টা একসাথে চাষ করেছেন। ইতিমধ্যে এই বিষয়টি এলাকার কৃষকদের মধ্যে আগ্রহের কেন্দ্র বিন্দু হয়ে দাঁড়িয়েছে।
![priyo chandpur 12 Model Hospital](https://priyochandpur.net/wp-content/uploads/2023/11/awfe.png)
একসাথে আলু ও ভূট্টা চাষ করা কৃষক আবদুল কাদের জানান, ‘উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ ফারুকুল ইসলাম নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করেছেন এবং আন্তঃপরিচর্যা সম্পর্কে পরামর্শ দিয়েছেন। এই পদ্ধতিতে চাষাবাদ লাভজনক’।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ জাহাঙ্গীর আলম লিটন জানান, ‘আলু সাধারণত ৯০ দিনের ফসল, ভূট্টা ৪ মাসের মধ্যে ফলন চলে আসে। যদি আলু বপণের একমাস বয়সে দুই কেইলের মধ্যবর্তী স্থানে ভূটার বীজ বপণ করা যায় তাহলে কৃষকের অন্তত দুই মাস সময় বাচঁবে এবং আর্থিকভাবে সাশ্রয় হবে’।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ সোফায়েল হোসেন জানান, এ বছর কচুয়া উপজেলায় ২৫০০ হেক্টর আলু, এবং ১১৫০ হেক্টর ভূট্টার আবাদ করা হয় এবং এই পদ্ধতি সম্প্রসারণ হলে কৃষক চার হতে সাড়ে চারমাসের মধ্যে আলু, ভূট্টা উঠিয়ে নতুন করে আরো একটি ফসল আবাদ করার সুযোগ পাবে’।