স্টাফ রিপোর্টার : হাজীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক হাবিবুর রহমান হিটু শনিবার (২৯ জানুয়ারী) তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে দাবি করে বলেন, আমি একটা বিশাল ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছি।
গত শুক্রবার (২৮ জানুয়ারী) রাতে আমি বাড়ীতে ছিলাম। বাড়ীতে থাকা অবস্থায় আমি কিভাবে গাড়ী থেকে পালিয়ে যাই। তাও আবার এতো পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তা, সাংবাদিক থাকা সত্ত্বেও। কারো সাথে যদি চলার পথে খারাপ ব্যবহার ও কথা বার্তার মাধ্যমে যদি মনে কষ্ট দিয়ে থাকি আমাকে ক্ষমা করে দিবেন। আর এ মিথ্যা অপবাদ থেকে রক্ষা করেন। আমি একটা ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছি।
গত ২৮ জানুয়ারী শুক্রবার রাত সাড়ে ৯ টার দিকে পৌর এলাকার আলীগঞ্জ কাউন্সিলর আজাদ মজুমদারের বালুর ঘাটের সম্মূখে মাদক বিরোধী অভিযান চালিয়ে ৪৮ বোতল ফেন্সিডিলসহ প্রাইভেটকার চালক পৌর এলাকার টোরাগড় গ্রামের সিরাজ খান বাড়ির আবুল হাসেমের ছেলে আলমগীর হোসেন (৩৬) কে আটক করে হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ। ওই সময় প্রাইভেটকারে থাকায় ২ জন পালিয়ে যান। আর সেই লোকটির নাম উঠে আসে হাজীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক হাবিবুর রহমান হিটু।
শুক্রবার রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে হাবিবুর রহমান হিটুর ছবিসহ নাম ছড়িয়ে পড়ে। শনিবার সকালে সাবেক এ ছাত্রনেতা হাবিবুর রহমান হিটু বিষয়টি নজরে পড়লে সাথে সাথে ষড়যন্ত্রের শিকার দাবি করে ফেসবুক স্ট্যাটাস দেন।
এ বিষয়ে হাজীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক হাবিবুর রহমান হিটু ঘটনার দিন রাতে গনমাধ্যমকর্মীদের কাছে নিজকে নির্দোষ দাবি করে বলেন, আমি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার সূত্রধরে কঠিন ষড়যন্ত্রের শিকার। যে গাড়ীতে ফেন্সিডিল পেয়েছে, সে গাড়ি থেকে নাকি আমি পালিয়ে ছিলাম। যদি গাড়ি চলন্ত অবস্থায় থামিয়ে চারদিকে পুলিশ অভিযান চালায় সেখান থেকে উপস্থিত সাংবাদিক ও পুলিশের চোঁখ ফাঁকি দিয়ে আমি কিভাবে পালাই।
এমন প্রপাকান্ডে আমাকে জড়িয়ে একটি মহল ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।