ঢাকা ০৬:০৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চাঁদপুরে মোবাইল কোর্টে ২০৩ জেলেকে কারাদণ্ড

সব ধরনের মাছের উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে দেশের ইলিশের ছয়টি অভয়াশ্রমের মধ্যে পাঁচটিতে সব ধরনের মাছ ধরার ওপর দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সরকার।

Model Hospital

গত ১ মার্চ থেকে এ নিষেধাজ্ঞা ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। ইতিমধ্যে নিষেধাজ্ঞার এক মাসেরও বেশি অতিবাহিত হয়েছে। চাঁদপুর জেলা টাস্কফোর্সের অভিযানে গত ১ মার্চ থেকে ৭ এপ্রিল পর্যন্ত পদ্মা-মেঘনা নদীর অভয়াশ্রম এলাকায় ৬৫টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জাটকা ধরার অপরাধে এসব মোবাইল কোর্টে ২০৩ জেলেকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। জরিমানা আদায় করা হয় ৭৪ হাজার ৯শ টাকা।

মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয় ২৩ জন জেলেকে। এসব ঘটনায় মামলা হয় ১৯৪টি। জব্দ করা হয় ৬৪ লাখ ২০ হাজার মিটার কারেন্ট জাল ও ৫৮৩.৪ কেজি জাটকা।

অভিযানে নৌ পুলিশ, জেলা মৎস্য বিভাগ, নৌবাহিনী, জেলা পুলিশ, কোস্টগার্ড সহায়তা করছে। মেঘনা ও পদ্মা নদীর বাড়বে। মতলব উত্তর উপজেলার ঘাটনল থেকে হাইমচর উপজেলার চরভৈরবী পর্যন্ত ৭০ কিলোমিটার নদী এলাকার জলসীমায়, নদী-তীরবর্তী মাছের আড়ত, মাছবাজার, মাছঘাট, বরফকল এলাকায় জাটকা আহরণ, পরিবহন, মজুদ, বাজারজাতকরণ অথবা বিক্রয় প্রতিরোধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হচ্ছে। জেলা টাস্কফোর্সের তৎপরতার মধ্যে কিছু অসাধু জেলে নদীতে নেমে জাটকা শিকার করছে। কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই তারা জাটকা ধরছে।

তবে স্থানীয় জেলেদের দাবি, বহিরাগত জেলেরা চাঁদপুরের নৌ-সীমানায় এসে জাটকা ধরছে। আর তার দায়ভার চাঁদপুরের নিবন্ধিত জেলেদের ওপর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. গোলাম হাসান জানান চাদপুরে ৪৪ হাজার ৩৫ জন নিবন্ধিত জেলে রয়েছে। এর বাইরে আরও অনেক জেলে রয়েছে। এ বছর অনেক আগেই জেলেদের কাছে সরকারি বরাদ্দের চাল পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। আমরা সার্বক্ষণিক নদীতে টহল দিচ্ছি। এ বছর অভিযান অনেক সফল হয়েছে। আশা করি ইলিশের উৎপাদন বাড়বে।

চাঁদপুর নৌ-পুলিশের ওসি কামরুজ্জামান জানান, গত বছরের চেয়ে এ বছর জাটকা রক্ষায় পদ্মা-মেঘনায় নৌ পুলিশ অভিযানে সফলতা এসেছে। শুধু মার্চ মাসে ৬ শতাধিক জেলেকে আটক করা হয়েছে। এ ছাড়া ৫ হাজার কেজি জাটকা, সাড়ে ৬ কোটি মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়। এতে ৯০টি মামলায় ৩৫টির মতো মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে জেলেদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

স্কুলের শ্রেণিকক্ষে ‘আপত্তিকর’ অবস্থায় ছাত্রীসহ প্রধান শিক্ষক আটক

চাঁদপুরে মোবাইল কোর্টে ২০৩ জেলেকে কারাদণ্ড

আপডেট সময় : ০১:৪৭:০৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ এপ্রিল ২০২৩

সব ধরনের মাছের উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে দেশের ইলিশের ছয়টি অভয়াশ্রমের মধ্যে পাঁচটিতে সব ধরনের মাছ ধরার ওপর দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সরকার।

Model Hospital

গত ১ মার্চ থেকে এ নিষেধাজ্ঞা ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। ইতিমধ্যে নিষেধাজ্ঞার এক মাসেরও বেশি অতিবাহিত হয়েছে। চাঁদপুর জেলা টাস্কফোর্সের অভিযানে গত ১ মার্চ থেকে ৭ এপ্রিল পর্যন্ত পদ্মা-মেঘনা নদীর অভয়াশ্রম এলাকায় ৬৫টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জাটকা ধরার অপরাধে এসব মোবাইল কোর্টে ২০৩ জেলেকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। জরিমানা আদায় করা হয় ৭৪ হাজার ৯শ টাকা।

মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয় ২৩ জন জেলেকে। এসব ঘটনায় মামলা হয় ১৯৪টি। জব্দ করা হয় ৬৪ লাখ ২০ হাজার মিটার কারেন্ট জাল ও ৫৮৩.৪ কেজি জাটকা।

অভিযানে নৌ পুলিশ, জেলা মৎস্য বিভাগ, নৌবাহিনী, জেলা পুলিশ, কোস্টগার্ড সহায়তা করছে। মেঘনা ও পদ্মা নদীর বাড়বে। মতলব উত্তর উপজেলার ঘাটনল থেকে হাইমচর উপজেলার চরভৈরবী পর্যন্ত ৭০ কিলোমিটার নদী এলাকার জলসীমায়, নদী-তীরবর্তী মাছের আড়ত, মাছবাজার, মাছঘাট, বরফকল এলাকায় জাটকা আহরণ, পরিবহন, মজুদ, বাজারজাতকরণ অথবা বিক্রয় প্রতিরোধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হচ্ছে। জেলা টাস্কফোর্সের তৎপরতার মধ্যে কিছু অসাধু জেলে নদীতে নেমে জাটকা শিকার করছে। কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই তারা জাটকা ধরছে।

তবে স্থানীয় জেলেদের দাবি, বহিরাগত জেলেরা চাঁদপুরের নৌ-সীমানায় এসে জাটকা ধরছে। আর তার দায়ভার চাঁদপুরের নিবন্ধিত জেলেদের ওপর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. গোলাম হাসান জানান চাদপুরে ৪৪ হাজার ৩৫ জন নিবন্ধিত জেলে রয়েছে। এর বাইরে আরও অনেক জেলে রয়েছে। এ বছর অনেক আগেই জেলেদের কাছে সরকারি বরাদ্দের চাল পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। আমরা সার্বক্ষণিক নদীতে টহল দিচ্ছি। এ বছর অভিযান অনেক সফল হয়েছে। আশা করি ইলিশের উৎপাদন বাড়বে।

চাঁদপুর নৌ-পুলিশের ওসি কামরুজ্জামান জানান, গত বছরের চেয়ে এ বছর জাটকা রক্ষায় পদ্মা-মেঘনায় নৌ পুলিশ অভিযানে সফলতা এসেছে। শুধু মার্চ মাসে ৬ শতাধিক জেলেকে আটক করা হয়েছে। এ ছাড়া ৫ হাজার কেজি জাটকা, সাড়ে ৬ কোটি মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়। এতে ৯০টি মামলায় ৩৫টির মতো মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে জেলেদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে।