কচুয়া উপজেলার পালাখাল মডেল ইউনিয়নের আশারকোটা গ্রামের ব্যবসায়ী তাজুল ইসলামকে নৃশংসভাবে হত্যার বিচারের দাবী জানিয়েছে এলাকাবাসী ও তার পরিবার।
জানাগেছে ক্ষুদ্র ব্যবসয়ী তাজুল ইসলাম তার বাড়ির পাশে বিতারা ইউনিয়নের যোগিচাপর বাজারে তাজুল ইসলাম মনোহরী দোকান দিয়ে কোনো প্রকারে পরিবার পরিজন নিয়ে জীবনযাপন করতো। ব্যবসায়ীক সূত্রে যোগীচাপর গ্রামের লাল মিয়ার ছেলে সার ও কীটনাশক ব্যবসায়ী মাসুদের সাথে তার সামন্য কিছু টাকার লেনদেন ছিলো।
১০ এপ্রিল সকাল ১১টায় মাসুদ অটোরিক্সা যোগে তাজুল ইসলামের দোকানে এসে তার কাছে পাওনা টাকা চাইলে তাজুল ৪শত টাকা দিতে চায়, কিন্ত মাসুদ ৫শত টাকা দাবী করে, অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে। এক পর্যায়ে তাজুল ইসলামকে দোকান থেকে উঠেয়ে নিয়ে গলা চেপে ধরে উপর থেকে পাকা রাস্তায় পেলে দিলে গুরুত্বর আহত হয়।
এ ঘটানার পর প্রত্যক্ষদর্শী পাশ্ববর্তী তেগুরিয়া গ্রামের জুলহাস ও ঘটনার সময় উপস্থিত কবির হোসেন জানান, মারধরের ঘটনার পর তাজুল ইসলামের মাথায় লীলা জখমে খুলি ফুলে যায় এবং বমি করে সঙ্গাহীন হয়ে পরে। গুরত্বর সঙ্গাহীন অবস্থায় তাজুল ইসলামকে প্রথমে কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করেন। সেখানে ১১ দিন পর ২৩ এপ্রিল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বরন করেন।
এ ঘটনায় কচুয়া থানায় নিহতের মেয়ে কাজল আক্তার মাসুদ মিয়াকে বিবাদী করে কচুয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। যাহার মামলা নং ৯/৯০ ,তারিখ ১৫ এপ্রিল।
সরজমিনে গেলে নিহতের পরিবার ও প্রতিবেশীরা সাংবাদিকদের কাছে আইনের মাধ্যমে অভিযুক্ত মাসুদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও ফাঁসি দাবি করেন।