নিজস্ব প্রতিনিধি : ‘শুদ্ধ চিন্তা মুক্ত থাকুক যুক্তির আশ্রয়ে’ এই স্লোগানে দেড় হাজার বিতার্কিকদের অংশগ্রহনে চাঁদপুরে আগামী ১৩ অক্টোবর শুরু হতে যাচ্ছে ৩দিনব্যাপী ভাষাবীর এম এ ওয়াদুদ স্মারক জাতীয় বিতর্ক উৎসব। উৎসব চলবে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত।
সোমবার (১০ অক্টোবর) দুপুরে এ উপলক্ষে চাঁদপুর সরকারি কলেজ এর সম্মেলন কক্ষে মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠিত হয়।
উৎসব সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ননা তুলে ধরেন ভাষাবীর এম এ ওয়াদুদ স্মারক জাতীয় বিতর্ক উৎসবের চেয়ারম্যান সাব্বির আজম।
তিনি বলেন, জাতীয় পর্যায়ের এই বিতর্ক উৎসবে প্রায় ১৫০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহন করবে। এর মধ্যে বিশ^বিদ্যালয় রয়েছে ৩২টি। বিতার্কিকদের সাথে শিক্ষকসহ সবমিলিয়ে প্রায় সড়ে ৭ হাজার লোকের সমাগম হবে। দেশ বরেণ্য গুণী ব্যাক্তিবর্গ আয়োজনে অতিথি হিসেবে আসবেন। এত বড় একটি আয়োজন সফল করার জন্য গনমাধ্যমসহ সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন। আয়োজন চাঁদপুর শহরে হলেও আমরা চাই এই উৎসবে নতুন একটা মাত্রা যোগ হবে।
সাব্বির বলেন, সারাদেশ থেকে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অনেক গুনি ব্যাক্তি উৎসবকে কেন্দ্র করে চাঁদপুরে আসবেন। এতে আমাদের জেলার ব্র্যন্ডিংও হবে। এ ক্ষেত্রে আগতদেরকে আমাদের সকলের অবস্থান থেকে সহযোগিতা করতে হবে। কারণ আগত অতিথি ও অংশগ্রহনকারী বিতার্কিকরা বিভিন্নভাবে ‘ইলিশের বাড়ী চাঁদপুর’ কে তুলে ধরবে। একই সাথে জেলার শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপিঠ চাঁদপুর সরকারি কলেজও পরিচিতি পাবে। এছাড়াও এই উৎসবে আমরা দুইজন গুনী ব্যাক্তিকে আজীবন সম্মাননা প্রদান করব।
চাঁদপুর সরকারি কলেজের শিক্ষক কিউএম হাসান শাহরিয়ার এর সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন, চাঁদপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. অসিত বরণ দাশ।
তিনি বলেন, এই বিতর্ক উৎসবের আয়োজক সিডিএম চাঁদপুর সরকারি কলেজেরই একটি সংগঠন। আয়োজন হচ্ছে এই কলেজে। যে কারণে আমাদের বড় ধরণের অংশগ্রহন রয়েছে। জাতীয় পর্যায়ের এই অনুষ্ঠান সফল করার জন্য সকলের আন্তরিক সহযোগিতা প্রয়োজন। গনমাধ্যমের সহযোগিতায় আমাদের দীর্ঘ পথ চলা। চাঁদপুরকে এগিয়ে নিতে আমরা সকলে অবশ্যই একসঙ্গে কাজ করব।
আরো বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর প্রেসক্লাব সভাপতি গিয়াস মিলন, সাধারণ সম্পাদক রিয়াদ ফেরদৌস, সাবেক সভাপতি কাজী শাহাদাত, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সোহেল রুশদী, রহিম বাদশা ও এএইচ এম আহসান উল্লাহ।
সাংবাদিক নেতারা বলেন, চাঁদপুর সদর আসনের সাংসদ শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি’র পিতা মরহুম ভাষাবীর এম এ ওয়াদুদ একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যাক্তি ছিলেন। তিনি কতটা গুরুত্বূর্ণ, সৎ ও মহান ব্যাক্তি যা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর বইতে লিখেছেন। তিনি চাঁদপুরের কৃতি সন্তান। যে কারণে আমাদের কাছে এই বিতর্ক উৎসব আরো গুরুত্ব বহন করে।
এতে জাতীয় গনমাধ্যম, স্থানীয় দৈনিকের সম্পাদক ও বিভিন্ন পর্যায়ের সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।