এস. এম ইকবাল : চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে দোকান ঘর নির্মাণ করলেন বিবাদী প্রভাবশালী প্রতিপক্ষ নূরুল ইসলাম ও আনিছ মজুমদার।
এ ব্যাপারে, মোস্তফা গাজী বাদী হয়ে চাঁদপুর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নূরুল ইসলাম এবং আনিছ মজুমদারকে বিবাদী করে ন্যায় বিচার ও নিষেধাজ্ঞা চেয়ে ৮৬৮/২২ একটি মামলা দায়ের করেন। বিজ্ঞ বিচারিক আদালত ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জকে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার নির্দেশ দেন।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, উপজেলার ফরিদগঞ্জ দক্ষিণ ইউনিয়নের হর্নিদূর্গাপুর মদিনা বাজারে হর্নি মৌজার, বিএস (চুড়ান্ত) ৮৯২নং খতিয়ানের ৮৫৩০ নং দাগে .২৭৪ একর জায়গা পৈতৃক সূত্রে প্রাপ্ত হন বাদী মোস্তফা গাজী।
অপরদিকে একই খতিয়ানে ক্রয়সূত্রে .১১০ একর জায়গা প্রাপ্ত হন প্রতিপক্ষ বিবাদী নূরুল ইসলামের ছেলে সোহেল রানা ও আনিছ মজুমদারের ভাই আরিফ মজুমদার। পরে সড়কের পাশের মুল্যবান ওই জায়গাতে সঠিক বন্টন না করে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে দোকান ঘর নির্মাণের কাজ চালিয়ে যান বিবাদী প্রতিপক্ষ নূরুল ইসলাম ও আনিছ মজুমদার।
স্থানীয় ইউপি বাচ্চু মিয়া জানান, মোস্তফা গাজী নূরুল ইসলামের ছেলে সোহেল রানা ও আনিছ মজুমদারের ভাই আরিফ মজুমদারের কাছে সাব কবলা দলিল মূলে .১১০ একর সম্পত্তি নির্দিষ্ট চৌহুদ্দি দিয়ে বিক্রয় করে যাহার পশ্চিমে সরকারি রাস্তা। বিবাদীরা প্রভাব খাটিয়ে জায়গার সীমানা নির্ধারন না করে জোরপূর্বক মোস্তফা গাজীর সম্পত্তি জবর দখল করে পাকা স্থাপনা নির্মান করে।
এ বিষয়ে মোস্তফা গাজী আদালতের নিকট ন্যায় বিচার প্রার্থনা করে তিনি বলেন, আমি পৈত্রিক সূত্রে .২৭৪ একর জমির মালিক হই। আমার ব্যক্তিগত অর্থের প্রয়োজনে নূরুল ইসলামের ছেলে সোহেল রানা ও আনিছ মজুমদারের ভাই আরিফ মজুমদারের কাছে .১১০ একর জায়গা নির্দিষ্ট চৌহুদ্দি দিয়ে বিক্রয় করি। ইতোমধ্যে তারা প্রভাব খাটিয়ে তাদের জায়গার সীমানা নির্ধারন না করে জোরপূর্বক আমার ব্যক্তিগত সম্পত্তিতে দোকান ঘর নির্মাণ করে। আমি বাঁধা তারা আমার অশোভন আচরনসহ আমাকে মারতে তেড়ে আসে।
এ বিষয়ে নূরুল ইসলাম ও আনিছ মজুমদার বলেন, আমরা খরিদ সূত্রে উল্লেখিত সম্পত্তির মালিক হই। আমরা আমাদের সম্পত্তিতে দোকান ঘর নির্মাণ করতে গেলে মোস্তফা গাজী বাঁধা দিয়ে আদালতে ১৪৫ ধারায় মামলা দায়ের করে চলমান কাজ বন্ধ করে দেয় এবং তারা আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে দোকান ঘর নির্মাণ ও মোস্তফা গাজীকে হুমকি-ধমকি দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে।
এ বিষয়ে ফরিদগঞ্জ থানার এ.এসআই ইকবাল হোসেন জানান, উল্লেখিত সম্পত্তির বিষয়ে আদালতের নিষেধাজ্ঞার আলোকে আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তা জারী করেছি।