গত ৩ দিনে ও সমাধান করা হয়নি চাঁদপুর সদর উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের মনোহরখাদী চর থেকে লুট হওয়া ১০০ বস্তা আলুর বিষয় সমস্যার সমাধান। ন্যায় বিচারের আশায় দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক।
জানাযায়, মুন্সীগন্জ জেলার টঙ্গীবাড়ি উপজেলার হাটবালী গ্রামের রিপন বেপারী ও একই এলাকার লাল মিয়া গত ৭/৮ বছর যাবত বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের মনোহরদী গ্রামের স্হানীয় গ্রাম বাসীর থেকে প্রায় ২০ একর সম্পওি বর্গা বা ভাড়া নিয়ে আলু চাষ করে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় চলতি বছরেও উল্লেখিত দু’ব্যক্তি একই ভাবে উক্ত এলাকায় আলু চাষ করে।
মৌসুম শেষে জমি থেকে আলু উত্তোলন করে আলু বিক্রির জন্য বস্তা করে মনোহরদী চরে রাখা ট্রলারে আলু রাখে।
হঠাৎ করেই গত ২১ মার্চ বিকেল ৫ টায় স্থানীয় ওয়াসিমের নেতৃত্বে প্রায় অর্ধশতাধিক সন্তাসী দেশীয় অস্ত্র সস্ত নিয়ে চরে থাকা ট্রলারে হামলা চালিয়ে উক্ত ট্রলার থাকা ১০০ বস্তা আলু জোর পূর্বক নিয়ে যায়। এতে ট্রলারে থাকা লোকজন ও আলুর মালিক বাঁধা দিলে ওয়াসিমের নেতৃত্বে থাকা সন্তাসীরা হামলা চালায়। এতে ট্রলারের লোকজন ও আলুর মালিক মারাত্মক আহত হয়।
এদিকে এ ঘটনা দেখে আলুর মালিক ৯৯৯ নাম্বারে ফোন করে নৌ পুলিশের সহযোগিতা চায়।
এরপর চাঁদপুর নৌ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নির্দেশে ঘটনাস্থলে দ্রুত ছুটে যান এস আই কামালসহ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে। তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘটনার সত্যতা পান এবং ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ওয়াসিম কে আটক করে। এরপর এ ঘটনা স্থানীয় চেয়ারম্যান নাছির উদ্দীন শামীম খান কে বিষয় টা অবহিত করা হলে চেয়ারম্যান বিষয়টি সমাধান করে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক কে তাঁর প্রাপ্যতা বুজিয়ে দেওয়ার আশ্বাসে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে চলে আসে।
এ ঘটনার ৩ দিন অতিবাহিত হওয়ার পর ও ক্ষতিগ্রস্হ কৃষক এখনো ঘটনার কোনো সূরাহ পাননি বলে অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগী কৃষক।
এদিকে এ ঘটনার বিষয় ভুক্তভোগী কৃষক রিপন বলেন, আমাদের বাড়ি মুন্সিগঞ্জ। আমরা আজ ৬/৭ বছর যাবত এই গ্রামে আলু চাষ করছি। কেউ আমাদের কোনো ধরনের সমস্যা করে না। হঠাৎ করেই গত ২১ মার্চ স্হানীয় সন্তাসী ওয়াসিম জোয়ারদারের নেতৃত্বে আমার আলুর ট্রলারে হামলা চালিয়ে ১০০ বস্তা আলু লুট করে নিয়ে যায় এবং আমার লোকজন কে আহত করে। আমার প্রতি বস্তায় আলু ছিলো ৬০ কেজি। প্রায় ৬০০০ কেজি আলু। আমি নিঃশেষ হয়ে গেছি।
আমি কোনো উপায় না পেয়ে ৯৯৯ নাম্বারে কল দিলে পুলিশ আসে। পরে স্হানীয় চেয়ারম্যান শামীম খান পুলিশ ও আমাকে শতভাগ আশ্বস্ত করে আমার ক্ষতি পুষিয়ে দিবে এবং এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার করবে। কিন্তু আজ ৩ দিন হলেও এই ঘটনার কোনো কিছুই হয়নি। শুধু তাই নয়, চেয়ারম্যান আমাকে পরিষদে যেতে বলে, আমি গেলেও তিনি আসেননি। তিনি আমার ফোন ও রিসিভ করেন না। এই এ ঘটনার ন্যায় বিচার চাই।
ঘটনার বিষয় নৌ পুলিশের এস আই কামাল বলেন, যে ঘটনাটি ঘটেছে যা ঘটেছে তা দুঃখজনক। আমি ঘটনাস্থলে যাওয়ার পর চেয়ারম্যান নিজে উপস্থিত হয়ে সমাধান করবেন বলে আশ্বস্ত করেন। এরপর ও ক্ষতিগ্রস্হ কৃষক এখনো সূরাহ পাননি শুনেছি, বিষয়টি দুঃখজনক। তিনি এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক চাইলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
স্হানীয় ইউপি সদস্য দুলাল বেপারী বলেন, যা ঘটছে তা দুঃখজনক। আমি তাৎক্ষণিক ভাবে চেয়ারম্যান কে অবহিত করেছি। এখন সকল এখতিয়ার চেয়ারম্যানের উপর।
ঘটনার বিষয় উক্ত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাছির উদ্দীন খান শামীম বলেন, আমি অসুস্থতার কারণে হয়তো ২দিন দেরী হয়েছে। কিন্তু ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক শতভাগ ন্যায় বিচার পাবে এবং কোনো অংশে সে ঠকবে না।
তিনি আরো বলেন, ঘটনা স্হানীয় জমির মালিকদের জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ। এটি অন্য কোনো বিষয় নয়। বিষয়টি নিয়ে আমি উভয়ই পক্ষের সাথে কথা বলছি। একটি পক্ষ বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে চলছে। আমি বিষয়টি জোরালে ভাবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।