এস. এম ইকবাল : চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ বিভিন্ন দফতরের সম্পত্তি দখলের হরিলুট চলছে। দখলদারেরা যে যার মতো করে জমি দখল করে সেখানে কাঁচা-আধাপাকা ও পাকা স্থাপনা তৈরী করছে। যেন দখলের মহোৎসব চলছে। প্রশাসনের বরাবরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নোটিশ ও আদালতের নিষেধাজ্ঞা চলমান থাকার পরও সংশ্লিষ্ট প্রশাসন নির্বিকার থাকায় জনমনে প্রশ্ন উঠেছে।
৩১ জুলাই রবিবার দুপুরে ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এমনই অভিযোগ করেছেন উপজেলার ১১ নং চরদুঃখিয়া ইউনিয়নের সন্তোষপুর গ্রামের বাসিন্দাদের পক্ষে মঞ্জুর মোরশেদ নামের এক ব্যক্তি।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মঞ্জুর মোরশেদ বলেন, উপজেলার সাবেক ১৮২ হাল ১২৮ নং সন্তোষপুর মৌজার সিএস ৬৭৪ ও ৭৫৯ খতিয়ান ভুক্ত বাড়ী মোট-৬০ শতাংশ অন্দরে ৫ শতাংশ ভূমি রয়েছে। উল্লেখিত সকল সম্পত্তির কাগজপত্রের আলোকে মালিকানার একমাত্র দাবীদার সংবাদ সম্মেলন কারীরা। বিগত সরকারের সময়ে পানিউন্নয়ন বোর্ড নামের উল্লেখিত ভূমি লিপিবদ্ধ করে। বর্তমানে উপরোক্ত সম্পত্তি পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতায় রয়েছে।
ওই সম্পত্তির উপর হঠাৎ করে বিভিন্ন প্রভাবশালীরা পাকা ভবন নির্মান কাজ করছে। এ বিষয়ে গত ২২/০২/ ২০২২ ইং তারিখে চাঁদপুর আদালতে মামলা দায়ের করলে আদালত সম্পত্তির উপর নিষেধাজ্ঞা জারী করে।
ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশকে বাস্তবায়নের নির্দেশ প্রদান করে। একই সম্পত্তি স্থানীয়দের অভিযোগের আলোকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সম্পত্তি রক্ষার্থে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরকে অনুলিপি দিয়ে থানা পুলিশকে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানিয়ে গত ১৯/-৬/ ২০২২ ইং তারিখে একটি নোটিশ প্রদান করে। এর পরেও উপরোক্ত সকল প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গলী দেখিয়ে দখলকারীরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের মালিকানাধীন গাছ কর্তন করে হরিলুটের মত বিক্রি করে একই স্থানে বিশাল পাকা ভবন নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। উক্ত সম্পত্তির উপর আদালতের চলমান নিষেধাজ্ঞাকৃত ভূমিতে বর্তমানে দিনে রাতে বহু মানুষের উপস্থিতে বিশাল পাকা ভবন নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে অভিযুক্তরা।
ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আ.ছোবহান লিটন’র পরিচালনায় সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রিক মিডিয়ার দায়িত্বরত সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।