ঢাকা ০৮:৩৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১০ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শাহরাস্তির চোরাইকৃত গরুর গোবর, মলমুত্র, সিসি ক্যামেরার কল্যাণে নাঙ্গলকোটে উদ্ধার

  • মোঃ মাসুদ রানা
  • আপডেট সময় : ০৯:৪৫:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • 510
শাহরাস্তির চোরাইকৃত ১১ টি গরু কুমিল্লা জেলার নাঙ্গলকোট উপজেলার বাঙ্গড্ডা এলাকায় সঙ্গবদ্ধ ডাকাত দলের জিম্মা থেকে  উদ্ধার করা হয়েছে।
বুধবার দিনভর নাটকীয় অভিযানে একদল স্হানীয় যুবক ও পুলিশের সহযোগিতায় এবং গরুর গোবর,মলমুত্র, সিসি ক্যামেরার কল্যাণে ওই চোরাইকৃত গরু সে রাতে উদ্ধার করা সম্ভবপর হয়।
গরুর মালিক হৃদয় জানান, ভোররাতেই আমি আমার বন্ধুবান্ধব নিয়ে মটরবাইকযোগে রওনা করে বিভিন্ন বাজারে সিসি ক্যামেরায় তল্লাশি চালিয়ে ডাকাতদলের গাড়ীর গতিবিধি রেকি করে পথ চলি। এক পর্যায়ে কোন নিশানা না পেয়ে গরুর গোবর ও মলমুত্রের চিহ্ন সনাক্ত করে পথ চলতে থাকি। অবশেষে কুমিল্লা জেলার নাঙ্গলকোট উপজেলার বাঙ্গড্ডা বাজারে এসে থামি।সেখানে এসে ভোরবেলায় স্থানীয়দের সঙ্গে আলাপ করে বিভিন্ন তথ্যউপাত্ত সংগ্রহকরা শুরু করি।
আগের সংবাদটি পড়ুন…
একপর্যায়ে স্থানীয় বাসিন্দারা ওই উপজেলার বাঙ্গড্ডা গ্রামে গরুচোর চক্রের সিন্ডিকেট রয়েছে বলে জানান। ওই হিসেবে স্থানীয় রাজনৈতিক দলের নেতা এবং জনপ্রতিনিধি আমাদেরকে সহযোগিতা করতে শুরু করে।
অবশেষে ওই চোরচক্রের সদস্যদের চিহ্নিত করে গরুর অবস্থান নিশ্চিত হয়ে স্হানীয় নেতৃবৃন্দের সহায়তা শেষে বুধবার রাতে হারিয়ে যাওয়া সকল গরু উদ্ধার করা সম্ভব হয়।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৩ টায়  পৌরসভার শাহরাস্তি ব্রিকস এর পরিত্যক্ত অফিস কক্ষ এলাকার পাশে স্থাপিত গো-খামারে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
ওই সময় শাহরাস্তির সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা মরহুম দেলোয়ার হোসেন মিয়াজির পুত্র হৃদয়ের গরুর খামারে একটি দূর্ধর্ষ ডাকাতি সংঘঠিত হয়।
ওই সময় পাহারাদারকে জিম্মি করে ডাকাত দল ১১ টি গরু লুণ্ঠন করে। যার বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা ।
জানা গেছে, গত ৮ বছর ধরে নীলফামারী জেলার বালাপাড়া গ্রামের জীতেন রায় ও তার স্ত্রী মিষ্টি রানী রায় এ খামারে দেখভালের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। ওই হিসেবে সে রাতে খামারের দায়িত্বে নিয়োজিত ছিল এ দম্পতি। জীতেন ও তার স্ত্রী জানান, রাত আনুমান তিনটার পূর্বে একদল ডাকাত তাদের  আবাসন গৃহে এসে ব্যাপক ভাংচুর চালিয়ে সেখানে রক্ষিত মূল্যবান কাগজপত্র তছনছ করে দেশীয় অস্ত্রের মুখে ওই পরিবারকে জিম্মি করে বেদম প্রহার শুরু  করে।
একপর্যায়ে ডাকাত দল গো-খামারে রক্ষিত ১১ টি গরু দুটি পিকাপএ উত্তোলন করে কেটে পড়ে।পরে পাহারাদার জীতেনের স্ত্রী মিষ্টি রানী দাঁত দিয়ে কামড়িয়ে বাধন খুলে চিৎকার দিলে পার্শ্ববর্তী বাড়ির  রওশন আরা ছুটে আসেন। তিনি এসে দেখেন, গরু বোঝাই পিকআপ দুটি ওই এলাকা ছেড়ে চলে যাচ্ছে। সকালে পৌর শহরের স্থানীয় মেহের কালিবাড়ি বাজারে হাজী মহিনউদ্দিন শপিং কমপ্লেক্সের সিসি ক্যামেরায় ওই রাতে দুটি পিকআপ চলে যাওয়ার দৃশ্য ধরা পড়ে।
পরে মালিক হৃদয়কে এই সংবাদ দিলে সে এসে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীসহ স্থানীয়দের বিষয়টি অবহিত করলে গরু খোঁজার জন্য বেরিয়ে পড়েন।
বৃহস্পতিবার বিকেলে গরুর খামার মালিক হৃদয় গণমাধ্যমকে জানান, আল্লাহর নিকট অশেষ শুকরিয়া। শাহরাস্তি উপজেলা প্রশাসন বিশেষ করে নির্বাহী অফিসার মো: ইয়াসির আরাফাত, পুলিশের এএসপি (কচুয়া সার্কেল) রিজওয়ান সাঈদ জিকু, শাহরাস্তি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আলমগীর হোসেন, ওসি তদন্ত মর্ম সিংহ ত্রিপুরাসহ সংশ্লিষ্ট অফিসার ও সঙ্গীও ফোর্স  , গণমাধ্যম কর্মী, শাহরাস্তি উপজেলা  যুবদলের আহ্বায়ক আলী আজগর মিয়াজী, চেয়ারম্যানের জামাতা শাহাদাত হোসেন (রাজু) বিএনপির বিভিন্ন নেতৃবৃন্দসহ তার চাচা মো: মনির হোসেন মিন্টু, মোঃ সোহেল রানা, ইউনুস গাজী, অপু, তুষার, সজীব, তুহিন, রবিন, রিফাত, শফিউদ্দিন, মোশাররফ,কাদের, আসলাম, সুমন, ফয়সাল, আনিসসহ অসংখ্য বন্ধু-বান্ধব এবং  নাঙ্গলকোট  উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনসহ বিএনপি নেতৃবৃন্দের সহায়তার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

চাঁদপুর খবর সম্পাদক সোহেল রুশদীর নামে ফেইক আইডি : থানায় জিডি

শাহরাস্তির চোরাইকৃত গরুর গোবর, মলমুত্র, সিসি ক্যামেরার কল্যাণে নাঙ্গলকোটে উদ্ধার

আপডেট সময় : ০৯:৪৫:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শাহরাস্তির চোরাইকৃত ১১ টি গরু কুমিল্লা জেলার নাঙ্গলকোট উপজেলার বাঙ্গড্ডা এলাকায় সঙ্গবদ্ধ ডাকাত দলের জিম্মা থেকে  উদ্ধার করা হয়েছে।
বুধবার দিনভর নাটকীয় অভিযানে একদল স্হানীয় যুবক ও পুলিশের সহযোগিতায় এবং গরুর গোবর,মলমুত্র, সিসি ক্যামেরার কল্যাণে ওই চোরাইকৃত গরু সে রাতে উদ্ধার করা সম্ভবপর হয়।
গরুর মালিক হৃদয় জানান, ভোররাতেই আমি আমার বন্ধুবান্ধব নিয়ে মটরবাইকযোগে রওনা করে বিভিন্ন বাজারে সিসি ক্যামেরায় তল্লাশি চালিয়ে ডাকাতদলের গাড়ীর গতিবিধি রেকি করে পথ চলি। এক পর্যায়ে কোন নিশানা না পেয়ে গরুর গোবর ও মলমুত্রের চিহ্ন সনাক্ত করে পথ চলতে থাকি। অবশেষে কুমিল্লা জেলার নাঙ্গলকোট উপজেলার বাঙ্গড্ডা বাজারে এসে থামি।সেখানে এসে ভোরবেলায় স্থানীয়দের সঙ্গে আলাপ করে বিভিন্ন তথ্যউপাত্ত সংগ্রহকরা শুরু করি।
আগের সংবাদটি পড়ুন…
শাহরাস্তিতে গো খামারে দূর্ধর্ষ ডাকাতি, পাহারাদারকে জিম্মি করে ১১ গরু লুট
একপর্যায়ে স্থানীয় বাসিন্দারা ওই উপজেলার বাঙ্গড্ডা গ্রামে গরুচোর চক্রের সিন্ডিকেট রয়েছে বলে জানান। ওই হিসেবে স্থানীয় রাজনৈতিক দলের নেতা এবং জনপ্রতিনিধি আমাদেরকে সহযোগিতা করতে শুরু করে।
অবশেষে ওই চোরচক্রের সদস্যদের চিহ্নিত করে গরুর অবস্থান নিশ্চিত হয়ে স্হানীয় নেতৃবৃন্দের সহায়তা শেষে বুধবার রাতে হারিয়ে যাওয়া সকল গরু উদ্ধার করা সম্ভব হয়।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৩ টায়  পৌরসভার শাহরাস্তি ব্রিকস এর পরিত্যক্ত অফিস কক্ষ এলাকার পাশে স্থাপিত গো-খামারে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
ওই সময় শাহরাস্তির সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা মরহুম দেলোয়ার হোসেন মিয়াজির পুত্র হৃদয়ের গরুর খামারে একটি দূর্ধর্ষ ডাকাতি সংঘঠিত হয়।
ওই সময় পাহারাদারকে জিম্মি করে ডাকাত দল ১১ টি গরু লুণ্ঠন করে। যার বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা ।
জানা গেছে, গত ৮ বছর ধরে নীলফামারী জেলার বালাপাড়া গ্রামের জীতেন রায় ও তার স্ত্রী মিষ্টি রানী রায় এ খামারে দেখভালের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। ওই হিসেবে সে রাতে খামারের দায়িত্বে নিয়োজিত ছিল এ দম্পতি। জীতেন ও তার স্ত্রী জানান, রাত আনুমান তিনটার পূর্বে একদল ডাকাত তাদের  আবাসন গৃহে এসে ব্যাপক ভাংচুর চালিয়ে সেখানে রক্ষিত মূল্যবান কাগজপত্র তছনছ করে দেশীয় অস্ত্রের মুখে ওই পরিবারকে জিম্মি করে বেদম প্রহার শুরু  করে।
একপর্যায়ে ডাকাত দল গো-খামারে রক্ষিত ১১ টি গরু দুটি পিকাপএ উত্তোলন করে কেটে পড়ে।পরে পাহারাদার জীতেনের স্ত্রী মিষ্টি রানী দাঁত দিয়ে কামড়িয়ে বাধন খুলে চিৎকার দিলে পার্শ্ববর্তী বাড়ির  রওশন আরা ছুটে আসেন। তিনি এসে দেখেন, গরু বোঝাই পিকআপ দুটি ওই এলাকা ছেড়ে চলে যাচ্ছে। সকালে পৌর শহরের স্থানীয় মেহের কালিবাড়ি বাজারে হাজী মহিনউদ্দিন শপিং কমপ্লেক্সের সিসি ক্যামেরায় ওই রাতে দুটি পিকআপ চলে যাওয়ার দৃশ্য ধরা পড়ে।
পরে মালিক হৃদয়কে এই সংবাদ দিলে সে এসে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীসহ স্থানীয়দের বিষয়টি অবহিত করলে গরু খোঁজার জন্য বেরিয়ে পড়েন।
বৃহস্পতিবার বিকেলে গরুর খামার মালিক হৃদয় গণমাধ্যমকে জানান, আল্লাহর নিকট অশেষ শুকরিয়া। শাহরাস্তি উপজেলা প্রশাসন বিশেষ করে নির্বাহী অফিসার মো: ইয়াসির আরাফাত, পুলিশের এএসপি (কচুয়া সার্কেল) রিজওয়ান সাঈদ জিকু, শাহরাস্তি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আলমগীর হোসেন, ওসি তদন্ত মর্ম সিংহ ত্রিপুরাসহ সংশ্লিষ্ট অফিসার ও সঙ্গীও ফোর্স  , গণমাধ্যম কর্মী, শাহরাস্তি উপজেলা  যুবদলের আহ্বায়ক আলী আজগর মিয়াজী, চেয়ারম্যানের জামাতা শাহাদাত হোসেন (রাজু) বিএনপির বিভিন্ন নেতৃবৃন্দসহ তার চাচা মো: মনির হোসেন মিন্টু, মোঃ সোহেল রানা, ইউনুস গাজী, অপু, তুষার, সজীব, তুহিন, রবিন, রিফাত, শফিউদ্দিন, মোশাররফ,কাদের, আসলাম, সুমন, ফয়সাল, আনিসসহ অসংখ্য বন্ধু-বান্ধব এবং  নাঙ্গলকোট  উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনসহ বিএনপি নেতৃবৃন্দের সহায়তার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।